আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
reshown by
Assalamualaikum.
১. শিশুরা সুন্নাতে খতনা করা অবস্থায় পৃথিবীতে আসা সম্পর্কে হাদিসে উল্লেখ আছে কী?কিছুদিন পূর্বে আমার নাতিন হয়েছে।সে সুন্নাতে খতনা অবস্থায় এসেছে।এটা নিয়ে গ্রামের লোকজন অনেল কথাই বলে থাকেন আমি জানতে চাচ্ছি ইসলামে এ বিষয়ে কিছু বলা আছে কী না!

২.একজন ছেলে বিগত ১১ বছর আমাকে ও আনার পরিবারকে ডিসটার্ব করেছে।বর্তমানে সে দ্বীনের পথে আসছে সম্ভবত। আমার মায়ের কাছে কল দিয়ে ক্ষমা চেয়েছ।এবং আমার আব্বার কাছে ক্ষমা চাইবে তবে সরাসরি।আমরা বাড়িতে গেলে তখন।বলেছে আমার মুখে শুনতে চায় আমি ক্ষমা করেছি কিনা।শুধু এটুকু শুনতে চায় 'আমি আপনাকে ক্ষমা করলাম ' কিন্তু আমি কোনোভাবেই বলতে রাজি নই।যদিও তাকে এমনিই ক্ষমা করে দিয়েছি। সে আমাকে স্কুলে যাওয়ার সময় প্রতিদিন পলো করত পিছন পিছন হাটত তবে আমাকে কিছু বলার সাহস পেত না।আমাদের ডাব চুরি করত,আম,কাঠাল সহ অনেল কিছু পোলাপাইন দিয়ে চুরি করাতো।আমি কথা বলিনি বিধায় হাত কেটে রক্তাক্ত করা সহ এমন কিছু বাদ ছিল না আল্লহর বান্দা করেনি।সাথে তার পরিবারের সাপোর্ট ছিল।আমাদের পাশেই তাদের বাসা।সেই লোক নাকি বলছে এটা তার আবদার,সে ভালো হয়ে গেছে আর কখনও কারো ক্ষতি করবে না।আমি একরোখা বিধায় কখনই আমার মুখ দিয়ে কোনো কথা কেও বের করতে পারেনি,পজিটিভ ইঙ্গিত পায়ন কেও।সেজন্য ওরা আমাকেে রোবট বলতো যখনই দেখত।আনি কখনই বেপর্দা চলিনি আলহামদুলিল্লাহ। একই এলাকায় থাকায় ছোট সময় দেখেছে স্কুলে যাওয়ার সময় ক্লাস ৬ অবধি। আল্লহ মাফ করুন,যদিও তখন সাবালিকা ছিলাম না

আমার জন্য কী এটুকু বলা জায়েজ যে আমি আপনাকে ক্ষমা করলাম??

৩.
বর্তমানে ৩-৪ দিন ধরে আমি একটু পানিও খেতে পারিনি বমিটিং হয়।বেড এ পরে থাকি শয্যাশয়ী বলা যায়।তবে হাটাচলা করতে পারি বা ক্লাসে যেতে পারি, সলাত আদায় করতে পারি বাকি সময় বেড এ থাকা লাগে।আইন, খ্ব,ক্বফ,গইন এই হারফগুলো উচ্চারন করতে পারিনা।গলায় লাগলেই বমি হয় নয়ত যথেষ্ট কষ্ট হয়।প্রশ্ন আমি সলাত আদায়ে আইন হারফ যদি কিছুটা হামজাহ এর মতো হয় এতে কী সলাত ভেঙে যাবে বা পুনরায় সলাত আদায় করতে হবে?
৪. বাসায় মেহমান আসছে,এক পিচ্চি (১২ বছর বয়সী মেয়ে) সে আমার কাছে ঘুমাতে চায়।তো একদিন বললাম ঠিল আছে। সেদিন ধরে সে ঘুমাবে নয়ত ঘুমাতে পারবে না এমনটা বলে।সে আমার উপর হাত পা দিলে আমার যথেষ্ট আনইজি লাগে তাই আমি তাকে কোলবালিশ দেই ২টা।তার টাচ আমার কাছে বেডটাচের মতো লাগে,এবং আমি এমন কিছু বিষয় লক্ষ্য করি যা এখানে বলার মতো ভাষা পাচ্ছি না,ছোট্ট একটা মানুষ কিন্তু মাস্টারবেশনে অভ্যস্ত।এজন্য পরের দিন আমি বলি তুমি তোমার আম্মুর সাথে ঘুমালেই ভালো হয়। দেন সে খুব কষ্ট পায়।সে এবং তার মা।এতে কী আমার গুনাহ হবে?

