১. আমার স্থায়ী নিবাস (বিয়ানীবাজার, সিলেট) থেকে বর্তমান কর্মক্ষেত্রে অস্থায়ী নিবাস (মৌলভীবাজার) ৯০ কিলোমিটার দূরে। আমি মৌলভীবাজার থেকে আমার বাড়িতে এসেছি। সেখান থেকে আবার মৌলভীবাজার ফিরে যাওয়ার পথে আমার কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। তা হলো,
আমি এখান থেকে সিলেট শহরে যাবো, শহরে তিনদিন থেকে, হবিগঞ্জ শশুরালয়ে যাবো (হবিগঞ্জ) সেখানে একদিন থেকে কক্সবাজার যাবো, সেখান থেকে আবার হবিগঞ্জ থেকে মৌলভীবাজার ফিরে আসবো।
এখন আমার জিগ্যেসা হলো:
এখন আমার স্থায়ী নিবাস, বিয়ানীবাজার ত্যাগের সময় আমি কক্সবাজার যাওয়ার নিয়তে বের হলে, সিলেট শহরে তিন দিন(যা স্থায়ী নিবাস থেকে ৫০ কিলো) + হবিগঞ্জ শহর,কক্সবাজার হয়ে মৌলভীবাজার ফিরে আসার দিনগুলো নামাজ কি কসর করবো?
(আপনার সুবিধার্তে দুটি বিষয় উল্লেখ্য করি, আমার সর্বমোট সফর ১২ দিনের মতো,বা ১৫ দিনের কম, এবং আমি বাড়ি থেকে সিলেট শহর হয়ে হবিগঞ্জ যাওয়ার পথে মৌলভীবাজার জেলা পরলেও শহর/যে এলাকায় থাকি তা পরবে না এবং মৌলভীবাজার শিফট করার আগে আমি পড়াশোনা ও চাকুরীর সুবাদে ৬ বছর হবিগঞ্জ ছিলাম,গত নভেম্বরে মৌলভীবাজার চাকুরী হওয়ায় সেকঅন থেকে মৌলভীবাজার চলে এসোছি)
২. আমার স্ত্রীর বাড়ি তো হবিগঞ্জ, বিয়ের পর থেকে স্থায়ী ভাবে বসবাসের নিয়তে এখনো আমার গ্রামের বাড়ি (বিয়ানীবাজারে) আসে নি, ২-৫ দিনের জন্য এসেছে, হবিগঞ্জ /মৌলভীবাজার আমার কর্মক্ষেত্রেই থেকেছে, এখানে যেহেতু স্থায়ী নিয়তে কখনোই আসা হয় নি তার, তাই কসর ই করে। এখন সে তো আমার সাথে থাকার জন্য তার এালাকা থেকে মৌলভীবাজার এসে পরেছে সেখানে থাকছে। মৌলভীবাজার আমার স্থায়ী কিছুই নাই, এখন আমার বউ তার শহরে গেলে কি কসর করবে? না কি এখনো তার শহর তার স্থায়ী বাসস্থান বিবেচনায় থেকে কসর করবে না। একটু বিস্তারিত বলবেন।
৩. স্ত্রীর সাথে একদিন সময় সংক্রান্ত আলোচনা করার সময় সে বলে, " আমি মাঝে মাঝে ভাবি আল্লাহ এই সবকিছু কেনো তৈরি করলেন? অযথা না?"
তারপর বললাম আল্লাহর কাজের হিকমত বুঝার মতো ক্ষমতা আমাদের নাই, তারপর সে বলে তা ঠিক বলেছো।
এই কথার দরূন কি কুফর হবে?