ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/52737/ নং
ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
মুহাক্কিক উলামায়ে কেরামদের মতে বাচ্চাদের খেলনা স্বরূপও এসব মানব আকৃতি বা প্রাণীর
পুতুল ব্যবহার বৈধ নয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
মক্কা নগরীতে প্রবেশ করলেন তখন বাইতুল্লাহর আশে পাশে তিনশ ষাটটি মূর্তি বিদ্যমান ছিল।
তিনি প্রত্যেক মূর্তির দিকে হাতের লাঠি দিয়ে আঘাত করছিলেন এবং বলছিলেন:
جاء الحق وزهق الباطل، إن الباطل
كان زهوقا، جاء الحق وما يبدئ الباطل وما يعيد.
সত্য এসেছে, মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয়ই মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। সত্য আগমন করেছে
আর মিথ্যা না পারে কোনো কিছু সূচনা করতে, না পারে পুনরাবৃত্তি করতে। (সহীহ বুখারী হা. ২৪৭৮,
৪২৮৭,
৪৭২০;
সহীহ মুসলিম হা. ১৭৮১)
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা.-এর বর্ণনায় এসেছে যে, লাঠির শুধু ইঙ্গিতের দ্বারাই মূর্তিগুলো ধরাশায়ী
হচ্ছিল।
[সীরাতে ইবনে হিশাম খ : ৭,
পৃষ্ঠা : ১১৪ (আররওযুল উনুফ-এর সঙ্গে
মুদ্রিত সংস্করণ) তারীখুল ইসলাম শামসুদ্দীন যাহাবী খ : ২ পৃষ্ঠা : ৩১৮ ইবনে ইসহাকের উদ্ধৃতিতে,
দি লাইফ অব মোহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অনুবাদে আলফ্রেড গিয়োম পৃ. ৫৫২]
এই কথাটা হযরত জাবির রা-এর হাদীসেরও এসেছে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদীস
: ৩৮০৬)
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহ্য়
প্রবেশ করে ইবরাহীম আ. ও মারইয়াম রা.-এর ছবি দেখলেন। তখন তিনি বললেন,
এঁরা তো (যাদের চিত্র এই লোকেরা অঙ্কন
করেছে) (আল্লাহর এই বিধান) শুনেছেন যে, ফেরেশতারা সে গৃহে প্রবেশ করেন না,
যাতে কোনো চিত্র থাকে। (সহীহ বুখারী
হা. ৩৩৫১;সহীহ ইবনে হিববান হা. ৫৮৫৮)
আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/4001/
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
শিশুদের জন্য খেলনার পুতুল দিয়ে খেলা করা কেউ বলেন নাজায়েয,আবার কেউ বলেন জায়েয।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও উত্তম
হল, খেলনার পুতুল থেকে সন্তানাদিকে বাঁচিয়ে রাখা।এবং এটাই তাকওয়ার সর্বাদিক নিকটবর্তী
ও সার্বিক বিবেচনায় অধিক কল্যাণকর। কেননা সন্দেহ মূলক জিনিষ থেকে বেঁচে থাকাই মু'মিন দের জন্য উচিৎ ও কাম্য।
বিস্তারিত জানুনঃ- https://www.ifatwa.info/320