আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ, সম্মানিত উস্তাজ।

খুবই বিপদে পড়ে নিম্নোক্ত বিষয় সম্পর্কে শরিয়ত কি বলে জানতে চাচ্ছি।

আমার এক চাচাতো বোন বিগত ১০ মাস আগে বিধবা হয়ে যায়। আপুর বয়স ৩৫ চলছে। আপুর দুইটা সন্তান ।একজন ৫ম শ্রেনীতে এবং আরেকজন ২য় শ্রেনীতে পড়ে । আপুর স্বামী যখন মারা যায় তখন বেশ কিছু টাকা ঋণগ্রস্ত অবস্থায় মারা যায়।  উনার স্বামী এমন কিছু রেখে যায় নি যা দ্বারা উনি উনার সন্তানদের নিয়ে চলতে পারে। আপুটার ভাই বোনেরা তাকে একটু সাহায্য করার চেষ্টা করে কিন্তু তাদের অবস্থাও খুব একটা  ভালো না। গত কয়েক মাস ধরে উনি একটা কেজি স্কুলে বাচ্চাদের পড়াচ্ছে ।ওখান থেকে ২০০০ টাকার মতো হাদিয়া পাই । আর বাসায় কয়েকটা ছোট বাচ্চাকে পড়াই ওখান থেকে ২০০০ টাকার মতো হাদিয়া পাই । এই টাকা দিয়েই উনি উনার ছেলে মেয়েদের নিয়ে চলছে। এখন সমস্যা হলো  আপুর কোনো একাডেমিক সার্টিফিকেট নেই।কারন উনি যখন দশম শ্রেণিতে পড়ে তখন উনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরপর আর লেখাপড়া কন্টিনিউ করে নি।  আর একাডেমিক সার্টিফিকেট ছাড়া তো কোথাও শিক্ষকতার মতো কাজ করা যাই না , সেটা যত প্রাইমারি লেবেলের হোক না কেন। হয়তো মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আর উনি  যেহেতু বাচ্চাদের খুব সুন্দরভাবে কন্ট্রোল করতে পারে তাই স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে  আপনি অন্তত কারো একটা এস এস সি সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করুন। যেটা উনার নামে ওখানে ব্যবহৃত হবে। এই অবস্থায় ঐ আপুটা আমার আপুর কাছে আসে তার এসএসসির সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য। এখন যদি আমরা সার্টিফিকেটটা দিয়ে দেই তাহলে তো এটা একটা প্রতারণা হয়ে যাবে। আর উনাকে যদি সরাসরি না করি যেহেতু উনি একজন পরিপূর্ণ প্রাক্টিসিং মুসলিমা নয় সেহেতু তিনি এ বিষয়টাকে খুব ভালোভাবে নেবেনা। উল্টো বলবে আমার এই অসহায় অবস্থায় তোমাদের কাছে সাহায্য চাইলাম কিন্তু তোমরা আমাকে সাহায্য করলে না। এমতাবস্থায়  আমরা কি করতে পারি দয়া করে জানাবেন।

বি. দ্র. আপুটা ঐ স্কুলে বেশ কয়েক মাস ধরে আছে এবং কর্তৃপক্ষ তাকে উপরোক্ত কাজের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।

1 Answer

0 votes
by (599,820 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জরুরত অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে হালাল করে দেয়,
 ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।
যেমনঃ-কোরআন থেকে.....
 ﻭَﻣَﺎ ﻟَﻜُﻢْ ﺃَﻻَّ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﻣِﻤَّﺎ ﺫُﻛِﺮَ ﺍﺳْﻢُ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﻗَﺪْ ﻓَﺼَّﻞَ ﻟَﻜُﻢ ﻣَّﺎ ﺣَﺮَّﻡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﺍﺿْﻄُﺮِﺭْﺗُﻢْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻭَﺇِﻥَّ ﻛَﺜِﻴﺮًﺍ ﻟَّﻴُﻀِﻠُّﻮﻥَ ﺑِﺄَﻫْﻮَﺍﺋِﻬِﻢ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﻋِﻠْﻢٍ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻌْﺘَﺪِﻳﻦ
তরজমাঃ-কোন কারণে তোমরা এমন জন্তু থেকে ভক্ষণ করবে না, যার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়, অথচ আল্লাহ ঐ সব জন্তুর বিশদ বিবরণ দিয়েছেন, যেগুলোকে তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন; কিন্তু সেগুলোও তোমাদের জন্যে হালাল, যখন তোমরা নিরুপায় হয়ে যাও। অনেক লোক স্বীয় ভ্রান্ত প্রবৃত্তি দ্বারা না জেনে বিপথগামী করতে থাকে। আপনার প্রতিপালক সীমাতিক্রম কারীদেরকে যথার্থই জানেন।(সূরা আন-আম-আয়াতঃ-১১৯)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
একজনের সার্টিফিকেট অন্যজনের নামে চালিয়ে নেওয়া প্রতারণা হবে। এটা স্পষ্টত ধোকা ও প্রতারণা হবে। তবে প্রশ্নের বিবরণমতে যেহেতু স্কুল কর্তৃপক্ষ তাতে সম্মত রয়েছে, এবং মহিলারও চাকুরীর অত্যান্ত প্রয়োজন। তাই পর্দা পুশিদা রক্ষার শর্তে সাময়িকভাবে অন্যর সার্টিফিকেট দ্বারা শিক্ষকতা করার রুখসত বা সুযোগ হওয়াই যুক্তিযুক্ত মনে হচ্ছে। যখনই এত্থেকে ভালো কোনো সুযোগ আসবে, তখন আর এই সুযোগ বাকী থাকবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...