আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আমি সদ্য বিবাহিত নারী।আমি বিয়ের ১ মাস ১৩ দিন পর জানতে পারি আমার স্বামী বিবাহিত। আর আমি তার ২য় স্ত্রী। তার ১ম স্ত্রীর আগের ও একটা  (মেয়ে) সন্তান রয়েছে। , তারপর তারও একটা (ছেলে)সন্তান হয়েছে। এগুলো সবকিছু বিয়ের আগে সে আমার ফ্যামিলি এবং আমার কাছে সম্পূর্ণ গোপন রেখেছে। সে তার ১ম স্ত্রী কে বাসায় রেখেছে, আমাকে তার বাড়িতে রেখেছে।আমি যখন তার  গোপন কথা গুলো ধীরে ধীরে  জানতে পারি তখন সে আমার সাথে ঝগড়া  করতো কিন্তু কখনো গায়ে হাত তুলেনি।তবে আমি এটা বুঝতাম ও আমার সাথে সবসময় মিথ্যা কথা বলতো।এরপর এই সময় গুলোর মধ্যেই সে একদিন ফজরের পরে কোনো কারণ ছাড়াই আমার গলা চেপে ধরে। আমি জোরে চিৎকার করে জেগে উঠি।ওকে জিজ্ঞেস করার পর ও উওর দেয় আমাকে ও ঘুমের মধ্যে  গলা টিপে ধরে।আমি জানিনা সে কোন উদ্দেশ্য এটা করেছে। এরপর   যখন তার এই সব গোপন কথা গুলো আমি এবং আমার ফ্যামিলি জানতে পারি। সে তাৎক্ষণিক আমাকে আমার বাবার বাড়িতে রেখে বিদেশ চলে যায়।এখন সে চাইছে আমাকে নিয়ে যেতে। কিন্তু আবার এটা ও বলছে আমি গেলে সে তার ১ম স্ত্রী কে তালাক  দিয়ে দিবে।

কিন্তুু এইসব কিছু আমার পরিবার জানার পর আমার পরিবার কোনোভাবেই আর তার কাছে আমাকে দিতে চাইছে না।আমি এইগুলো ভীষন ভয় করি।আমি কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছি না।এমতাবস্থায়  আমার কি করণীয়?

কোনটি আমার দ্বীন এবং আখিরাতের জন্য উত্তম হবে?

1 Answer

0 votes
by (61,710 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব:-

https://ifatwa.info/15139/    নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

শরীয়তের বিধান মতে একাধিক স্ত্রীর মাঝে যদি ইনছাফ করতে পারে,তাহলে প্রয়োজনের স্বার্থে একাধিক বিবাহ করতে পারবে। এক্ষেত্রে ১ম স্ত্রীর অনুমতির প্রয়োজন নেই।  

আল্লাহ তায়ালা বলেন,

فانكحوا ما طاب لكم من النساء مثنى وثلاث ورباع

তোমরা বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমার ভালো লাগেদুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশঙ্কা করো যে সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে (বিয়ে করো)...।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩)

এক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা প্রথম স্ত্রী থেকে অনুমতি নিতে হবে বলে শর্ত দেননি। বরং শর্ত দিয়েছেন যে যদি সকলের মাঝে ইনছাফ করতে পারো। দ্বিতীয় বিবাহ করার ইসলামী শর্ত বেশ কঠিন অনেক কড়া।

আগের স্ত্রীর সব ধরনের হক আদায়ের পর নতুন বিয়ের পরেও সমান তালে সব অধিকার পালন করার আত্মবিশ্বাস থাকলেই কেবল যৌক্তিক কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায়।

قال اللہ تعالی:فإن خفتم ألا تعدلوا فواحدة الآیة (سورہ نسا، آیت:۳)

 আল্লাহতায়ালা বলেন, একাধিক বিয়ের সুবিধা যাদের আছে, তারা যদি সম অধিকার বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভীত হও, তাহলে এক বিয়ে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাক।

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ : «إِذَا كَانَتْ عِنْدَ الرَّجُلِ امْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّه سَاقِطٌ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُوْ دَاودَ وَالنَّسَائِىُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِىُّ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো পুরুষের দু’জন সহধর্মিণী থাকে আর সে তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বিচার না করে, তবে সে কিয়ামতের দিন একপাশ ভঙ্গ (অঙ্গহীন) অবস্থায় উঠবে। (সহীহ : তিরমিযী ১১৪১, আবূ দাঊদ ২১৩৩, ইবনু মাজাহ ১৯৬৯, নাসায়ী ৩৯৪২, আহমাদ ৭৯৩৬, সহীহ আল জামি‘ ৭৬১, সহীহ আত্ তারগীব ১৯৪৯।)

আরো জানুনঃ  https://ifatwa.info/6683/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে একজন স্বামীর জন্য শরীয়তের বিধান মতে একাধিক স্ত্রীর মাঝে যদি ইনছাফ করতে পারে, তাহলে প্রয়োজনের স্বার্থে একাধিক বিবাহ করতে পারবে। এতে কোন সমস্যা নেই। তবে আপনার প্রশ্ন থেকে আপনার স্বামীর বেশ কিছু বিষয় আপত্তিকর মনে হয়েছে। বিধায় আপনাদের উভয়ের পারিবারিক ভাবে সুষ্ঠ আলোচনার মাধ্যমে উক্ত বিষয়টির সমাধান হতে পারে বলে আশা করি ইনশাআল্লাহ।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
উস্তায আমার স্বামীর উক্ত আচরণ, আমাকে ধোঁকা দেওয়া এবং আমাকে রেখে চলে যাওয়া ও ভরণপোষণ বন্ধ করে দেওয়া এইসব উল্লেখিত কারণে  আমার পরিবার কোনোভাবেই আমাকে তার কাছে আর দিতে রাজি নয়।এমতাবস্থায় আমি কি নিজে তালাক নিতে পারবো?  আর আমি কি এতে গুনাহের সামিল হবো?
দয়া করে উওর টা জানাবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...