আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
606 views
in পবিত্রতা (Purity) by (18 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহিওয়া বারকাতুহু।
১. হায়েজ অবস্থায় ইউটিউব থেকে কি আরবি ভাষা শেখার কোর্স করা যাবে? যেখানে আরবি শব্দ ও বিভিন্ন ডায়লগ শেখানো হয়?
২. হায়েজ অবস্থায় কি মোবাইল এপ থেকে বাংলায় হাদিস পড়া যাবে?
৩ . হায়েজ হলে মোবাইল থেকে কুরআনের শুধু বাংলা অনুবাদ পড়া যাবে?
৪৷ হায়েজ অবস্থায় ইউটিউবে ছোট সূরার অর্থ শেখা যাবে?
৫. "ফিদাকা আবী ওয়া উম্মি ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) "
"ক্বলবি ওয়া রুহি ফিদাক ইয়া রাসুলাল্লাহ"
কথাগুলো বলা বা লেখার ক্ষেত্রে কোনো বিধান আছে কি? এতে কোনো ধরনের ভুল হবে কি? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কিছু লেখার সময় উক্ত কথাগুলো লিখলে কোনো সমস্যা হবে?
জাযাকাল্লাহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জবাবঃ- 
7218 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ করেছি,
অপবিত্র বা হায়েয অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-793

হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে।জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মহিলাদের জন্য হারাম, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হবে।তবে দু'আ  যিকিরের নিয়তে কুরানের আয়াত পড়া যাবে।তেলাওয়াতের নিয়তে পড়া যাবে না।যেমন,বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।রাব্বানা আ'তিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।এ জাতীয় কুরআনের আরো অন্যান্য আয়াত।

তারা দলীল হিসেবে উপস্থাপন করেন,হায়েয অবস্থায় কুরআনকে স্পর্শ করা যাবে না।
হায়েয অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত সম্পর্কে স্পষ্টকরে কিছু আসেনি।তবে হাদীসে স্পষ্টভাবে কুরআন তিলাওয়াত নিয়ে বর্ণিত হয়েছে,
(১)হায়েযা মহিলা জুনুবী মহিলার মতই।যেহেতু উভয়ই গোসলের মাধ্যমে পবিত্র হন।হযরত আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
 عن علي بن أبي طالب رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم  كان يعلمهم القرآن وكان لا يحجزه عن القرآن إلا الجنابة "
রাসূলুল্লাহ সাঃ লোকদিগকে কুরআন শিক্ষা দিতেন।জানাবত তথা সহবাস ও স্বপ্নদোষ পরবর্তী অপবিত্রতা ব্যতীত অন্যকোনো জিনিষ কুরআন শিক্ষা থেকে বাধা দিত না।(সুনানু আবি-দাউদ-১/২৮১,সুনানু তিরমিযি-১৪৬,সুনানু নাসাঈ-১/১৪৪,সুনানু ইবনি মা'জা-১/২০৭মসনদে আহমদ-১/৮৪,সহীহ ইবনে খুযাইমাহ-১/১০৪)

হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم  قال : " لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئاً من القرآن
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হায়েযা এবং জুনবী ব্যক্তি কুরআন থেকে কিছুই পড়তে পারবে না।(সুনানু তিরমিযি-১৩১) বিস্তারিত জানুন-389

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
হায়েয অবস্থায় কুরআনে কারীমের তেলাওয়াত করা যাবে না। তবে তিলাওয়াত ছাড়া অর্থ বা তাফসির পড়া যাবে।
সুতরাং
(১)
হায়েজ অবস্থায় ইউটিউব থেকে কি আরবি ভাষা শেখার কোর্স করা যাবে।
(২)
হায়েজ অবস্থায় কি মোবাইল এপ থেকে বাংলায় হাদিস পড়া যাবে।
(৩)
হায়েজ হলে মোবাইল থেকে কুরআনের শুধু বাংলা অনুবাদ পড়া যাবে।
(৪)
হায়েজ অবস্থায় ইউটিউবে ছোট সূরার অর্থ শেখা যাবে।
(৫)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কিছু লেখার সময় প্রশ্নোল্লিখিত কথাগুলো বলা যাবে।
 "ফিদাকা আবী ওয়া উম্মি ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) "
"ক্বলবি ওয়া রুহি ফিদাক ইয়া রাসুলাল্লাহ"


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...