ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত দুধ পান করানো যাবে।
وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ ۖ لِمَنْ أَرَادَ أَن يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ ۚ [٢:٢٣٣]
আর সন্তানবতী নারীরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ন দু’বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়। [সূরা বাকারা-২৩৩]
وهو حولان ونصف عنده وحولان عندهما وهو الأصح (رد المحتار، كتاب النكاح-4/393)
وهى أى مدته حولان ونصف أى ثلاثون شهرا من وقت الولادة عند الإمام، وعندهما حولان وهو قول الشافعى وعليه الفتوى كما فى المواثب، وبه أخذ الطحاوى (مجمع الأنهر-1/552
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী সন্তানকে দুধ পান করানোর মেয়াদ চান্দ্র বছর হিসেবে দুই বছর। এটাই সাহাবাইনের মত এবং এটার উপরই ফাতাওয়া।
কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, (তরজমা) আর মায়েরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাবে। (এ বিধান) তার জন্য যে দুধ পানের (মেয়াদ) পূর্ণ করতে চায়। [সূরা বাকারা : ২৩৩]
আরেক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, আর তার (সন্তান) দুধ ছাড়ানো হয় দু বছরে। [সূরা লুকমান : ১৪]
সুতরাং দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পর সন্তানকে আর দুধ পান করানো যাবে না।
[সূরা বাকারা : ২৩৩; তাফসীরে তবারী ৪৯৬২; মুখতাসারুত তহাবী ২২০; ফাতহুল কাদীর ৩/৩০৯; গুনইয়াতু যাবীল আহকাম শুরুম্বুলালীয়া ১/৩৫৫, ৩৫৬; আলবাহরুর রায়েক ৩/২২৩]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাধারণত দুই বৎসর পর্যন্ত দুধ পান করানো যায়।
এটাই সাহাবাইনের মত এবং এটার উপরই ফাতাওয়া। হিসাব চন্দ্র বর্ষ হিসেবে হবে। তবে যদি কেউ কোনো কারণে এর চেয়ে বেশী সময় পান করিয়ে নেয়, তাহলে সমস্যা নেই। কেননা ইমাম আবু হানিফা রাহ এর আড়াই বৎসর পর্যন্ত দুধ পান করানো যায়। যদি এ কথার উপর ফাতাওয়া নয়।