৫. আমার মোবাইল দিয়ে একজন তার হাসব্যান্ডের সাথে কথা বলে, কথা বলার সময় ব্যাক ক্যামেরা দিয়ে আমাকে দেখায় এটা আমি বুঝতে পারি।এবং পরে আমি বলি কথা বলার সময় আপনি আপনার রুমে যেয়ে কথা বললে ভালো হয়।পরে কেন আস্ক করে তাকে বলি ব্যাক ক্যামেরা দিয়ে আপনি আমাকে দেখিয়েছন।তার ধারনা এটা জায়েজ ঘরের মানুষই ত।বুঝে না কোনোভাবেই। দেন আমি আর তর্ক করিনি।
তবে স্ট্রিক্টলি বলে দিয়েছি কথা যেন তার নিজের রুমে যেয়ে বলে।এতেও সে যথেষ্ট কষ্ট পায়।নরমালি পজিটিভলি বুঝে না।এতে কী আমার গুনাহ হবে?
যদিও অন্যায় কিছু বলিনি গুনাহ হওয়ার সুযোগও নেই তবুও আমার দ্বিধা কাজ করে, যদি আমাকে একটু বলতে ভালো হতো।

৬. একটা বিষয় বুঝতে পারছি না।ধরুন আমার কাছে হাত খরচের টাকা জমানো ৫০০০ টাকা আছে।এখন আমার প্রয়োজনীয় কিছু লাগবে।যেগুলো না হলে আমার চলতে খুব বেশি কষ্ট হবে না
অপরদিকে জানতে পারলাম আমার এক নিকটআত্নীয় টাকার জন্য চিকিৎসা করতে পারছেনা।প্রচন্ড জ্বর,বা ঘা বা ফোড়া এরকম কিছু।এটা শুনে আমি আমার সেই ৫০০০ হাজার টাকা থেকে ৪০০০ টাকা তাকে দিয়ে দিলাম।
সামহাও সেটা আমার পরিবারের কেও কেও জানতে পেরে খুব বকা দিচ্ছে।,[এখানে আমার অনেক দামি দামি কসমেটিকস রয়েছে,হাদিয়া পেয়েছি সবগুলো।কিন্তু আমি সহজে সাজি না সাজলেই নজর লেগে যায় ঘরের মানুষের।কিন্তু আমার আশেপাশের কিছু বিবাহিত মানুষ যারা সাজতে পারে না কসমেটিস এর অভাবে, আমি যেহেতু সাজিনা নরমালি তাই আমি আমার কসমেটিকস গুলোর তাদের দিয়ে দেই যেন তারা সাজতে পারে ভালো থাকতে পারে]।
আমার প্রশ্ন, এখানে কী নিজের প্রয়োজন মিটানোটাই উত্তম নাকি অন্যের প্রয়োজনে অন্যকে দেয়াটা উত্তম,হযবরল অবস্থা আমার।কাইন্ডলি জানাবেন মিন ফাদলিক

।জাযাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (601,620 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
এমনটা হতে পারে। আল্লাহর হুকুমে যে কোনো কিছু, যেকোনো মুহূর্তে হওয়া সম্ভব 
(২)
জ্বী, আপনি তাকে এতটুকু বলতে পারবেন যে, তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।

(৩) যেভাবে সম্ভব সেভাবেই নামায আদায় করে নিবেন। যেভাবে সম্ভব সেভাবেই তিলাওয়াত করে নিবেন।

(৪) না, এতে আপনার গোনাহ হবে না।

(৫) শাসন করার জন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।

(৬) প্রথমে নিজ জরুরত পূর্ণ করবেন। তবে প্রসাধনী সামগ্রী জরুরতের আওতাধীন নয়, বরং সেটা তাহসিনিয়্যাতের অন্তর্ভুক্ত  সুতরাং প্রসাধনীর জন্য ব্যয় না করে বরং অন্যের জরুরত পূর্ণ করাই উত্তম।


বিঃদ্রঃ
মানুষের প্রয়োজন তিন প্রকারের হতে পারে।
(১)জরুরত (এমন প্রয়োজন যা না হলে নয়) : 
এমন এক ধরনের প্রয়োজন, যা ছাড়া জীবন হুমকির মুখে পড়ে যায়। যেমন, মরুভূমিতে ক্ষুধার্ত একজন মানুষ, যার কাছে কোনো খাবার নেই। (এই পরিস্থিতিতে মানুষটি জীবন বাঁচানোর তাগিদে হারাম বস্তুও ভক্ষণ করতে পারবে)।

(২)হাজত (এমন প্রয়োজন যা না হলে অত্যাধিক কষ্ট হবে) : 
কষ্ট বা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে যা করা হয়ে থাকে। (এখানে কষ্ট বা যন্ত্রণা বলতে জীবনের জন্যে হুমকিস্বরূপ বোঝাচ্ছে না) যেমন- একজন সাওম পালনকারী ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে। ফরজ সাওম হলেও এ ক্ষেত্রে তা ঐ ব্যক্তির জন্যে ভাঙার অনুমোদন রয়েছে।বা মেয়ের বিয়েতে টাকার প্রয়োজন।
 
(৩)তাহসিন (পছন্দনীয় ও সুশোভিতকরণ) :
এ ধরনের প্রয়োজনীয়তাগুলো মানুষের পোশাক-আশাক ও আচার-আচরণের পরিশুদ্ধতা ও পরিপূর্ণতার জন্যে এবং জীবনের মান উন্নয়নের জন্যে দরকারি। যেমন, একজন মানুষের শারীরিক অবস্থা ঠিক রাখার জন্যে মাছ, মাংস ও ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...