আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ,আমরা ৬ তলায় থাকি | ৫ তলায় একটা ফ্ল্যাটে ৬/৭ টা মতো বিড়াল পালা হতো | বিড়াল মালিক বিড়ালগুলোকে সব সময় ছেড়ে রাখতো  বাহিরে | শুধু খাবারের সময় খাবার দিতো | তো এই বিড়াল বাহিরে রাখার কারনে অন্যান্যদের অসুবিধা হতো | যায় করনে বাড়িওয়ালা , উনাদের বাসা ছেড়ে চলে যেতে বলে | উনারা বাসা ছেড়ে যাওয়ার পর , এই বিড়াল গুলো যে যার মতো চলে যায় | শুধু দুই/তিনটা এই বিল্ডিংয়েই সিড়িতে , ছাদে বিভিন্ন জায়গায় থাকতে শুরু করে | একদিন একটা কে ক্ষুধার্ত দেখে আমরা খাবার দেই | এরপর থেকে ঐ বিড়ালটা খাবারের সময় হলেই আমাদের দরজার সামনে চলে আসতো | এমন করতে করতে আমরা ওর সাথে মায়ায় জড়িয়ে যাই এবং ওকে বাসায় নিয়ে আসি | সবকিছু ঠিক চলছিলো | কিন্তু ওর অভ্যাস বাহিরে বাহিরে ঘুরা | যার কারনে দিনের  অনেকটা সময় ও বাহিরে কাটাতো | একদিন ও আমার স্বামীকে আঁচড় দিয়ে বসে | আঁচড়টা হালকা হওয়ায় এই বিষয়টা আমরা আমলে নেই নাই | কিন্তু এর কয়েকদিন পরেই আমাকে আবার  আক্রমন করে | এবং এর ফলে আমার হাতের চামড়া ছিঁড়ে যায় | সামান্য রক্ত বের হয় | এরপর থেকে আম্মু বিড়ালটা কে বাসার বাহিরে রেখে দিয়ে আসছে | ও অনেকবার বাসায় আসার চেষ্টা করলেও ওকে বাহিরে রেখে আসতেছে বার বার | আর খাবার দেওয়া হচ্ছে না ওকে | আর , বাড়ি ওয়ালারাও নিষেধ করছে আমাদের খাবার দিতে | এমতাবস্থায় ওকে খাবার না দিলে বা ওকে বাসায় না রাখলে বা না থাকতে দিলে কি আমাদের গুনাহ হবে ? বিড়ালটার মনের  কষ্টের জন্য কি আমরা অভিশপ্ত হয়ে যাবো ? বা আল্লাহ কি নারাজ হবেন ? বিড়ালটা অনেক মায়া করে তাকায়ে থাকে আমাদের দিকে |

1 Answer

0 votes
by (602,190 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4980

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু এই বিড়ালকে আপনারা বাহিরে ছেড়ে দিয়েছেন,এখন সে তার জন্য নির্ধারিত রিযিক ভক্ষণ করবে। বাহিরে ছেড়ে দিয়ে আসার কারণে উপরোক্ত হাদীসে বর্ণিত শাস্তি আপনাদের উপর আপতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...