প্রথম ব্যক্তি ছেলে দ্বিতীয় ব্যক্তি, দ্বিতীয় ব্যক্তির ছেলে তৃতীয় ব্যক্তি। দ্বিতীয় ব্যক্তি অনেক আগে বড় শিরিক করে, অর্থাৎ মুরতাদ হয়, এর পরবর্তীতে দ্বিতীয় ব্যক্তি কে ইসলামিক কাজ যেমন নামাজ, রোজা করতে দেখা যায়। কিন্ত তার কৃত কর্মের জন্য মন থেকে ক্ষমা চেয়েছে কিনা না এটি তো কেউ জানে না। এরো অনেক পরে দ্বিতীয় ব্যক্তি প্রথম ব্যক্তির (জিবীত) কাছে ওয়ারিশ পায়। কিন্তু দ্বিতীয় ব্যক্তি মুরতাদ অবস্থায় ই ওয়ারিশ পেল কিনা তা তো জানা সম্ভব না অথবা বুঝার কোন সুযোগ আছে কিনা?
ক) ধরা যাক দ্বিতীয় ব্যক্তি মুরতাদ অবস্থায় ওয়ারিস পেল। পরবর্তীতে সে ইসলামে ফিরে আসলো তাহলে দ্বিতীয় ব্যক্তির সম্পদ এর ওয়ারিস কি তৃতীয় ব্যক্তি পাবে? (তৃতীয় ব্যক্তি দ্বীনের পথে থাকার চেষ্টা করে)
খ) দ্বিতীয় ব্যক্তি ওয়ারিস পাওয়ার সময় মুরতাদ ছিল কিনা এ নিয়ে তৃতীয় ব্যক্তির পেরেশানি হওয়ার দরকার আছে কি, কারণ সে তো দ্বিতীয় ব্যক্তির কাছে থেকে ওয়ারিস পাবে?
গ) দ্বিতীয় ব্যক্তি ওয়ারিস পাওয়ার সময়ও মুরতাদ ছিল কিনা সেটা তো আর জানা সম্ভব না।
কিন্তু দ্বিতীয় ব্যক্তি ওয়ারিশ পাওয়ার আরো অনেক বছর পারে এমন কাজ করে যা তার মুরতাদ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এখন যদি সে আর ইসলামের পথে ফিরে না আসে তাহলে কি তৃতীয় ব্যক্তি তার ওই সম্পদ থেকে ওয়ারিস পাবে, যা সে প্রথম ব্যক্তির কাছে থেকে পেয়েছে?
ঘ) কোন নওমুসলিম ছেলেকে তার মুশরিক পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় সম্পদ (জায়গা, জমি, ঘর বাড়ি) দিতে চাইলে, ছেলে নিতে পারবে কিনা? অথবা কোন মুরতাদ ছেলেকে তার পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় সম্পদ দিতে পারবে কিনা?