আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
edited by
ক) কোন একজন পুরুষ। মাঝে মাঝে নামাজ কাযা করে আবার নামাজ পড়ে, ইসলামিক কিছু বিষয়ে খুব অনুরাগী যেমন, মসজিদে দান করা, নতুন মসজিদের জন্য কায়িক পরিশ্রম করা ইত্যাদি, লোকটি আবার বাউল মনা। ইসলামের আকিদার গভীর জ্ঞান নেই। সে কোন সময় নবীদের একাধিক বিয়ে নিয়ে এমন কোন কথা বললো যে তার মুরতাদ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। (নাউজুবিল্লাহ)। তখন মাত্র কিছু মানুষ উপস্থিত ছিল, তার মধ্যে একজন বললো, "যেটা বুঝেন না, সেই কথা বলবেন না, আপনি জানেন নবিজীর বিষয়ে কোন কটু কথা বললে তাকে হত্যা করা উচিত? " তখন লোকটি বললো, "করো আমাকে হত্যা"।  লোকটি তার কথার গভীরতা বুঝতে পারে নি এমনকি ইসলামের এই ধরণের আকিদার কথা সে পোষণ ও করে না, হয়তো জানেও না। এই লোকটির তওবার কোন সুযোগ আছে কিনা? বা তার হেদায়েতের জন্য দোয়া করা যাবে কিনা?
খ) কোন লোক জীবন এর কোন সময় মুরতাদ হলো, এইটা হয়তো কিছু সংখ্যক মানুষ জানে। কিন্তু সে তার জীবদ্দশায় তওবা করেছে কিনা এইটা কেউ জানে না। অথবা সে মুরতাদ অবস্তায় মৃত্যবরণ করলো। তাহলে তার সম্পদ কি তার সন্তানেরা ভোগ করতে পারবে? বা সম্পদ ভোগ করার কোন সুযোগ আছে কিনা? কিংবা লোকটি তার জীবদ্দশায় তার সম্পদ বন্টন করে দিতে চাইলে তার সন্তানেরা সেই সম্পদ গ্রহণ করতে পারবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
কুরআনের কোনো আয়াত,মহান আল্লাহর নাম,রাসুলুল্লাহ সাঃ, হাদীস, ও শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা,গালি গালাজ করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

আরো জানুনঃ- 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির তওবার সুযোগ আছে।
তিনি তওবা করে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করে ইসলাম ধর্মে ফিরে আসতে পারবে।

তার জন্য হেদায়াতের দোয়া করা জায়েজ আছে।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَرِثُ الْمُسْلِمُ الْكَافِرَ وَلَا الْكَافِرُ الْمُسْلِمَ»

উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিম কাফিরের ওয়ারিস হবে না, আর কাফিরও মুসলিমের ওয়ারিস হবে না।

সহীহ : (বুখারী ৬৭৬৪, মুসলিম ১৬১৪, তিরমিযী ২১০৭, ইবনু মাজাহ ২৭২৯, আবূ দাঊদ ২৯০৯, আহমাদ ২৭৭৪৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬০৩৩।)

কোনো মুসলিম মৃত্যুবরণ করলে তার সম্পদ ভিন্ন ধর্মাবলম্বী তথা ইয়াহূদী-খ্রিস্টান, অগ্নিপূজকসহ অন্য ধর্মের অনুসারীরা ঐ মুসলিমের সম্পদে ওয়ারিস হবে না। তথা মুসলিম কোনো কাফিরকে ওয়ারিস বানাবে না। এ কথার উপর সকল ফাকীহ ও ‘আলিম ঐকমত্য পোষণ করেছে।

তবে কাফিরের পরিত্যক্ত সম্পদে মুসলিম ওয়ারিস অংশীদার হবে কিনা- এ ব্যাপারে ফাকীহ ও ‘আলিমদের মাঝে মতভেদ রয়েছে।

জুমহূর সাহাবী, তাবি‘ঈ ও তাবি-তাবি‘ঈগণ বলেনঃ কাফিরের সম্পদে মুসলিম ওয়ারিস হবে না।

অপরদিকে মু‘আয ইবনে জাবাল, মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ), সা‘ঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব ও মাসরূক (রহঃ) সহ অন্যান্যরা বলেন, কাফিরের সম্পদে মুসলিম ওয়ারিস হবে, কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ «الْإِسْلَامُ يَعْلُو وَلَا يُعْلٰى عَلَيْهِ» ‘‘ইসলাম সর্বদাই সমুন্নত, পরাভূত হবার নয়।’’

