আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
আমার নিম্নবর্নিত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার অনুরোধ রইলো।

প্রশ্ন ১: অনেকেই বলে থাকে ইস্তখারার পর বিভিন্ন স্বপ্ন দেখে। ইস্তেখারার পর স্বপ্ন দেখা কি সহীহ্ হাদিস দিয়ে প্রমাণিত?

প্রশ্ন ২: আমি আমার একটি ব্যক্তিগত বিষয় সমাধানের জন্য রাসূল (সা) থেকে স্বপ্নে নির্দেশনা চাই। এই উদ্দেশ্য আমি কি ইস্তেখারা করতে পারবো?

প্রশ্ন ৩: আমার শরীরে ট্যাটু ছিলো। তিনবার লেজার করে ৯৫% এর মতো ট্যাটুর কালি রিমুভ করেছি। অবশিষ্ট হালকা সীমিত ৫% কালি কিছুতেই তুলতে পারছি না চেষ্টার পরেও।
আমি লেজার করে প্রচন্ড অসুস্থ। চামড়া পুড়ে গিয়েছে এবং ইনফেকশন হয়েছে। এই জায়গায় আর কোনো চিকিৎসা করালে আমার অনেক ক্ষতি হবে।
আমার এই শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় আমার ফরজ গোসল এবং নামাজ কি আদায় হবে?

প্রশ্ন ৪: আর যদি আমার নামাজ এবং ফরজ গোসল না হয় তাহলে নামাজ ছেড়ে দেওয়া কি বৈধ হবে?

1 Answer

0 votes
by (604,200 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ইস্তেখারা অর্থ তুলনামূলক ভালো ও উত্তম জিনিষকে তলব করা,চয়েজ করা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1472

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইস্তেখারা করার পর মন যে দিকে সায় দিবে, সেদিকেই অগ্রসর হওয়া চাই। ইস্তেখারা করার পর স্বপ্নে ইঙ্গিত পাওয়া জরুরী নয়। স্বপ্নে ইঙ্গিত পাওয়াও যেতে পারে আবার নাও পাওয়া যেতে পারে।

استخارہ کے بعد اس خواب آنا جس سے کوئی نتیجہ برآمد ہو ضروری نہیں خواب تو ان پراگندہ خیالات کی وجہ سے بھی آتے ہیں جو انسان کے ذہن میں ہوتے ہیں شادی کے لئے رشتہ کا انتخاب کرنے سے پہلے استخارہ کر لینا مسنون عمل ہے لیکن استخارہ سات روز تک کیا جائے پھر ذہن اور دل کا رجحان جس جانب ہو مشورہ کرکے اس پر عمل کیا جائے۔
پس صورت مسئولہ میں آپ استخارہ کے ساتھ تجربہ کار معاملہ فہم قابل اعتماد مخلص لوگوں سے مشورہ بھی کرلیں۔
فتوي نمبر:841-715/D=09/1440
دارالافتاء،
دارالعلوم دیوبند

(২)
ব্যক্তিগত বিষয় সমাধানের জন্য রাসূল (সা) থেকে স্বপ্নে নির্দেশনা চাইলে এজন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করতে হবে।এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সাহায্য চাইতে হবে।

(৩) 
فَإِنْ كَانَ الْأَكْثَرُ صَحِيحًا وَالْأَقَلُّ جَرِيحًا يُغْسَلُ الصَّحِيحُ وَيُمْسَحُ عَلَى الْجَرِيحِ إنْ أَمْكَنَهُ وَإِنْ لَمْ يُمْكِنْهُ الْمَسْحُ يَمْسَحُ عَلَى الْجَبَائِرِ أَوْ فَوْقَ الْخِرْقَةِ وَلَا يَجْمَعُ بَيْنَ الْغُسْلِ وَالتَّيَمُّمِ. 
যদি শরীরের বা অজুর অঙ্গ সমূহের অধিকাংশ অংশ সুস্থ থাকে,এবং সামান্য অংশ যখমি থাকে,তাহলে সুস্থ অঙ্গ সমূহকে পানি দ্বারা ধৌত করা হবে,এবং যখমি স্থানকে মাসেহ করা হবে।যদি মাসেহ করাও সম্ভব না হয়, তাহলে ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করা হবে।তারপরও ধৌতকরণ এবং তায়াম্মুমকে একসাথে একই অজু বা গোসলে জমা করা যাবে না।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/53021

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যতটুকু সম্ভব ধৌত করে পবিত্রতা অর্জন করে নিতে হবে। যেগুলো সম্ভব হবে না, সেই অংশগুলোকে মাসেহ করে নিলেই হবে।

(৪)  
নামাজ ছেড়ে দিবেন কেন? অজু গোসল করা সম্ভব না হলে তায়াম্মুম করে পবিত্রতা অর্জন করে নিবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/938


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...