আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in সালাত(Prayer) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম
১. সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রব্বুলমালাইকাতি ওয়ার রুহ এই তাসবি বলার সময় ইকাতি বলার সময় যদি হামজার পরিবর্তনে আলিফের মাখরাজ অনুযায়ী আলিফ পড়ি,, তাহলে কি অর্থ বদলে যাবে?
২. যে সকল হরফের সাথে অন্য হরফের মিল নেই যেমন জিম, গইন, খ ইত্যাদি হরফ যদি আমি সঠিক মাখরাজ  অনুযায়ী না পড়ি,, তাহলে কি অর্থ বদলে  যেতে পারে?  এসব হরফের তো অন্য হরফের সাথে চেঞ্জ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নাই। আমি বলতে চাচ্ছি আইন আর  হামজার উচ্চারণ যেমন একই  হয়, কিন্তু এই হরফগুলো  তো এভাবে অন্য কোনো  হরফের সাথে বদলে যাওয়ার সুযোগ নেই।  তাহলে যদি আমি এগুলো সঠিক মাখরাহ  অনুযায়ী না আদায় করি তাহলে কি আমার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে??

3.  আমি যদি  মাখরাজ অনুযায়ী   সালাতে তিলাওয়াত করতে চাই তাহলে  ছেলেদের মত অনেক জোরে তেলাওয়াত করতে হয়।  এতে আমার মানুষের সামনে আমি  নামাজ পড়তে পারি না।  মানুষের সামনে তো এত জোরে নামাজ পড়া  যায় না। এখন আমি যদি মোটা হা বলতে যাই তাহলে সেটা অনেক জোরে হয়ে যায়। আর আমি যদি আস্তে করে বলতে যাই তাহলে মোটা হা মাখরাজ অনুযায়ী  বলতে পারি না।  কিন্তু চিকন হা আর  মোটা হা এর মধ্যে পার্থক্য রাখতে পারি।  মানে চিকন-হা তে তো বাতাস বের হয় আর মোটা  হা যখন বলি তখন ঐরকম বাতাস বের হয় না। এজন্য দুটোর মধ্যে এখানে পার্থক্য থাকে আমার উচ্চারণের সময়।  এখন আমি যদি এভাবে নামাজ পড়ি তাহলে কি নামাজ বাতিল হবে?

1 Answer

0 votes
by (583,020 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। অতএব কমপক্ষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য যে সুরাগুলোর প্রয়োজন, সেগুলো (সুরা ফাতেহা ব্যাতিত কমপক্ষে চারটি সুরা) শুদ্ধ করে নেওয়া আবশ্যক, অন্যথায় সে গুনাহগার হবে। 
মহান আল্লাহ তাআলার কালাম তিলাওয়াতের বিশেষ নিয়ম ও আদব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে। -সূরা মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
زينوا القرآن بأصواتكم
সুন্দর সূরের মাধ্যমে কুরআনকে  (এর তিলাওয়াতকে) সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৮

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লম ইরশাদ করেছেন, (কিয়ামতের দিন) কুরআনের তিলাওয়াতকারী বা হাফেজকে বলা হবে-
اقْرَأْ، وَارْتَقِ، وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا، فَإِنَّ مَنْزِلَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا.
তিলাওয়াত করতে থাক এবং উপরে উঠতে থাক। ধীরে ধীরে তিলাওয়াত কর, যেভাবে ধীরে ধীরে দুনিয়াতে তিলাওয়াত করতে। তোমার অবস্থান হবে সর্বশেষ আয়াতের স্থলে যা তুমি তিলাওয়াত করতে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৪; জামে তিরমিযী, হাদীস ২৯১৪

নামাজের কেরাতে অর্থ বিকৃত হয়ে যায়, এমন ভুল পড়লে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। চাই তা তিন আয়াত পরিমাণের ভেতর হোক বা পরে হোক- সর্বাবস্থায় একই হুকুম। পক্ষান্তরে সাধারণ ভুল- যার দ্বারা অর্থ একেবারে বিগড়ে যায় না, তাতে নামাজ নষ্ট হবে না। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১১৮, ফাতাওয়া কাজিখান ১/৬৭)

,
https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।

তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126

তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)

কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অর্থ বদলে যাবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
নামাজা ভঙ্গের মতো অর্থ বিকৃত হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার নামাজ বাতিল হবেনা। তবে আপনি কোনো বিজ্ঞ মহিলার কাছে মশক করে নিবেন,সেক্ষেত্রে আশা করি উক্ত সমস্যা কেটে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 117 views
0 votes
1 answer 127 views
...