তাই মুসলিম কাফিরের সম্পদে ওয়ারিস হবে। অমুসলিম মুসলিমের সম্পদে ওয়ারিস হবে না। তবে জুমহূরের প্রামাণ্য হাদীস বিশুদ্ধ।

মুরতাদ কখনো মুসলিমদের সম্পদে ওয়ারিস হবে না। এটা সর্বসম্মত মত। অনুরূপভাবে মুসলিম কি মুরতাদের সম্পদে ওয়ারিস হবে? তা নিয়ে ফাকীহদের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে। মালিক, শাফি‘ঈ, রবী‘আহ্ ইবনু আবূ লায়লা প্রমুখসহ অনেকেই মনে করেন মুসলিম ব্যক্তিও মুরতাদের সম্পদের ওয়ারিস হবে না। ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) বলেন, মুরতাদ হওয়ার পর যে সম্পদ অর্জিত হবে তা বায়তুল মাল (রাষ্ট্রীয় কোষাগারে) জমা হবে, আর ইসলাম অবস্থায় যা অর্জিত হয়েছে মুসলিম তার ওয়ারিস হবে। (ফাতহুল বারী ১২শ খন্ড, হাঃ ৬৭৬৪; শারহে মুসলিম ১১/১২ খন্ড, হাঃ ১৬১৪; মিরকাতুল মাফাতীহ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
কেহ যদি মুরতাদ অবস্তায় মৃত্যবরণ করে,সেক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মে থাকা অবস্থায় যেই সম্পত্তির সে মালিক ছিলো,ওয়ারিশরা সেই সম্পদ থেকে অংশ পাবে।

মুরতাদ হওয়ার পর যে সম্পদ কামাই করেছে,তাহা বাইতুল মালে জমা হবে।

বর্তমান বাইতুল মাল না থাকায় সেই সম্পদ গরিব মিসকিনদের মাঝে দান করে দিতে হবে।
তার সন্তানেরা কেউ যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত থাকলে সেক্ষেত্রে তারা সম্পদ নিতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (575,580 points)

اگر وہ شخص پہلے مسلمان تھا، بعد میں مرتد ہوکر قادیانی بنا (أعاذنا اللہ منہ) تو جو مال حالت اسلام میں اس کی ملکیت میں تھا، یا اس نے کمایا تھا، وہ مسلمان ورثہ کے درمیان شریعت کے مطابق تقسیم ہوگا۔ اور جو مال مرتد ہونے کے بعد اس نے کمایا، یا اس کی ملکیت میں آیا وہ ”مال فیٴ“ کے حکم ہوکر بیت المال میں جمع ہوگا۔

في الشریفیة: إذا مات الرجل المرتد علی ارتدادہ ․․․․․ فما اکتسبہ في حال إسلامہ فہو لورثة المسلمین، وما اکتسبہ في حال ردتہ یوضع في بیت المال، ہذا حکمہ عند أبي حنیفة ․․․․․․ (ص: 225، فصل في المرتد)

آج کل چوں کہ بیت المال کا وجود نہیں ہے اس لیے ازخود اس مال کو ”مال فیٴ“ کے مصرف یعنی خیر کے کاموں میں صرف کردیا جائے۔ (امداد الفتاوی: 9/613 جدید، سوال: 2746، امور خیر میں صرف کرنا بیت المال کے قائم مقام ہے)۔

البتہ اگر مسلمان وارث غریب (مستحق زکات) ہے تو پھر وہ قادیانی باپ کے چھوڑے ہوئے مال کو لے سکتا ہے۔ غریب ہونے کی وجہ سے وہ بیت المال کا مصرف بن جائے گا۔

فی ردا لمحتار: مطلب فیمن لہ حق في بیت المال وظفر بشیء من بیت المال: ونقل في القنیة عن الإمام الوبري أن من لہ حظ في بیت المال ظفر بما لہ وجہ لبیت المال فلہ أن یأخذہ دیانة اھ۔ ونظمہ في الوہبانیة۔ وفي البزازیة: قال الإمام الحلواني: إذا کان عندہ ودیعة فمات المودع بلا وارث لہ أن یصرف الودیعة إلی نفسہ في زماننا، لأنہ لو أعطاہا لبیت المال لضاعت؛ لأنہم یصرفونہ مصارفہ، فإذا کان من أہلہ صرفہ إلی نفسہ وإلا صرفہ إلی المصرف ۔ (6/265، ط: زکریا، کتاب الجہاد، باب المغنم وقسمتہ)۔


আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...