আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম।

পূর্বের দিনে অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছিলাম। আর এমন দৌড়াদৌড়ি করলে পরে কোন সময় আমার মাঝে মাঝেই নাক  দিয়ে রক্ত আসে। তো ফজরের নামাজের অজু করি, কিন্তু অযুর শেষে নাক দিয়ে রক্ত বের হয়ে মোচের উপরে আসে, জামাত শুরু হতে 5 মিনিট ছিল। আমি অন্য একটা কাপড় ও টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলি। আর নামাজের চলে যায়। তখন নাকের সামনে হালকা রক্ত ছিল। টিস্যু দিয়ে মুছলে লাল রক্ত দেখছিলাম। আর আমাদের মসজিদের ইমাম আজকে সকালে এসেছিল না। আমি কেরাত একটু ভালো পারি, তো নামাজ পড়াই।

১.আমার নামাজ কি হয়েছে? আমি যে জামাতের ইমামতি করলাম? আমার নামাজ আর মুক্তাদীদের নামাজ?

২.এটা তো জ্ঞানের কমতি ছিল মনে হয়? সামনে এমন নামাজ নিয়ে সমস্যায় পড়তে না চাইলে কী করব?

৩.আমি তেমন কোন ফরজ ইলম অর্জনের চেষ্টা করিনি। কোন কোর্সও করি নাই। শুধু স্কুলের বই, আর কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত লেকচার, আর কোন সমস্যা পড়লে তারপরে এসে সার্চ দিয়ে দেখা এইটাই! এটার জন্য আমাকে গুনাহগার হতে হবে না? কেমন গুনাহগার?

৪. মাঝে মাঝেই এমন কোন সমস্যা হয়, যে কোথাও না কোথাও কিছু একটা ভুল করে ফেলেছি, কি করব উস্তাদ?
closed

1 Answer

0 votes
by (583,020 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/6428/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
শরীয়তের বিধান মতে অযু ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো  রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। (হেদায়া-১/১০)

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)

أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَعَفَ، انْصَرَفَ فَتَوَضَّأَ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি.-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অযু করে নিতেন। (মুয়াত্তা মালিক ১১০)

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُفْتِي الرَّجُلَ إِذَا رَعَفَ فِي الصَّلَاةِ، أَوْ ذَرَعَهُ قَيْءٌ، أَوْ وَجَدَ مَذِيًّا أَنْ يَنْصَرِفَ فَيَتَوَضَّأُ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি যদি কারো নামাযরত অবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত ঝড়তো, বা বমি হতো, বা মজি বের হতো তাহলে তাকে ফিরে গিয়ে অযু করার ফাতওয়া প্রদান করতেন। (মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক ৩৬১০)

আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত,  রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ أَصَابَهُ قَيْءٌ أَوْ رُعَافٌ أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْيٌ، فَلْيَنْصَرِفْ، فَلْيَتَوَضَّأْ
যে ব্যক্তির বমি হয়, অথবা নাক দিয়ে রক্ত ঝরে, বা মজি বের হয়, তাহলে ফিরে গিয়ে অযু করে নিবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ ১২২১)

ثم المراد بالخروج من السبيلين مجرد الظهور وفي غيرهما عين السيلان ولو بالقوة، لما قالوا: لو مسح الدم كلما خرج ولو تركه لسال نقض وإلا لا
যার সারমর্ম হলো  কেউ রক্তকে বের হওয়া মাত্রই যখমের মুখ থেকে মুছে নেয়,যদি উক্ত ছেড়ে দেয়া হত,তবে প্রবাহিত হত,এমন প্রকারের যখমের রক্তের কারণে অজু ভেঙ্গে যাবে।নতুবা অজু ভঙ্গ হবে না।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ১/১৩৪)

বিস্তারিত জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার নামাজও হয়নি,মুক্তাদীদের নামাজও হয়নি। পরবর্তীতে ঐ নামাজের ওয়াক্তে ই'লান করে দিবেন,যাতে করে মুক্তাদীরা সে নামাজের কাজা আদায় করে নেয়।

পাশাপাশি আপনিও উক্ত নামাজ এর কাজা আদায় করে নিবেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺿﺎﻣﻦ ﻭﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻣﺆﺗﻤﻦ، ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﺭﺷﺪ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﻭﺍﻏﻔﺮ ﻟﻠﻤﺆﺫﻧﻴﻦ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘ইমাম হচ্ছে দায়িত্বশীল আর মুয়াজ্জিন আমানতদার, হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ দেখান এবং মুয়াজ্জিনদেরকে ক্ষমা করুন’। (তিরিমিযী ২০৭)

(০২)
উক্ত স্থান ধুয়ে পুনরায় অযু করে নামাজ আদায় করতে হবে।

(০৩)
হ্যাঁ,ফরজে আইন পরিমান ইলম না জানার কারনে আপনাকে গুনাহগার হতে হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
পরবর্তীতে ভুল গুলো শুধরে নেয়ার চেষ্টা করবেন।
শুধরে নেয়া সম্ভব না হলে গুনাহের কাজ হলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।

বান্দার হক নষ্ট হলে বান্দার কাছেও ক্ষমা চেয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...