আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আমার বিয়ে হয়েছে ৫-৭-২০২৪ সালে।বিয়ের ১ মাস ১৩ দিন পরই আমি জানতে পারি আমার স্বামী বিবাহিত। আর আমি তার ২য় স্ত্রী। তার ১ম স্ত্রীর আগের ও একটা  (মেয়ে) সন্তান রয়েছে। , তারপর তারও একটা (ছেলে)সন্তান হয়েছে। এগুলো সবকিছু বিয়ের আগে সে আমার ফ্যামিলি এবং আমার কাছে সম্পূর্ণ গোপন রেখেছে। সে তার ১ম স্ত্রী কে বাসায় রেখেছে, আমাকে তার বাড়িতে রেখেছে।আমি যখন তার  গোপন কথা গুলো ধীরে ধীরে  জানতে পারি তখন সে আমার সাথে ঝগড়া  করতো কিন্তু কখনো গায়ে হাত তুলেনি।তবে আমি এটা বুঝতাম ও আমার সাথে সবসময় মিথ্যা কথা বলতো।এরপর এই সময় গুলোর মধ্যেই সে একদিন ফজরের পরে কোনো কারণ ছাড়াই আমার গলা চেপে ধরে। আমি জোরে চিৎকার করে জেগে উঠি।ওকে জিজ্ঞেস করার পর ও উওর দেয় আমাকে ও ঘুমের মধ্যে  গলা টিপে ধরে।আমি জানিনা সে কোন উদ্দেশ্য এটা করেছে। এরপর   যখন তার এই সব গোপন কথা গুলো আমি এবং আমার ফ্যামিলি জানতে পারি। সে তাৎক্ষণিক আমাকে আমার বাবার বাড়িতে রেখে বিদেশ চলে যায়।এবং আমার ভরণপোষণ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এখন আবার সে চাইছে আমাকে নিয়ে যেতে। কিন্তু আবার এটা ও বলছে আমি গেলে সে তার ১ম স্ত্রী কে তালাক  দিয়ে দিবে।

কিন্তুু এইসব কিছু আমার পরিবার জানার পর আমার পরিবার কোনোভাবেই আর তার কাছে আমাকে দিতে চাইছে না।আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ডিভোর্স নিয়ে নেওয়া টা কতটা যুক্তি সংঙ্গত?  এইগুলো আমি ভীষন ভয় করি।আমি কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছি না।এমতাবস্থায়  আমার কি করণীয়?

কোনটি আমার দ্বীন এবং আখিরাতের জন্য উত্তম হবে?

1 Answer

0 votes
by (601,620 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا كَانَتْ عِنْدَ الرَّجُلِ امْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّهُ سَاقِطٌ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ والدارمي
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো পুরুষের দু’জন সহধর্মিণী থাকে আর সে তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বিচার না করে, তবে সে কিয়ামতের দিন একপাশ ভঙ্গ (অঙ্গহীন) অবস্থায় উঠবে। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ ও দারিমী)[1]আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো পুরুষের দু’জন সহধর্মিণী থাকে আর সে তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বিচার না করে, তবে সে কিয়ামতের দিন একপাশ ভঙ্গ (অঙ্গহীন) অবস্থায় উঠবে। (তিরমিযী ১১৪১, আবূ দাঊদ ২১৩৩, ইবনু মাজাহ ১৯৬৯, নাসায়ী ৩৯৪২, আহমাদ ৭৯৩৬, সহীহ আল জামি‘ ৭৬১, সহীহ আত্ তারগীব ১৯৪৯) 

ধোকা ও প্রতারণা করে বিয়ে করা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/25515

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
চারটি পর্যন্ত বিয়ে করা স্বামীর জন্য বৈধ যদি তার সামর্থ্য থাকে, এ বিষয়ে প্রথম স্ত্রীর অনুমতির কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। এবং যাকে বিবাহ করা হবে, তাকে বলাও ওয়াজিব না। তবে যেহেতু প্রথম বিয়ের কথা উল্লেখ করলে দ্বিতীয় স্ত্রী বিয়েতে রাজী না হওয়াই স্বাভাবিক, তাই প্রথম স্ত্রীর কথা লুকিয়ে বিয়ে করা ধোকা ও প্রতারণা হবে। তথ্য গোপন করার কারণে স্বামীর অবশ্যই গোনাহ হবে। এবং তালাক চাওয়ারও অধিকার অর্জিত হবে। যেহেতু বিয়ে হয়েই গেছে, তাই যথাসম্ভব সংসারকে ঠিকিয়ে রাখার চেষ্টা করাই উচিৎ ও উত্তম হবে। কিন্তু যদি নিজ জান মালের ক্ষতির আশংকা থাকে, তাহলে তখন তালাক চাওয়াই উত্তম হবে।

صورتِ مسئولہ سائل کی والدہ کو چاہیے کہ دوست کو اپنے بیٹے کے پہلے نکاح  و طلاق سے آگاہ کرے، تاکہ بعد میں بد مزگی نہ ہو، تاہم اگر وہ دوست کو آگاہ نہیں کرتی اور اس کی بیٹی سے اپنے بیٹے کا نکاح کروادیتی ہے تو نکاح شرعاً درست ہوگا، اور سائل کے لیے  نکاح کی تقریب میں شرکت کرنا بھی درست ہوگا، لیکن اگر دوست،  لڑکے کے نکاح وغیرہ کے متعلق معلوم کرے تو اس صورت میں ان کو لڑکے کے نکاح و طلاق سے آگاہ کرنا ضروری ہوگا، چھپانا یا نہ بتانا،   خیانت اور دھوکے کے زمرے میں آئے گا،تاہم سائل کے لیے نکاح میں شرکت کرنا درست ہوگا، اس کی وجہ سے سائل گناہ گار نہیں ہوگا۔
فتوی نمبر : 144308100850
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...