আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম।
কিছু প্রশ্ন ছিলো হুজুর। উত্তর দিলে খুবই উপকৃত হবো...

১. অফিস থেকে বলেছে ১ তারিখে অফিস থেকে খাওয়ানো হবে. কারো দুপুরের খাবার আনার প্রয়োজন নেই. এটা ছাড়া আর কিছুই বলে নাই.. আমার কাছে মনে হয়েছে যে বছরের প্রথম জন্য হয়তো তারা দিবে খাবার। এই খাবার খাওয়া যাবে?
না খেলে এটা তো দানা জিনিস, নষ্ট করা কি ঠিক হবে? তারা তো কারণ ও বলে নাই... উল্লেখ যে, অফিস থেকে মাঝে মাঝে খাবার খাওয়ায় কাজ ভালো করলে বা এমনিতে। এখন ১ তারিখের খাবার এর ব্যাপার এ কি করতে পারি? খাওয়া যাবে কি হুজুর ?

২. হাচ্ছি , কাশি দেয়ার সময় যদি কাপড়ে প্রসব লাগে তাহলে কি কাপড় বদলালে হবে নাকি শরীর ও ধুইতে হবে ?

৩. আমি ৩ মাস এর গর্ভবতী আলহামদুলিল্লাহ।  একজন আপুর কাছে শুনলাম ফরজ নামাজ এর পর "আন নূর" বলার পর পেট এ হাত বুলালে আল্লাহ'র রহমত এ সন্তান সুন্দর হয়. এটা কি সঠিক? আমি কি এভাবে পড়তে পারবো নাকি গুনাহ হবে।

৪. গর্ভাবস্থায় সব সময় মুখে মুখে পড়ার জন্য কি জিকির, দুআ বলে দিলে ভালো হয় হুজুর।

৫. গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন মাসে বিভিন্ন সূরা বেশি বেশি পড়ার কিছু ফজিলত আছে শুনা যায়।  এ অনুযায়ী কি আমল করতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (583,020 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি উক্ত খাবার খেতে পারবেন।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "

আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)

হাদীস শরীফে পেশাব থেকে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছেঃ
  
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ “.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৮০, বুখারী, হাদীস নং-১৩৬১}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
শরীরের পেশাব লাগা স্থান ধোয়া লাগবে। 
শরীরে পেশাব লাগা স্থান চিহ্নিত করতে না পারলে কোমর থেকে নিয়ে পায়ের পাতা পর্যন্ত
ধুয়ে ফেলবেন।

(০৩)
কুরআন হাদীসে উক্ত আমলের কথা কোথাও উল্লেখ নেই। 

তবে কোনো বুযুর্গানে দ্বীনের বলা আমল হতে পারে। দ্বীনের অংশ মনে না করে ও আবশ্যকীয় মনে না করে আমলটি করতে পারেন।

(০৪)
এক্ষেত্রে করনীয় আমল সম্পর্কে জানুনঃ- 

(০৫)
এমনটি কুরআন হাদীসে নেই।
,
আবশ্যকীয় মনে না করে আমলগুলি করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...