আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in সালাত(Prayer) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ

‌১.রুকতে যাওয়ার সময় সুরার আয়াত ভুলে পড়ে ফেললাম আর পরবর্তীতে ইচ্ছাকৃতভাবে পড়লাম নামাজ হবে কি?।(যোহরের সুন্নাত ৩০ শে ডিসেম্বর ২০২৪ কাযা আদায় করব)

২.মসজিদে মোটা কার্পেট বিছানো হয়েছে সিজদা গিয়ে যদি এইরকম হয় সিজদার সময় কপাল ও হাত কার্পেটের বাহিরে নিচু অংশের জমিনে থাকে, আবার কপাল খানিকটা(ভ্রুর একটু উপর পর্যন্ত) কার্পেটে থাকল আর বাকি অংশ কার্পেটের বাহিরে
নিচু অংশে থাকল আর হাতেরও কিছু অংশ কার্পেটের ও বাকি অংশ বাহিরে নিচু জমিনে থাকল। আবার পায়ের পাতার এক অংশ কার্পেট এর বাহিরে ও এক অংশ উপরে।আর কার্পেট মোটাও হতে পারে(সম্ভবত ২-৩ সেমি পুরুত্বের) চিকনও হতে পারে।এসব ক্ষেত্রে নামাজ হবে কি?

৩.নামাজে যদি মনে মনে কিছু বলি আর বলতে গিয়ে যদি জিহ্বা নড়ে,নাক দিয়ে শ্বাস বের হয় মুখ নড়ে(স্বাভাবিক কথা বলার মত নয়) তবে নামাজ হবে কি?

৪.নামাজে এক সূরা পড়া শুরু করে ঐ সূরা বাদ দিয়ে আরেক সূরা শুরু করলে নামাজ হবে? আর নামাজের সময় বাদে অন্যান্য সময় তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে এরূপ করা কি জায়েজ?

৫.নামাজে আল্লাহু আকবার এমনভাবে বললাম যে এর আওয়াজ শুনতে পেলাম না।এতে নামাজ কি হয়েছে?(বিঃদ্রঃ ফ্যান তখন অফ ছিল)

৬.নামাজে সিজদার যেই জায়াগাটা টা ঐখানের কাপড় যা ছিল শক্ত।মূলত এটি দিয়ে মসজিদের কার্পেট  মুড়ানো ছিল। কিন্তু এক জায়গায় তা ছিল একটু উচু।আমি তার উপর সিজদা দিলে তা নিচে দেবে কার্পেটের সাথে মিশে যায় আর সিজদা থেকে ঊঠলে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।এখন এই কারণে আমার নামাজে সমস্যা হবে? আমার নামাজ কি হয়েছে?(যোহরের ২ রাকাত সুন্নত ২ রা জানুয়ারি ২০২৫)

1 Answer

0 votes
by (601,620 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) প্রশ্নটি অস্পষ্ট। দয়া করে স্পষ্টকরে কমেন্টে জানিয়ে দিবেন। তখন আমরা জবাব লিখার চেষ্টা করবো। 

(২)  সিজদার সময় কপাল ও হাত কার্পেটের বাহিরে থাকুক বা ভিতরে , এতে নামাযে কোনো প্রভাব পড়বে না। 

(৩) নামাজে যদি মনে মনে কিছু তিলাওয়াত করা হয়,  আর বলতে গিয়ে যদি জিহ্বা নড়ে,নাক দিয়ে শ্বাস বের হয় এবং ঠোঁট নড়াচড়া করে, তাহলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না

(৪) নামাজে এক সূরা তিলাওয়াত করা শুরু করার পর ঐ সূরা বাদ দিয়ে অন্য কোনো সূরা শুরু করলে নামাজ হবে। এবং নামাজের বাহিরে তেলাওয়াতের ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য হবে। তবে উত্তম হল, সম্পূর্ণ সূরাকে সমাপ্ত করা।

(৫) নামাজে এমনভাবে আল্লাহু আকবার বলা যে, জিহ্বা নড়েছে তবে এর আওয়াজ শুনা যাচ্ছে না, তাহলেও নামায হয়ে যাবে। 

(৬) যদি সিজদার সময় কপালে জমিনের শক্ততা অনুভূত না হয়, তাহলে নামায হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 106 views
...