আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আমার একটা প্রশ্ন ছিলো। আচ্ছা, কোনো ভাই যদি তার আপন বোনকে বাজে উদ্দেশ্য নিয়ে ঘুমের সুযোগে বুকে স্পর্শ করে, তাহলে কী সেই ভাই-বোনের মধ্যে এখন পর্দা করা জরুরত হয়ে গিয়েছে? মানে, এই কাজের দ্বারা তার গুনাহ হয়েছে তো ঠিকই, সেই ভাই কী ঐ বোনের জন্য এখন আর মাহরাম রয়েছেন? নাকি তাদের মধ্যে পর্দার বিধান প্রযোজ্য হবে?

আর আরেক বোনও যদি এরূপ তার আপন ভাইয়ের গোপনাঙ্গে হাত দেয়, এর দ্বারাও কী তাদের মধ্যে পর্দার বিধান প্রযোজ্য হবে?
আর উভয় ক্ষেত্রেই শুধু তওবার দ্বারাই কী এর সংশোধন সম্ভব? আর কোনো করণীয় আছে কী?

1 Answer

0 votes
by (606,750 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আমর বিন শুয়াইব তার সুত্রে বর্ণনা করেন,
ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣُﺮُﻭﺍ ﺃَﻭْﻟَﺎﺩَﻛُﻢْ ﺑِﺎﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﺳَﺒْﻊِ ﺳِﻨِﻴﻦَ ، ﻭَﺍﺿْﺮِﺑُﻮﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﻋَﺸْﺮٍ ، ﻭَﻓَﺮِّﻗُﻮﺍ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﻀَﺎﺟِﻊِ ) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানাদিকে নামাযের আদেশ দাও যখন তারা সপ্ত বর্ষে উপনীত হয়।নামায না পড়ার ধরুণ তাদেরকে প্রহার করো যখন তারা দশম বৎসরে উপনীত হয়।এবং সাথে সাথে তাদের শয়নস্থল কে পৃথক করে দাও।(সুনানু আবি-দাউদ-৪১৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/757


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো ভাই যদি তার আপন বোনকে বাজে উদ্দেশ্য নিয়ে ঘুমের সুযোগে বুকে স্পর্শ করে, তাহলে সেই ভাই-বোনের মধ্যে এখন পর্দা করাটা জরুরী। এজন্য যদিও উক্ত ভাই গায়রে মাহরাম হবে না, তবে ফিতনা থেকে বেঁচে থাকতে বোনের জন্য নিরাপদ দূরত্বে থাকা ও যথাসম্ভব পর্যাবৃত হয়ে থাকা জরুরী।

তাছাড়া যদি কোনো বোন তার আপন ভাইয়ের গোপনাঙ্গকে স্পর্শ করে, তাহলে এক্ষেত্রেও ভাইয়ের জন্য নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করাটা জরুরী।

বিঃদ্রঃ
অবশ্যই উক্ত ভাই এবং বোন, তারা অতিদ্রুত তাওবাহ করবে।এবং সামর্থ্য থাকলে তারা বিয়ে করে নিবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...