ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিশেষ কোন দিন-তারিখ নির্ধারণ করে
"হৃদরোগ দিবস"
"ডায়াবেটিস দিবস"
"হিজাব দিবস"
"মা দিবস"
ও নববর্ষ
ইত্যাদিউপালন করা কখনো বৈধ হবে না।
যদিও কাজটি ভালো হোক এবং জনসচেতনতার স্বার্থে হোক না কেন।
কেননা এগুলো কাজ ভালো হলেও এতে অনেক খারাবী রয়েছে।
যেমনঃ- এই সমস্ত দিবসকে ঈদের স্থানে নিয়ে আসা,কাফিরদের অনুসরণ, নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণের সুযোগ সৃষ্টি সহ মুসলিম সমাজে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ইত্যাদি নানান সমস্যা এতে রয়েছে।
তাই দিবস পালনকে শরীয়ত কখনো সমর্থন দিতে পারেনা।
তবে জনসচেতনতার স্বার্থে দিন-তারিখ ঠিক না করে অন্য কোনো প্রদেক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/166
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিশেষ দুয়েকটি দিবস ব্যতিত ইসলামে আর কোনো দিবস নেই। সুতরাং প্রচলিত বিভিন্ন দিবস উদযাপন করা বিজাতীয় সংস্কৃতির অংশ।এগুলো পালন করা জায়েয হবে না। এই দিবস উপলক্ষে আয়োজিত খাবার যদি কেউ আপনার নিকট প্রেরণ করে, যেহেতু সে এগুলোর মালিক এবং তার নিজ সন্তুষ্টিতে এগুলো আপনাকে দিচ্চে, তাই গ্রহণ করা জায়েয হলেও বিজাতীয়দের অনুকরণ হয়ে যেতে পারে, সেই সন্দেহের কারণে কোনো মুসলমানের জন্য এগুলো গ্রহণ করা কখনো উচিৎ ও কাম্য হবে না। তাই কেউ দিয়ে দিলে তাকে প্রথমে শরীয়তের অবস্থান বুঝাতে হবে , তারপর সেগুলোকে সদকাহ করে দিতে হবে।