আসসালামু আলাইকুম,
আমার ১ম বিয়ে হয় ২০২২ সালে, তিন মাসেই ডিভোর্স হয়ে যায় (শ্বশুর শ্বাশুড়ি আমার ও আমার এক্স ওয়াইফের কিছু বোকামীর কারনে) - বলে রাখা ভালো, ১ম ওয়াইফ ছিল এমন যে, তার কোনো বাস্তবে বান্ধবী ছিল নাহ, একজন ছিল যা অনলাইনেই কথা হতো ফোন কলে, বাস্তবে তাদের দেখা স্বাক্ষাত হয়নাই কখনো। তো কোনো বন্ধু না থাকায় সে তার সব কথাই তার মার সাথে বা বড় বোনের সাথেই শেয়ার করে দিতো আকার ইংগিতে, যা স্পষ্ট বুঝাই যেতো সে কি বুঝাতে চাচ্ছে, এর ফলে তার মা বা বোন সব ই বুঝে যেতেন আমাদের সংসারে কি হচ্ছে এসব। মোট কথা। সাংসারিক প্রাইভেসি তেমন ছিল না তার কারনে। তাছাড়া সে একটু বোকা টাইপের ই ছিলো, ফ্রেন্ডসার্কেল না থাকায় যেমন মাইন্ডসেট হয় আর কি। সে তার বাপের বাড়ি যাবে এটাও আমার আম্মাকে না বলেই যেতো, যাওয়ার পর ও আম্মার সাথে ফোনে কথা বলবে বলেও কিছু বলতো নাহ, সে বলে কি বলবো আমি, লজ্জা নাকি লাগে এই সেই কথা। কিন্তু এসব কারনে যে আমি ছোট হই এসব বুঝে নাহ, আর কোনো বিষয়েই সিরিয়াস টাইপের ছিল না, ছেলে মানুষী স্বভাব টাইপ। আমার থেকে সে তার মা কে বেশি প্রাধান্য দিতো। অই যে ছোট থেকেই বন্ধু না থাকায় মা ই ছোট থেকেই তার বন্ধু তাই হয়তো।
তবে এমনিতে পর্দার ব্যাপারে সিরিয়াস ছিলো, নামাজে প্রবলেম ছিল (ফজর ও এশাতে), অনেক বুঝিয়ে বললে তবে গিয়ে কথা শুনতো, এমনিতে স্বামীর প্রতি ভালবাসা ছিল যা নরমেলি সব দ্বীনি মেয়েদের ই থাকে। যাই হউক তো সংসার ভেংগে যায় জাস্ট একটা থাপ্পড় দেয়ার কারনে, যেই কারনে থাপ্পড় দেই সেই কারনের জন্য সে নিজেই স্বীকার যায় (আল্লাহ স্বাক্ষী) যে দোষ তার ই ছিলো, আসলেই তার ছিলো, আমি এমনিতে রাগ হইনা, তাই বলে কেউ রাগ উঠালেও ঠান্ডা হয়ে থাকবো এমন চিন্তা করাটা তো বোকামী, সব মানুষের ই রাগ আছে।
ডিভোর্সের পর আজ প্রায় ২ বছর হয়ে যায় বিয়ে করি নাই। বিয়ে করিনাই অনেক কারনেই, ২ দুইটি কারন হলো, আর্থিক আর তাকে ভুলতে পারি নাহ। যেখানে যাই করি শুধুই তার কথা মনে পড়ে, স্বপ্নেও সে আসে, চিন্তা করতে গেলেও নিজের অজান্তে তাকে নিয়ে ক্লোজ হওয়ার মুহুর্তে চলে যাই, আবার ফিরে আসি। তারপর সিদ্ধান্ত নেই আবেগ রেখে বিয়ে করতেই হবে, এটাই বাস্তবতা।
