ইচ্ছাকরে বয়স কমিয়ে লিখানো জায়েয হবে না।এটা স্পষ্টত ধোঁকা।আর ধোঁকা দেয়া হারাম।যেমন হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عن ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ قال،قال رسول اللّٰه ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣَﻦْ ﻏَﺶَّ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻣِﻨِّﻲ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ধোকা দিবে সে আমার উম্মতভূক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১০২)
তবে যদি ঘটনাক্রমে দুয়েক বৎসর বা দুয়েক মাস কম লিখা হয়ে যায়,এবং সেটাকে বদলানো না যায়,তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হবে না। স্কলারশিপ নেয়ার ক্ষেত্রে যদি এই এক দুই মাস কোনো পার্থক্য সৃষ্টি করে, তাহলে এক্ষেত্রে উক্ত স্কলারশিপ গ্রহণ না করাই উত্তম। তবে দুয়েকমাস কম বেশ যদি স্কলারশিপে কোনো পার্থক্য তৈরী না করে, তাহলে তখন স্কলারশিপ গ্রহণে কোনো বাধা নেই।
মানুষ সাধারণত নিজ পরিবারবর্গ বা বন্ধুবান্ধবকে খুশী করার জন্য এবং নিজের ব্যক্তিত্বকে সমাজে প্রতিষ্টিত করার জন্য উচ্ছশিক্ষা গ্রহণ করতে চায়,
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻤﺲ ﺭﺿﺎ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺴﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺃﺳﺨﻂ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ )
যে ব্যক্তি মানুষের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আল্লাহর অসুন্তুষ্টিকে অগ্রাধিকার দেয়,আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হবেন,এবং মানুষদেরকেও তার উপর অসন্তুষ্ট করে দেবেন।(সহীহ ইবনে হিব্বান-২৭৬)
এ ক্ষেত্রে বিবাহিত কোনো পুরুষ যদি আবেদন করার সময় সেই ফরম এর অংশে "অবিবাহিত" লেখে, তাহলে তার স্ত্রী তালাক হবেনা।
এক্ষেত্রে ঘটনাক্রমে দুয়েক বৎসর বা দু এক মাস কম লেখা হয়ে গেলে এবং তাহা বদলানো সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে তিনি নন,বরং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেই শিক্ষক বয়স কমিয়ে লিখেছেন) দোষী সাব্যস্ত হবে.
এমতাবস্থায় উক্ত চাকুরী গ্রহণ না করাই উত্তম।
কেউ উক্ত চাকুরী গ্রহণ করে নিলে যদিও উক্ত কাজ অনুচিৎ হবে,তাকওয়ার পরিপন্থী কাজ হবে।তবে পরবর্তী বেতন ভাতা হারাম হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/2257
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1782