আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
11 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
প্রথম ব্যক্তি ছেলে দ্বিতীয় ব্যক্তি, দ্বিতীয় ব্যক্তির ছেলে তৃতীয় ব্যক্তি। দ্বিতীয় ব্যক্তি অনেক আগে বড় শিরিক করে, অর্থাৎ মুরতাদ হয়, এর পরবর্তীতে দ্বিতীয় ব্যক্তি কে ইসলামিক কাজ যেমন নামাজ, রোজা করতে দেখা যায়। কিন্ত তার কৃত কর্মের জন্য মন থেকে ক্ষমা চেয়েছে কিনা না এটি তো কেউ জানে না। এরো অনেক পরে দ্বিতীয় ব্যক্তি প্রথম ব্যক্তির (জিবীত) কাছে ওয়ারিশ পায়। কিন্তু দ্বিতীয় ব্যক্তি  মুরতাদ অবস্থায় ই ওয়ারিশ পেল কিনা তা তো জানা সম্ভব না অথবা বুঝার কোন সুযোগ আছে কিনা?

ক) ধরা যাক দ্বিতীয় ব্যক্তি মুরতাদ অবস্থায় ওয়ারিস পেল। পরবর্তীতে সে ইসলামে ফিরে আসলো তাহলে দ্বিতীয় ব্যক্তির সম্পদ এর ওয়ারিস কি তৃতীয় ব্যক্তি পাবে? (তৃতীয় ব্যক্তি দ্বীনের পথে থাকার চেষ্টা করে)

খ) দ্বিতীয় ব্যক্তি ওয়ারিস পাওয়ার সময় মুরতাদ ছিল কিনা এ নিয়ে তৃতীয় ব্যক্তির পেরেশানি হওয়ার দরকার আছে কি, কারণ সে তো দ্বিতীয় ব্যক্তির কাছে থেকে ওয়ারিস পাবে?

গ) দ্বিতীয় ব্যক্তি ওয়ারিস পাওয়ার সময়ও মুরতাদ ছিল কিনা সেটা তো আর জানা সম্ভব না।
কিন্তু দ্বিতীয় ব্যক্তি ওয়ারিশ পাওয়ার আরো অনেক বছর পারে এমন কাজ করে যা তার মুরতাদ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এখন যদি সে আর ইসলামের পথে ফিরে না আসে তাহলে কি তৃতীয় ব্যক্তি তার ওই সম্পদ থেকে ওয়ারিস পাবে, যা সে প্রথম ব্যক্তির কাছে থেকে পেয়েছে?

ঘ) কোন নওমুসলিম ছেলেকে তার মুশরিক পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় সম্পদ (জায়গা, জমি, ঘর বাড়ি) দিতে চাইলে, ছেলে নিতে পারবে কিনা? অথবা কোন মুরতাদ ছেলেকে তার পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় সম্পদ দিতে পারবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...