আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
আমার মায়ের কুরআন তিলাওয়াত সহিহ না। আমি তাকে কুরআন তিলাওয়াত সহিহ করে শেখাতে চাচ্ছিলাম। তখন আমার মা আমাকে বল্লো আমার কাছে সে শিখতে পারবে না। কারণ জানতে চাওয়ায় বললো
সে মোবাইলের একটা ভিডিও তে দেখেছে, যে কুরআন শিক্ষা করালো (হোক তা ১ দিনের জন্য)  সে তোহ তার উস্তাদ /উস্তাযা হয়ে যাবে। আর উস্তাদ/উস্তাযাকে তোহ আর ধমক দেওয়া যাবে বা, রাগারাগি করাও যাবে না।
তাই আমার কাছে পড়তে পারবে না।
( আমি তোহ তার মেয়ে, মাঝে মাঝে রাগ করবে, বকুনি দিবে, ধমক দিবে এইটাই স্বাভাবিক)
আমি তাকে কুরআন শিক্ষা দিলে তার উস্তাযা হয়ে যাবো, আর উস্তাদ/উস্তাযাকে ধমক দিলে রাগারাগি করলে উস্তাদের সাথে বেয়াদবি হবে। এতে সে গুনাহগার হবে। এইটা সে ভেবেছে।
ইসলামে কি এরমক কিছু আছে?
আমি কি আমার বাবা, মা, বোন, ভাই, স্বামী ( মানে এক কথা আমার গুরুজনকে) কুরআন শিক্ষা + দ্বীনি শিক্ষা দিতে পারবো না??
এইখানে কি কিছু করণীয় আছে। বা এই রকম কিছু কি আদৌ ইসলামে আছে ??

1 Answer

0 votes
ago by (575,580 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি আপনার মাকে কুরআন শিখিয়ে দিলে আপনি উস্তায হয়ে যাবেন ঠিকই।
তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো আপনি তার সন্তান।

সুতরাং সন্তানের দিক বিবেচনা করে তিনি যদি আপনার উপর মাঝে মাঝে রাগ করে, বকুনি দেয়, ধমক দেয়,এতে তার কোনো গুনাহ হবেনা।

আপনি আপনার বাবা, মা, বোন, ভাই, স্বামী ( মানে এক কথা নিজের মাহরাম গুরুজনকে)  কুরআন শিক্ষা + দ্বীনি শিক্ষা দিতে পারবেন।

এতে সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...