আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম,

আশাকরি ভালো আছেন।আমার দুটো প্রশ্ন আছে।

১.দাবা খেলা ঠিক কি কারনে হারাম? এটাকে কোন কারনে হারাম করা হয়েছে?কারনটা জানতে চাচ্ছিলাম।বিস্তারিত ব্যাখ্যা করলে ভালো হতো।


২.দাবা খেলার মত বর্তমানে অনেক ধরনের বোর্ড গেম আছে।এগুলো সবই কি হারাম?

1 Answer

0 votes
by (583,020 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/10366/  নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

বহু সংখ্যক হাদীস দ্বারা প্রমানিত যে দাবা,পাশা খেলা জায়েজ নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدَ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدِ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ.

আবু মূসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি দাবা/পাশা খেললো সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করলো। (আবু দাউদ,ইবনে মাজাহ,আহমাদদার,হাকিম,ইবনে হিব্বান,আল আদাবুল মুফরাদ ১২৮১।)

,

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، وَقَبِيصَةُ، قَالاَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدَشِيرِ فَكَأَنَّمَا صَبَغَ يَدَهُ فِي لَحْمِ خِنْزِيرٍ وَدَمِهِ.

আবু বুরায়দা (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি দাবা/পাশা খেললো সে যেন তার হাত শূকরের গোশত ও রক্তে রঞ্জিত করলো। (মুসলিমআবু দাউদইবনে মাজাহমুয়াত্তা মালিক,আল আদাবুল মুফরাদ ১২৮৩।)

,

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، وَمَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ قَالَ: حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللهِ قَالَ: حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدِ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ.

আবু মূসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি দাবা/পাশা খেললো সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করলো। (আবু দাউদইবনে মাজাহআহমাদদারিমীহাকিমইবনে হিব্বান,আল আদাবুল মুফরাদ ১২৮৪।)

,

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا وَجَدَ أَحَدًا مِنْ أَهْلِهِ يَلْعَبُ بِالنَّرْدِ ضَرَبَهُ، وَكَسَرَهَا.

নাফে (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) তার পরিবারের কাউকে দাবা/পাশা খেলায় লিপ্ত দেখতে পেলে তাকে প্রহার করতেন এবং দাবা/পাশার সরঞ্জাম ভেঙ্গে ফেলতেন। (মুয়াত্তা মালিক,আল আদাবুল মুফরাদ ১২৮৫)

,

حَدَّثَنَا ابْنُ الصَّبَّاحِ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّا، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ الْحَنَفِيِّ هُوَ الطَّنَافِسِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَعْلَى أَبُو مُرَّةَ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ فِي الَّذِي يَلْعَبُ بِالنَّرْدِ قِمَارًا: كَالَّذِي يَأْكُلُ لَحْمَ الْخِنْزِيرِ، وَالَّذِي يَلْعَبُ بِهِ مِنْ غَيْرِ الْقِمَارِ كَالَّذِي يَغْمِسُ يَدَهُ فِي دَمِ خِنْزِيرٍ، وَالَّذِي يَجْلِسُ عِنْدَهَا يَنْظُرُ إِلَيْهَا كَالَّذِي يَنْظُرُ إِلَى لَحْمِ الْخِنْزِيرِ.

ইয়ালা ইবনে মুররা (রহঃ) বলেনআমি আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিযে ব্যক্তি বাজি ধরে দাবা/পাশা খেলে সে শূকরের গোশত ভক্ষণকারীর সমতুল্য। আর যে ব্যক্তি বাজি না ধরে দাবা/পাশা খেলে সে শূকরের রক্তে হাত রঞ্জিতকারীর সমতুল্য। আর যে ব্যক্তি তাদের সাথে বসে তাদের খেলা দেখে সে শূকরের গোশতের দিকে তাকিয়ে থাকা ব্যক্তির সমতুল্য।

(আল আদাবুল মুফরাদ ১২৮৮)

,

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: اللاَّعِبُ بِالْفُصَّيْنِ قِمَارًا كَآكِلِ لَحْمِ الْخِنْزِيرِ، وَاللاَّعِبُ بِهِمَا غَيْرَ قِمَارٍ كَالْغَامِسِ يَدَهُ فِي دَمِ خِنْزِيرٍ.

আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাঃ) বলেনবাজি ধরে দুটি গুটি দ্বারা জুয়া খেলায় অংশগ্রহণকারী শূকরের গোশত ভক্ষণকারীর সমতুল্য এবং বাজিবিহীন খেলায় অংশগ্রহণকারী শূকরের রক্তে হাত ডুবানো ব্যক্তিতুল্য। (আল আদাবুল মুফরাদ ১২৮৯।)

,

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ الْحَكَمِ الْقَاضِي، قَالَ: أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ الْوَلِيدِ الْوَصَّافِيُّ، عَنِ الْفُضَيْلِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَانَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِذَا خَرَجَ مِنْ بَابِ الْقَصْرِ، فَرَأَى أَصْحَابَ النَّرْدِ انْطَلَقَ بِهِمْ فَعَقَلَهُمْ مِنْ غُدْوَةٍ إِلَى اللَّيْلِ، فَمِنْهُمْ مَنْ يُعْقَلُ إِلَى نِصْفِ النَّهَارِ. قَالَ: وَكَانَ الَّذِي يُعْقَلُ إِلَى اللَّيْلِ هُمُ الَّذِينَ يُعَامِلُونَ بِالْوَرِقِ، وَكَانَ الَّذِي يُعْقَلُ إِلَى نِصْفِ النَّهَارِ الَّذِينَ يَلْهُونَ بِهَا، وَكَانَ يَأْمُرُ أَنْ لا يُسَلِّمُوا عَلَيْهِمْ.

ফুদাইল ইবনে মুসলিম (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনআলী (রাঃ) বাবুল কাসর থেকে বের হলে তিনি দাবা/পাশা খেলোয়াড়দের দেখতে পান। তিনি তাদের নিকট গিয়ে তাদেরকে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত আটক রাখেন। তাদের মধ্যে কতককে তিনি দুপুর পর্যন্ত আটক রাখেন। রাবী বলেনযারা অর্থের আদান-প্রদানের ভিত্তিতে খেলেছিলতিনি তাদের রাত পর্যন্ত আটক রাখেনআর যারা এমনি খেলেছিল তাদেরকে দুপুর পর্যন্ত আটক রাখেন। তিনি নির্দেশ দিতেনলোকজন যেন তাদেরকে সালাম না দেয়। (আল আদাবুল মুফরাদ ১২৮০)

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,

 

(০১) হাদীস শরীফে আরবী ‘নারদ’ শব্দ এসেছে। আর ‘নারদ’ শব্দের অভিধানে অর্থ হলো দাবা বা পাশা খেলা। তাই দাবা বা পাশা খেলা স্পষ্ট  হারাম।

হাদীস শরীফে নিষেধাজ্ঞা এসেছে,তাই এটি হারাম। এক্ষেত্রে উহা হারাম হওয়ার  যুক্তি/অন্য কোনো কারন খোঁজার যৌক্তিকতা নেই।

(০২)বাজি ধরে ক্যারাম সহ যেকোনো বোর্ড গেম হারাম। তবে বাজি না থাকলে শরীয়াহ বিরোধী কিছু ন থাকলে সেক্ষেত্রে কেহ কেহ শর্ত স্বাপেক্ষে খেলার অনুমতি দিয়েও থাকেন।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...