আসসালামু আলাইকুম। আমার পরিচিত একজনের শ্বশুর শাশুড়ি তার উপর মুখের কথা দিয়ে প্রচুর মানসিক অত্যাচার করে। সে তার স্বামীর সাথে কোনো কাজে বা ঘুরতে বের হলেও বাজে কথা বলে। যেমন শ্বশুর বলেছে,"আমার ছেলেকে কেউ দাওয়াত দিলে তুমি কেনো যাবা? আমার ছেলে বললেই তুমি যাবা? আমার ছেলে তোমার ভগবান যে ওর পূজা করবা, ও যা বলবে তাই করবা?" ছেলে ও ছেলের বউ প্র্যাকটিসিং। শ্বশুর পরকীয়াতে আসক্ত এটা তার পরিবারের ও কাছের সবাই জানে। আর শাশুড়ী নিজের স্বামীকে সহ্য করতে পারে না কিন্তু যখন ছেলের বউয়ের পিছনে লাগার হয় স্বামীর কাছে কথা লাগায়, আর ওই লোক ও যেহেতু পরকীয়া করে, নিজের বউকে হাতে রাখতে বউয়ের কথায় ছেলের বউয়ের সাথে, বউয়ের বাবা মার সাথেও খারাপ ব্যবহার করেছে। ছেলের বউকে পর্দা নিয়েও অপবাদ দিয়েছে যে সে নাকি পর্দা করে খালি বাইরে বাইরে থাকতে চায়, আরো অনেক অপবাদ। আর ওই পরিবারের কেউ ছেলে আর ছেলের বউয়ের ভালো সম্পর্ক সহ্য করতে পারছে না।
ছেলে খুব ভালো, বউয়ের সাপোর্টে। বউ এতদিন শাশুড়ির প্রতি দয়া মায়া থেকে খুব দোয়া করতো যেন শশুর ভালো হয়ে যায়, শাশুড়ীও সেই বউকে অনেক কষ্ট দিয়েছে তাও মহিলার জন্য দোয়া করতো। কিন্তু শশুর এই বাজে কথাগুলো বলার পর মেয়েটা নামাজ পরে সিজদায় কেদে কেদে এদের বদদুআ দিয়েছে। অনবরত দুআ করছে তার সব বদদুআ যেন কবুল হয়, এদের দুনিয়া আখিরাত দুইটাই যেন ধ্বংস হয়। এজন্য মেয়েটার গুনাহ হবে? আর এই বদদোয়াগুলো কি আল্লাহ কবুল করেন নাকি নারাজ হন?
আর এদের মৃত্যুর দোয়া করা কি জায়েজ হবে?