আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ। স্বামী যদি স্ত্রী থেকে দূরে থাকে তবে অনেক সময় স্ত্রীকে নিয়ে একান্ত কাটানো সময় নিয়ে চিন্তা আসে।
১) এসব ব্যক্তিগত সময়ের বিষয় যদি কেউ মনে প্রস্রয় দেয় তবে কি গুনাহ হবে ?

২) স্ত্রীর লজ্জাস্থান স্বামী  বা স্বামীর লজ্জাস্থান স্ত্রী সরাসরি মুখে লেহন করা মাকরুহে তাহরিমী। কিন্তু যদি কোন আবরন থাকে যেমন কনডম ব্যবহার করা বা পাতলা কোন আবরন থাকে যার দারা নাপাকি মুখে না যায় তবে ও কি এই বিধান মাকরুহে তাহরিমী থাকবে?

৩) অনেক সময় স্বামী স্ত্রীকে বা স্ত্রী স্বামীকে সপ্নে অন্তরংগ হতে দেখে সপ্নেই তৃপ্তি পায়। এটা কেন হয়ে থাকে? মহিলাদের সাথে অনেক সময় ঘুমের মধ্যে কিছু একটা যেকোনো ভাবে অন্তরংগ হতে চায় কোন সুরত ধরে। এসব কি জ্বীন ঘটিত কারনে হয়? এর থেকে পরিত্রান এর সমাধান কি?

1 Answer

0 votes
by (575,550 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এতে তার গুনাহ হবেনা।
তবে কোনো ভাবেই হস্তমৈথুন জায়েজ হবেনা 

(০২)
https://ifatwa.info/23945/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন—
إِذَا أَتَى أَحَدُكُمْ أَهْلَهُ فَلْيَسْتَتِرْ وَلاَ يَتَجَرَّدْ تَجَرُّدَ الْعَيْرَيْنِ
তোমাদের কেউ যখন স্ত্রীর সঙ্গে মিলন করে, তখন সে যেনো আবৃত থাকে, গাধা যুগলের মতো যেনো একেবারে নগ্ন না হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ— ১/৬১৯, ১৯২১}

আম্মিজান আয়িশা রা. বলেন—
مَا رَأَيْتُهُ مِنْ رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلاَ رَآهُ مِنِّي
আমি রাসুলুল্লাহর সা. এর থেকে তা কখনো দেখিনি এবং তিনিও আমার থেকে কখনো তা দেখেননি। {সুনানে ইবনে মাজাহ)

মেডিকেল সায়েন্সের সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেক বিশেষজ্ঞই এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে,ওরাল সেক্স মানব্যস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং মানবদেহে অনেক রোগের জীবাণু উৎপত্তি ও সংক্রামণের কারণ। তারা এর ক্ষতির অনেক দিক উল্লেখ করেছেন। 

আর শরিয়তের মূলনীতি হলো—  لا ضرر ولا ضرار
তাই এটি কোনো ভাবেই জায়েজ নেই।

فى الفتاوى الهندية- إذا أدخل الرجل ذكره في فم امرأته قد قيل يكره ، (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الباب الثلاثون فى المتفرقات-5/372
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার লিঙ্গ তার স্ত্রী মুখে প্রবেশ করায়,তাহলে কেহ কেহ এটাকে মাকরুহ বলেছেন।  

https://ifatwa.info/13562/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, 
১. লজ্জাস্থান Suck করা হলে স্বাভাবিক হলো, লজ্জাস্থান থেকে নির্গত নাপাক (বীর্য, মযি ইত্যাদি) জিহ্বা, মুখ ইত্যাদিতে লাগবে। আর জরুরত ছাড়া নাপাক স্পর্শ করাকে ফকিহগণ বৈধ মনে করেন না। আর নাপাক চুষে ফেলা বা পান করাকে তো বৈধ বলার প্রশ্নই আসে না।

২. মানুষের শরীরের সবচে সম্মানিত অঙ্গ হলো চেহারা। আর লজ্জাস্থান হলো নাপাকির জায়গা। সুতরাং সম্মানিত জায়গাকে নাপাকির জায়গায় স্পর্শ করানো অবশ্যই নিন্দনীয়।

৩. মুখ দ্বারা আল্লাহর কালাম তিলাওয়াত করা হয়, যিকির করা হয়। এই মুখে নাপাক লাগানো এবং নাপাকির স্থান Suck করা বড় গর্হিত কাজ।

৪. মুখের অনেক জীবাণু লজ্জাস্থানে রোগ সংক্রামণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া লজ্জাস্থানের জীবাণু মুখে এবং মুখের ভায়া হয়ে ভেতরে রোগ সংক্রামণ করার আশংকা থাকে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মানুষের শরীরের সবচে সম্মানিত অঙ্গ হলো চেহারা,মুখ। মুখ দ্বারা আল্লাহর কালাম তিলাওয়াত করা হয়, যিকির করা হয়। 

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদিও নাপাকি মুখে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই,তবুও এটি গর্হিত কাজ বলেই বিবেচিত হবে। 
যাহা অনুমোদিত নয়।

(০৩)
এটা কল্পনা প্রসূত হয়ে থাকে। 
আর যুবক হওয়ার কারনে নিয়মিত স্ত্রীর সাথে সহবাস না করলে এমন স্বপ্ন দেখতেই পারে।

এর থেকে পরিত্রানের উপায় হলো নিয়মিত স্ত্রীর সাথে সহবাস করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...