আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু  হুজুর একজন আমাকে একবার একটা বইয়ের সূচিপত্র দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলো এটা সিলেবাসে আছে কিনা। আমি বলেছিলাম নাই৷
বিষয়টা ছিলো অর্থনীতি বিষয়ে। অর্থনীতি কোনো বিষয় আমাদের নেই। তবে ভূগোল এ একটা টপিক আছে অর্থনৈতিক ভুগোল।  অর্থনীতি ও অর্থনৈতিক ভুগোল এর মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে।  আর সে জিজ্ঞেস করেছিল ৬/৭ মাস আগে৷  আজকে আমি দেখি এটা (অর্থনৈতিক ভুগোল)  টপিক আছে সিলোবাসে,  অর্থনীতি তো একটা বিষয়। অর্থনীতি বা ইকোনোমিকস কোনো বিষয় আমাদের নাই। এখন কী আমি তাকে এ বিষয়ে জানাবো যে অর্থনীতি কোনো বিষয় নাই, ভুগোল এর ভিতরে অর্থনৈতিক ভুগোল নামে একটা টপিক আছে। কী করবো হুজুর। তার কাছেও সিলেবাস আছে। সে নিজেও দেখতে পাবে।  এখন কী করবো আমি৷ তার সাথে আমার কথাবার্তা হয় না। কিন্তুু হকের স্বার্থে ত বলতে হবে।
২) ও একদিন আমাকে রাতে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলো যে, একজন নাকি তাকে বলেছে নোটস দেবার জন্য। সে দেয়নি। পরে আমাকে কল দেয় আমাকে এই ব্যপারে। আমি তাকে দেওয়ার জন্য বা না দেওয়ার জন্য বলেছি কিনা মনে নাই। কিন্তুু একটা কথা বলেছি,  যে তুই কল বা এসএমএস রিসিভ করিস না তাহলে ( সে বলেছিলো না করলে কেমন লাগে) আমার আর কিছু মনে পড়ছে না। । আমি এই কারনে বলেছি যে, নোটস গুলো তো আমরা একজন প্রাইভেট টিউটরের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে পড়ি।  আর যদি এই নোটস তাকে দেই তাহলে যদি স্যারের হক নষ্ট হয়। যদিও আমরা স্যারের থেকে টাকা দিয়েই কিনি।)  । ( আমি তাকে নোটস দিতে উৎসাহ দেই নাই, তবে নোটস দিতে মানা করেছিলাম কিনা আমার মনে নাই)
আর যে নোট চাইছিলো সে প্রাইভেট অন্য শিক্ষকের কাছে পড়ে।   এখন আমি কি ঐ ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চাইবো,  যাকে নোটস দেয়া হয় নাই? কারন স্যার ত তার নোটস এর উপর

কোনো নিষেধাজ্ঞা বা দাবি রেখেছেন কিনা জানা নাই? কি করবো হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (606,450 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
عَنْ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ ".
আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত। আমি ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।]- (সহীহ বোখারী-১)

উসূলে ফিকহের মূলনীতি হলো,
الأمور بمقاصدها-(شرح المجلة لسليم رستم باز)
প্রত্যেক কাজ তার উদ্দেশ্যর উপর নির্ভরশীল।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু তাকে ভুল দিকনির্দেশনা দেয়ার ইচ্ছা আপনার ছিলনা, তাছাড়া সিলেবাস খুললেও যেহেতু সে এটা দেখতে পারবে, তাই প্রশ্নের বিবরণমতে এতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না।

(২) 
আপনি সতর্কতামূলক স্বত্ব নিয়ে চিন্তাভাবনা করে এমনটা বলেছেন, তাই আপনার এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...