আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,
১.কেউ যদি কোনো ভালো কিছু দেখে প্রশংসা করে এবং নিজে থেকে মাশা-আল্লাহ বা বারাকাল্লাহ কোনো কিছুই না বলে,তাকে বলার জন্য অনুরোধ করলে তারপর মাশা-আল্লাহ বলে। তাহলে কি তা যথেষ্ট হবে নাকি বদনজর লাগার সম্ভাবনা আছে??

২.এক্ষেত্রে কি শুধু মাশা-আল্লাহ বলাই যথেষ্ট নাকি বারাকাল্লাহ ও বলতে হয়?যেমন কাউকে দেখতে সুন্দর লাগলে মাশা-আল্লাহ সুন্দর লাগছে বললেই হবে নাকি বারাকাল্লাহ ও বলতে হবে??

৩.মাঝেমধ্যে কেউ ভালো কিছু দেখে,তাকে অনুরোধ করার পর মাশা-আল্লাহ বললেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমার কাছে মনে হয় বদনজর লাগতে পারে, সেক্ষেত্রে আমার নিজের কি করনীয় আছে?আমি কি অই ঘটনার পরপরই  ৩ বার ৩ কুল পড়ে পানিতে ফু দিয়ে খাবো নাকি, রাতে ঘুমানোর সময় যেইভাবে ৩ কুল পড়ে শরীর মাসেহ করি অইটা করব?নাকি নিয়মিত সকাল সন্ধ্যা র আমল করলেই হবে?


جزاك الله خيرا

1 Answer

0 votes
by (606,450 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عن ابن عباس رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " العين حق ولو كان شيء سابق القدر لسبقته العين ، وإذا استغسلتم فاغسلوا "
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ভাগ্যকে কোন জিনিস অতিক্রম করতে সমর্থ হলে কু-দৃষ্টিই তা অতিক্রম করতে পারত। যদি এ প্রসঙ্গে কেউ তোমাদেরকে গোসল করাতে চায় তাহলে তোমরা তাতে সম্মত হও।(মুসলিম-২১৮৮)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2628

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কেউ যদি কোনো ভালো কিছু দেখে প্রশংসা করে এবং নিজে থেকে মাশা-আল্লাহ বা বারাকাল্লাহ কোনো কিছুই না বলে, তাহলে যে বদ নজর লাগবে, এমন কোনো বিষয় নেই। বরং বদ নজর লাগতেও পারে আবার নাও লাগতে পারে।

(২) কাউকে দেখতে সুন্দর লাগলে মাশা-আল্লাহ সুন্দর বা বারাকাল্লাহ সুন্দর। এভাবে বলা সুন্দর ও প্রশংসণীয়। তবে এই বলা বা না বলার সাথে বদ নজরের কোনো সম্পর্ক নাই।

(৩) সম্ভাব্য বদ নজর থেকে বাচতে সকাল সন্ধ্যা ও দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর সূরা নাস ও সূরা ফালাক পড়ে নিতে হবে।
এবং নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা পড়ে নিতে হবে।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...