আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
67 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার পরিচিত একজনের শ্বশুর শাশুড়ি তার উপর মুখের কথা দিয়ে প্রচুর মানসিক অত্যাচার করে। সে তার স্বামীর সাথে কোনো কাজে বা ঘুরতে বের হলেও বাজে কথা বলে। যেমন শ্বশুর বলেছে,"আমার ছেলেকে কেউ দাওয়াত দিলে তুমি কেনো যাবা? আমার ছেলে বললেই তুমি যাবা? আমার ছেলে তোমার ভগবান যে ওর পূজা করবা, ও যা বলবে তাই করবা?" ছেলে ও ছেলের বউ প্র্যাকটিসিং। শ্বশুর পরকীয়াতে আসক্ত এটা তার পরিবারের ও কাছের সবাই জানে। আর শাশুড়ী নিজের স্বামীকে সহ্য করতে পারে না কিন্তু যখন ছেলের বউয়ের পিছনে লাগার হয় স্বামীর কাছে কথা লাগায়, আর ওই লোক ও যেহেতু পরকীয়া করে, নিজের বউকে হাতে রাখতে বউয়ের কথায় ছেলের বউয়ের সাথে, বউয়ের বাবা মার সাথেও খারাপ ব্যবহার করেছে। ছেলের বউকে পর্দা নিয়েও অপবাদ দিয়েছে যে সে নাকি পর্দা করে খালি বাইরে বাইরে থাকতে চায়, আরো অনেক অপবাদ। আর ওই পরিবারের কেউ ছেলে আর ছেলের বউয়ের ভালো সম্পর্ক সহ্য করতে পারছে না।

ছেলে খুব ভালো, বউয়ের সাপোর্টে। বউ এতদিন শাশুড়ির প্রতি দয়া মায়া থেকে খুব দোয়া করতো যেন শশুর ভালো হয়ে যায়, শাশুড়ীও সেই বউকে অনেক কষ্ট দিয়েছে তাও মহিলার জন্য দোয়া করতো। কিন্তু শশুর এই বাজে কথাগুলো বলার পর মেয়েটা নামাজ পরে সিজদায় কেদে কেদে এদের বদদুআ দিয়েছে। অনবরত দুআ করছে তার সব বদদুআ যেন কবুল হয়, এদের দুনিয়া আখিরাত দুইটাই যেন ধ্বংস হয়। এজন্য মেয়েটার গুনাহ হবে? আর এই বদদোয়াগুলো কি আল্লাহ কবুল করেন নাকি নারাজ হন?

আর এদের মৃত্যুর দোয়া করা কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (606,750 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শশুর-শাশুড়ীর খেদমত করতে যে সব স্বামীরা স্ত্রীর উপর আমানবিক নির্যাতন করে,তাদের জেনে রাখা উচিত -একেতো তাদের খেদমত স্ত্রীর উপর ওয়াজিব নয়!দ্বিতীয়ত শশুরের খেদমতে ফিতনার আশংকা আছে! তাই স্বামী নিজে আপন মাতা-পিতার খেদমত করবে অথবা পারিশ্রমিক দিয়ে করাবে।
স্ব ইচ্ছায় শাশুড়ীর খেদমত করা বধুর নৈতিক দায়িত্ব ,কিন্তু এক্ষেত্রে বধুর উপর কোন রকম চাপ প্রয়োগ করা যাবেনা,এবং বধুর খেদমতকে অনুগ্রহ বিবেচনা করাও শ্বাশুড়ীর নৈতিক দায়িত্ব।

মোটকথাঃ-
এককপরিবার ব্যবস্থা ও যৌথপরিবার ব্যবস্থা উভয়ই বৈধ।
আমাদের দেশে যেহেতু পূর্ব থেকেই  যৌথপরিবার ব্যবস্থা চলে আসছে, এবং এককপরিবার ব্যবস্থাকে মা-বাবা সহ অনেকেই মেনে নিতে পারেন না।এমনকি অনেকে এককপরিবার ব্যবস্থাকে কটাক্ষ করে ও নিন্দা মনে করে,তাই যৌথপরিবারই আমাদের জন্য আপাতদৃষ্টিতে মাননসই ও গ্রহণযোগ্য হবে,তবে যাতে শরীয়তের কোনো বিধি-বিধান লঙ্ঘন না হয় সেদিকে তীক্ষ্ণদৃষ্টি অত্যান্ত গুরুত্বতার সাথে রাখতে হবে, আল্লাহ না করুক যদি কোনো অঘটন ঘটে যায়,সেক্ষেত্রে সমস্ত দায়-দায়িত্ব কিন্তু আপনার-ই।যখন আমাদের সমাজ এককপরিবার ব্যবস্থাকে মেনে নিবে তখন সেটাই সবার জন্য মঙ্গলজনক ও নিরাপদ হবে।একক পরিবার না যৌথ পরিবার?কোনটা অগ্রহণযোগ্য?এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঐ বোনের উচিৎ সবকিছু ভুলে গিয়ে শশুড় শাশুড়ীকে ক্ষমা করে দেয়া । যদি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কখনো মুখ থেকে বদদুআ বের হয়ে যায়, তাহলে এজন্য তার গোনাহ হবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ 
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ : ( ﻟَﺎْ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟْﺠَﻬْﺮَ ﺑِﺎﻟﺴُّﻮﺀِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘَﻮْﻝِ ﺇِﻻَّ ﻣَﻦْ ﻇُﻠِﻢَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﻤِﻴْﻌًﺎ ﻋَﻠِﻴْﻤًﺎ ) ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ 148/ .
আল্লাহ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ। ( সূরা নিসা-১৪৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/19877


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...