আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)

আসসালামু আলাইকুম শাইখ, 

প্রায় ৯ মাস আগে আমি একটি মেয়ের সৌন্দর্য দেখে তাকে প্রস্তাব জানাই এবং কিছুদিন কথাবার্তার পর সে রাজি হয়। তবে, আমরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তওবা করি এবং এই হারাম সম্পর্ক কে হালাল সম্পর্কে পরিণত করতে চাই। আমরা একে অপরের দ্বিনদারির (উভয়ই হারাম সম্পর্ক ছাড়া বাকি সকল বিধান মেনে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি, এটাও ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টায় আছি) কারণে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু, পরিবার আর সমাজের বাধার কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে বিয়ের আগ পর্যন্ত কোনো হারাম যোগাযোগ ছাড়া একে অপরের জন্য নির্দিষ্ট সময় (৩-৪ বছর) অপেক্ষা করবো। (বি:দ্র: আমাদের পরিবার এই বিষয়ে অবগত নয়, তবে আশা করা যায় বিয়ের সময় হলে তারা রাজি হবেন)

★ এই অপেক্ষা যদি দুনিয়াবি হালাল কোনো কারণে (সৌন্দর্য, ধন সম্পদ) ভালবাসার জন্য হয়, তবে কি তা হালাল? আংশিক দ্বিনদারির কারণে হলে কি হালাল? সম্পূর্ণভাবে দ্বিনদারির কারণে হলে কি হালাল? 

★ বিয়ের জন্য একে অপরকে ওয়াদা করা কি হালাল? (অনিচ্ছাকৃত কোনো সমস্যা না থাকলে বিয়ে করবো - এটা মূল ওয়াদা)। এখানে কোন কারণগুলো অনিচ্ছাকৃত কারণের অন্তর্ভুক্ত যেগুলো নিয়ে আল্লাহর কাছে আমি ওয়াদা ভঙগের জন্য দ্বায়ী থাকবো না? 

1 Answer

0 votes
by (579,240 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান হলো কোন গোনাহের কাজের প্রতিশ্রুতি দিলে তা পূর্ণ করা জায়েজ নয়। তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিবাহ পূর্ব প্রেম ভালোবাসায় কৃত কোনো ওয়াদা পালন করাই জরুরি নয়।  শরীয়ত বলে যে গোনাহের কর্মের কোন প্রতিশ্রুতিই পূর্ণ করা আবশ্যক নয়।

এমন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে কোনো গুনাহ হবেনা। 

আরো জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
ইসলামে বিবাহ পূর্ব প্রেম স্পষ্ট  হারাম।
হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন-

اَلْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظْرُ وَالْاُذُنَانِ زِنَاهُمَا الْاِسْتِمَاعُ وَاللِّسَانُ زِنَاهُمَا الْككَلَامُ وَالْيَدُ زِنَاهُمَا الْبَطْشُ وَالرِّجْلُ زِنَاهُمَا الخُطَا وَالْقَلْبُ يَهْوِىْ وَيَتَمَنَّى وَيُصَدِّقُ ذَالِكَ الْفَرْجُ اَوْ يُكَذِّبُه

“দুই চোখের ব্যভিচার হল হারাম দৃষ্টি দেয়া, দুই কানের ব্যভিচার হল পরনারীর কণ্ঠস্বর শোনা, যবানের ব্যভিচার হল অশোভন উক্তি, হাতের ব্যভিচার হল পরনারী স্পর্শ করা, পায়ের ব্যভিচার হল গুনাহর কাজের দিকে পা বাড়ান, অন্তরের ব্যভিচার হল কামনা-বাসনা আর গুপ্তাঙ্গঁ তা সত্য অথবা মিথ্যায় পরিণত করে।” (মেশকাত ১/৩২)

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 

সুরা বাকারার ১৬৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّتَّخِذُ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اَنۡدَادًا یُّحِبُّوۡنَہُمۡ کَحُبِّ اللّٰہِ ؕ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰہِ ؕوَ لَوۡ یَرَی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡۤا اِذۡ یَرَوۡنَ الۡعَذَابَ ۙ اَنَّ الۡقُوَّۃَ لِلّٰہِ جَمِیۡعًا ۙ وَّ اَنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعَذَابِ ﴿۱۶۵﴾

আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তারা তাদেরকে ভালবাসে আল্লাহ্র ভালবাসার মতই পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকে সর্বাধিক ভালবাসে । আর যারা যুলুম করেছে যদি তারা আযাব দেখতে পেত, (তবে তারা নিশ্চিত হত যে,) সমস্ত শক্তি আল্লাহরই। আর নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর।

অর্থাৎ কাফেররা আল্লাহকে যেমন ভালবাসে তাদের (মিথ্যা) মা’বুদদেরও তেমন ভালবাসে। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আল্লাহ তা'আলার ভালবাসা কাফেরদের মনেও ছিল, কিন্তু তা ছিল শির্কযুক্ত। একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্য নয়।

আরো জানুনঃ 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
এভাবে ওয়াদা দিয়ে অপেক্ষা করা শরয়ী দৃষ্টিকোন হতে জায়েজ নয়।

এখানে ওয়াদা ভঙ্গ হয়ে গেলে সেটা নিয়ে আল্লাহর কাছে আপনি ওয়াদা ভঙ্গের জন্য দ্বায়ী থাকবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
edited by
জাযাক আল্লাহু খাইর, শাইখ।।।
তবে,
 ★ আমরা যদি কোনো প্রকার হারাম যোগাযোগ ছাড়া বিয়ের উদ্দেশ্যে একে অপরের জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করি, তবে কি তা হালাল হবে?

★ এবং এই অপেক্ষা যদি দুনিয়াবি হালাল কোনো কারণে (সৌন্দর্যধন সম্পদ) ভালবাসার জন্য হয়, তবে কি তা হালাল? আংশিক দ্বিনদারির কারণে হলে কি হালাল? সম্পূর্ণভাবে দ্বিনদারির কারণে হলে কি হালাল? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...