আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
১।না জেনে কুফরি শিরকি কাজ করা বা আকিদা পোষন করলে জানার পর শুধু তওবা করলে হবে নাকি ইমান নবায়ন করতে হবে?

২।অমুসলিমদের কোনো বিষয়   আগে যদি না জানি সে বিষয় জানার পর ঘৃণা করবো আর মনে মনে চিন্তা ভাবনা থেকে দুরে থাকবো। এ আকিদা সঠিক কিনা?

৩।অমুসলিম দের ধর্মীয় বিষয় বা সকল বিষয় কে প্রবল ধারনা করে  হোক না জেনে বা জানার পরে   একা একা মনে মনে বা কোনো মুসলমানের সামনে গালি দিলে, অসম্মান করলে, অপমান, ঘৃণা করলে  ইত্যাদি তাদের সম্পদ আত্মসাৎ বা ক্ষতি ছাড়া  যেকোনো হক নষ্ট অতিতে  করলে বা বর্তমান ভবিষ্যতে করলে  তারা যদি না জানে তাদের কাছে মাফ চাইতে হবে না । আল্লাহ পাক এর কাছে মাফ চাইলে হবে এ আকিদা সঠিক কিনা

৪।মনে মনে আল্লাহ আল্লাহ যিকির করলে সওয়াব হবে কি। মনে মনে সব জায়গায় যিকির করা যায় কি যেমন টয়লেটে, সহবাস ইত্যাদি।

৫।একজন লোক আছে তার ছেলেরা ইউরোপে আছে বলে সে অনেক বড় বড় কথা বলে। আমি বেকার বলে কয়েকবার লস খাওয়ার কারনে  আমাকে দেখলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। সে অহংকার করার কারনে বা মানুষ কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার জন্য মনে মনে বিদ্বেষ করা যাবে কি?

৬।মাহফিলের পোস্টার দিয়ে ঢিলা নিছে কে জানি না সেখানে আল্লাহ পাক রাসুল সাঃ এর নাম ছিলো আমি দেখার পর উঠিয়ে পানিতে ফেলি দিছি।এখন খালি মনে আসতেই থাকে যদি আল্লাহ পাক থাকতেন বা ইসলাম ধর্ম সত্যি হলে কেনো আল্লাহ পাক সেটা করতে দিলেন বাধা দিলেন না আরও অনেক কথা আসে আমার মনে হয় সেগুলো লেখা ঠিক হবেনা।আমার আকিদা হলো যাইহোক আল্লাহ পাক সত্যি ইসলাম ধর্ম সত্যি। কি কারন আমার আকিদা সঠিক কিনা

1 Answer

0 votes
by (581,370 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০৪)
মনে মনে সব জায়গায় যিকর করা যায়। তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ক্ষেত্র গুলোতে মনে মনে যিকির করা আল্লাহর শানের খেলাফ। 

তাই এমতাবস্থায় যিকির করা যাবেনা। তবে ইস্তেঞ্জাখানায় প্রবেশের দোয়া,অযুর দোয়া,সহবাসের দোয়া পাঠ করা যাবে।

(০৫)
না,বিদ্বেষ পোষন করা যাবেনা।

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

لَا تَحَاسَدُوْا، وَلَا تَنَاجَشُوْا، وَلَا تَبَاغَضُوْا، وَلَا تَدَابَرُوْا، وَلَا يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ، وَكُوْنُوْا عِبَادَ اللهِ إِخْوَانًا، الْـمُسْلِمُ أَخُـوْ الـْمُسْلِمِ، لَا يَظْلِمُهُ، وَلَا يَخْذُلُهُ، وَلَا يَحْقِرُهُ، التَّقْوَى هَاهُنَا، وَيُشِيْرُ إِلَى صَدْرِهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، بِحَسْبِ امْرِئٍ مِّنَ الشَّرِّ أَنْ يَحْقِرَ أَخَاهُ الْـمُسْلِمَ، كُلُّ الْـمُسْلِمِ عَلَى الْـمُسْلِمِ حَرَامٌ دَمُهُ وَمَالُهُ وَعِرْضُهُ.

‘‘তোমরা একে অপরের প্রতি বিদ্বেষ করো না। ক্রয়-বিক্রয়ে দালালি করো না। একে অপরের প্রতি শত্রুতা পোষণ করো না। কারোর পেছনে পড়ো না। কেউ অন্যের বিক্রির উপর দ্বিতীয় বিক্রি করবে না। বরং তোমরা এক আল্লাহ্ তা‘আলার বান্দাহ্ হিসেবে পরস্পর ভাই-ভাই হয়ে যাও। সত্যিই এক মুসলিম অন্য মুসলিমের ভাই। তাই কোন মুসলিম ভাইয়ের উপর যুলুম করা যাবে না, তাকে বিপদে ফেলে রাখা যাবে না। তাকে কোন ভাবেই হীন মনে করা যাবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের বুকের দিকে তিন বার ইঙ্গিত করে বললেন: আল্লাহ্ ভীরুতার স্থান তো এটিই। কারোর খারাপ হওয়ার জন্য এটিই যথেষ্ট যে, সে অন্য মুসলিম ভাইকে হীন মনে করবে। এক মুসলিমের জন্য অন্য মুসলিমের রক্ত, সম্পদ ও ইজ্জত হারাম’’। (মুসলিম ২৫৬৪)

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ، فَإِنَّ الظَّـنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيْثِ، وَلَا تَحَسَّسُوْا، وَلَا تَجَسَّسُوْا، وَلَا تَنَافَسُوْا، وَلَا تَحَاسَدُوْا، وَلَا تَبَاغَضُـوْا، وَلَا تَقَاطَعُوْا، وَلَا تَدَابَـرُوْا، وَكُوْنُوْا عِبَادَ اللهِ إِخْوَانًا.

‘‘তোমরা কারোর ব্যাপারে অমূলক ধারণা করো না। কারণ, অমূলক ধারণা মিথ্যা কথারই অন্তর্ভুক্ত। তোমরা গোয়েন্দাগিরি করো না। (দুনিয়ার ব্যাপারে) কারোর সাথে প্রতিযোগিতা করো না। হিংসা-বিদ্বেষ ও শত্রুতা করো না। কারোর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করো না। কারোর পেছনে পড়ো না। বরং তোমরা এক আল্লাহ্ তা‘আলার বান্দাহ্ হিসেবে পরস্পর ভাই-ভাই হয়ে যাও’’। (মুসলিম ২৫৬৩)

(১.২.৩.৬)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...