তো কিছুদিন আগে মেয়ে দেখা হয়, মেয়ের বয়স ১৫, এবার সবে মাত্র নতুন ক্লাস নাইনে উঠেছে। তার বক্তব্য হলো, তার বান্ধবীরা প্রেম করে, সে প্রেম করতে চায় নাহ, বিয়ে করে নাকি স্বামীর সাথে জীবন উপভোগ করতে চায়।
তো তার কথা শুনে, মনে মনে ভালোই বললাম। কিন্তু আবেগ দিয়ে তো আর বিয়ে করে ফেলা যায় নাহ, যুগ তো ভাল নাহ। আমি তাকে ২০ টার মত প্রশ্ন করি, তার অবস্থা বুঝার জন্য। প্রশ্নের উত্তর শুনে যা বুঝলাম তা হলো,
(১) পর্দা ঠিকই করে তবে কঠোর নাহ, সব সময় নাকি পর্দা করতে পারে নাহ, যেমন ঃ কিছুদিন আগে নাকি তার মা অসুস্থ হয়, এই জন্য তার খালারা আসে বাসায় + খালাতো ভাই, তখন নাকি তাদের সামনে যেতে হয় বাধ্য হয়ে মুখ খুলে।
(২) দ্বীনের নিয়ম কানুনের ব্যাপারে একদমই কাচা, দ্বীনের পথে আসার পর ও বাসার সবাই নাকি গান শুনে, পরে নাকি সেও অভ্যস্থ হয়ে যায়, তাছাড়া মাঝেমধ্যে সে নাকি গান, সিনেমা, ভিডিও রিল ইত্যাদি দেখে ফেলে।
(৩) গাইরত কম বলেই মনে হয়েছে + কিছুটা বোকা টাইপের ই মনে হয়েছে কারন সেও সেইম আমার ১ম ওয়াইফের মতই, তার ও বান্ধবী না, মা ই সব, মা ই বন্ধু তার, সবচেয়ে বড় ভয় আমার এখানেই।
(৪) দ্বীনে ফিরার পর নাকি জ্বীনের সমস্যা হয়েছিল
(৫) মোট কথা ইসলামিক বিষয়ে তেমন জ্ঞান নেই, তবে পাত্রী আমাকে বলছে তাকে শিখিয়ে দিলে শিখতে রাজী আছে, মোট কথা স্বামীর কথা শুনবে। এর এমনিতে জেনেছি, সে নাকি প্রেম করেনাই আগে, স্বামীই হবে একমাত্র পুরুষ তার লাইফে, তাই জামাই পাগল কিছুটা বলেই মনে হয়েছে কথাবার্তায় তবে কথাবার্তায় আবেগী কথাও বিদ্যমান ছিল যা মনে হলো।
এখন, এমন একজন পাত্রীর ব্যাপারে আগানো কি আমার ঠিক হবে, আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারছি নাহ। তার বয়স ১৫, অল্প বয়স, মার কথাতেই চলবে যে এটা আন্দাজ করতে পারি, আমার বয়স ২৮ এটাতেও নাকি তার কোনো সমস্যা নাই (আবেগী কথা যা মনে হলো) + আমি ডিভোর্সী, সে অবিবাহিত। কুমারী মেয়ে বলে কি তার বাকি গুলা দেখবো না এটা কি হয়, অথচ ইসলামে বলা আছে, দ্বীনকে প্রাধান্য দিতে, দ্বীনকে যদি প্রাধান্য দেই, তাহলে সে এমনিতেই রিজেক্ট এর তালিকায় পড়ে যায়। আবার এটাও চিন্তা করি, অল্প বয়স, শিখিয়ে দিলে যদি শিখে তাহলে তো ভালো + তার লাইফের প্রথম পুরুষ হলে তো ভালবাসা টাও কম পাবো নাহ আর Real ভালবাসাটাই পাবো এটা আন্দাজ করা যায়। এখন আমি কোন দিকে যাবো?