জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে আলমে বারযাখ বলা হয়।
নেককার বান্দা বান্দীদের রুহ ইল্লিয়্যিনে যায়,বদকার বান্দা দান্দীদের রুহ সিজজিনে যায়।
মূলত আযাব সেখানেই হয়,তবে কবরের যেই দেহ থাকে,তার সাথে একটি কানেকশন থাকে।
এটি মনে করার সুযোগ নেই যে কবরে মাটি তো অক্ষত আছে,তাই চাপ দিচ্ছেনা কেনো. বা লাশ পঁচে গেলো কেনো।
এগুলো বলার সুযোগ নেই।
কেননা মূল ফলাফল ইল্লিয়্যিন আর সিজজিনে হচ্ছে।
আর জীবিত ব্যাক্তিদের এ সমস্ত আযাব শ্রবণ ও দেখার শক্তি আল্লাহ তায়ালা দেননি,সুতরাং দেখার সুযোগও নেই।
এটি অন্য জগতের বিষয়, সুতরাং দুনিয়ার জগতে থেকে এগুলো দেখার অবকাশ নেই।
আরো জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এটা মন্দ কোনো কিছুর আলামত নয়।
সুতরাং চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ থাকবে।
জীবিত ব্যাক্তিদের কবরের আযাব শ্রবণ ও দেখার শক্তি আল্লাহ তায়ালা দেননি,সুতরাং দেখার সুযোগও নেই।
এটি অন্য জগতের বিষয়, সুতরাং দুনিয়ার জগতে থেকে এগুলো দেখার অবকাশ নেই।
তাই আপনার নানুর কবর সম্পর্কে আপনাদের পরিবার যেই বিষয়ে চিন্তিত সেটা সঠিক নয়।
অহেতুক চিন্তা মাত্র।
চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ থাকবে।
এ নিয়ে নেগেটিভ কথা বার্তা বলার কোনো সুযোগ শরীয়তে নেই।
কবরের উপর ভালোভাবে মাটি দিয়ে লোহার খাচা বানিয়ে সেটা কয়েক মাসের জন্য সংরক্ষন করতে পারেন।
বা অন্য কোনো বৈধ পদ্ধতিতে কবরটি সংরক্ষন করতে পারেন।
অথবা শিয়াল নেই,এমন সংরক্ষিত কবর স্থানে কবরটি স্থানানন্তর করতে পারেন।
যেহেতু শিয়ালের কারনে কবরটির অসম্মান হচ্ছে তাই সে কবরটি স্থানানন্তর করে অন্য সংরক্ষিত কবরস্থানে দাফন করা যাবে।
কারণ, শরিয়ত সম্মত ওযরের কারণে কবর স্থানান্তর করা বৈধ। ইবনে আব্বাস (রা.) একজন সাহাবীর কবর শরিয়ত সম্মত কারণে স্থানান্তরের অনুমতি দিয়েছিলেন। হাফেজ ইবনে কাসীর (রহ.) তার কিতাব আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া- তে লিখেন,
وَرَوَى حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ بن جُدْعَانَ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَجُلًا رَأَى طَلْحَةَ فِي مَنَامِهِ وَهُوَ يَقُولُ: حَوِّلُونِي عَنْ قَبْرِي فَقَدْ آذَانِي الْمَاءُ، ثَلَاثَ لَيَالٍ، فَأَتَى ابْنَ عباس فأخبره – وكان نائباً على البصرة – فَاشْتَرَوْا لَهُ دَارًا بِالْبَصْرَةِ بِعَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ فحولوه من قبره إليها
‘হাম্মাদ ইবনে সালামা আলী ইবনে যায়েদ ইবনে জুদআন থেকে, তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.)-কে স্বপ্নে দেখল। তিনি তাকে বলছেন, আমাকে আমার কবর থেকে সরিয়ে নাও। পানি আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। সে তিন রাত একই স্বপ্ন দেখল। অবশেষে ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে এসে সে এই স্বপ্নের বিবরণ দিল। তিনি তখন বসরা খলীফার নায়েব ছিলেন। এমতাবস্থায় তালহা (রা.)-এর জন্য বসরায় দশ হাজার দেরহাম দিয়ে একটি বাড়ি ক্রয় করা হল এবং তাকে তার কবর থেকে সেখানে সরিয়ে নিয়ে আসা হল।’ [আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৭/২৭৬]
সুতরাং আপনার নানুর সেই কবর সংরক্ষণের জন্য অন্য কবরস্থানে স্থানান্তর করতে পারবেন।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৬৭; আলবাহরুর রায়েক ২/১৯৫)