(০১)
হাদীস শরীফে আছে
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبَانَ بْنِ تَغْلِبَ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ وَلاَ يَدْخُلُ النَّارَ يَعْنِي مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ إِيمَانٍ " . قَالَ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ إِنَّهُ يُعْجِبُنِي أَنْ يَكُونَ ثَوْبِي حَسَنًا وَنَعْلِي حَسَنَةً . قَالَ " إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْجَمَالَ وَلَكِنَّ الْكِبْرَ مَنْ بَطَرَ الْحَقَّ وَغَمَصَ النَّاسَ " .
আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তির অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকারও আছে সে জান্নাতে যেতে পারবে না। আর যে ব্যক্তির অন্তরে অণু পরিমাণ ঈমানও আছে সে জাহান্নামে যাবে না। তখন একজন বলল, আমার নিকট এটা তো খুবই পছন্দনীয় যে, আমার জামা-কাপড় সুন্দর হোক এবং আমার জুতা জোড়াও সুন্দর হোক। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন। কোন ব্যক্তির সদৰ্পে সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা এবং মানুষকে তুচ্ছজান করাই হলো অহংকার।
(সহীহ মুসলিম ১৬২৬, তিরমিজি১৯৯৯)
আত্মমর্যাদা" হচ্ছে, নিজের প্রতি, নিজের বিশ্বাস, সম্মানবোধ। "অহংকার" হচ্ছে, নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে, অন্যকে অসম্মান করা।
"আত্মমর্যাদা" বোধ যাঁর আছে, তিনি অন্যকে, অসম্মান করতে উদ্দীপিত হন না। নিজের প্রতি সম্মানবোধ, অন্যকে সম্মান করার প্রেরণা যোগায়। কিনতু, "অহংকারী" ব্যক্তির পক্ষে, আত্মমর্যাদা বোধের অভাব ঘটে এবং অন্যকে তুলনায় খাটো করে, তিনি নিজের অবস্থানকেই সঙ্কীর্ণ করে তোলেন।
,
অহংকার কি এই প্রশ্নের সরল উত্তর হচ্ছে কোনো বিষয়ে নিজেকে বড় মনে করে অন্য মানুষকে তুচ্ছ মনে করার নামই অহংকার।
আরো জানুনঃ
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি উত্তম চরিত্রের পূর্ণতা দানে প্রেরিত হয়েছি।’ (মুয়াত্তায়ে মালিক, হাদিস : ৮)
ইসলাম মানুষকে আত্মমর্যাদা বোধসম্পন্ন হতে বলে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুমিন আত্মসম্মান বোধসম্পন্ন আর আল্লাহ তাদের বেশি আত্মমর্যাদা বোধসম্পন্ন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৭৬১)
,
হাদীসটির পূর্ণ রুপ হলোঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمُؤْمِنُ يَغَارُ وَاللَّهُ أَشَدُّ غَيْرًا "
কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু'মিন আত্মমর্যাদা হিফাযাত করে। আল্লাহ তা’আলা সর্বাধিক আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন। (মুসলিম শরীফ ৬৮৯২,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৭৪৩, ইসলামিক সেন্টার ৬৭৯৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর চেয়ে বেশি আত্মমর্যাদাসম্পন্ন কেউ নেই। এ জন্য তিনি প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব ধরনের অশ্লীলতা হারাম করেছেন। প্রশংসা আল্লাহর সবচেয়ে পছন্দের। তাই নিজের প্রশংসা নিজে করেছেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৫৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আত্মমর্যাদা ঈমানের অংশ আর আচরণে উগ্রতা কপটতার লক্ষণ।’ (সুনানে বায়হাকি : ১০/২২)
,
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী (সা.) বলেছেন যে, আল্লাহ তাআলার আত্মমর্যাদাবোধ আছে এবং আল্লাহর আত্মমর্যাদাবোধ এই যে যেন কোনো মুমিন বান্দা হারাম কাজে লিপ্ত হয়ে না পড়ে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫২২৩)
হাদীসটির পূর্ণ রুপ হলোঃ
عَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبيّ ﷺ، قَالَ: «إنَّ الله تَعَالَى يَغَارُ، وَغَيرَةُ الله تَعَالَى، أنْ يَأتِيَ المَرْءُ مَا حَرَّمَ الله عَلَيهِ».متفق عَلَيهِ
আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা আত্ম মর্যাদাবোধ করেন। আর আল্লাহর আত্ম মর্যাদা জেগে ওঠে তখন যখন কোনো মানুষ এমন কাজ করে ফেলে, যা তিনি তার উপর হারাম করেছেন। [বুখারি৫২২২, ৫২২৩, তিরমিযি ১১৬৮, আহমদ ২৬৪০৩, ২৬৪২৯, ২৬৪৩১]
,