আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)

আমি মুল্যতো নিজেকে কাফের ভাবা পেরেশানি থেকে মুক্তি পাচ্ছি না এরজন্য নামাজ কালাম সব বন্ধ হয়ে গেছে, মোট কথা ইসলামিক কোনো কাজ করতে গেলে কাফের ভাবা পেরেশানি বেশি বেরে যায় মানে নিজের মনে এসব কথা আসে যে আমি কুফুরি করে ফেলেছি এসব ইসলামিক কাজ কোনো বেনিফিট আসবে না, মুল্যতো আমি একটা হারাম পেশার সাথে সংযুক্ত যেটা হলো আমি মিউজিক তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করি, আর নিজেকে কাফের ভাবার পেরেশানি টা হচ্ছিলো তখন থেকে যখন আমি বুঝতে পারলাম আমি মিউজিক তৈরি করার সময় যে সফটওয়্যার টা ব্যবহার করতম সেই সফটওয়্যার যেটা কম্পিউটারে মাউস দিয়ে বাটন টিপ দিলে বাদ্য যন্ত্রর শব্দ বের হয় সেটার মধ্যে হিন্দুদের ওম শব্দ ছিলো, আমি যখন বুঝতে পারি আমার সব মিউজিকের ভিতরে হিন্দু দের ওম শব্দটা ঢুকে গেছে তখন থেকে নিজেকে কাফের ভাবা শুরু হয়, কিন্তু যখন জানতে পারি যে সফটওয়্যার এর ভিতরের ওই শব্দটা হিন্দুদের ওম শব্দ তখন খালি ওই ওম শব্দ টা ডিলেট করে দিই। বাকি সাউন্ড গুলা রেখে দিই।
সফটওয়্যার ভিডিও দেখলে বুঝবেন
https://youtu.be/QsbwfGXu4XU




যেটা নিয়ে আমি প্রশ্ন করেছিলাম যে এই কাজের দারা কুফুরি হয়েছিলো কিনা, যেটার লিংক https://ifatwa.info/108202/

উপরোক্ত লিংকে আপনাদের উত্তর যে এটা দ্বারা গুনাহ হচ্চে বাট কুফুরি না।

কিন্তু প্রশ্নের উত্তর টা দেখার পরও কাফের ভাবা পেরেশানি টা মাথা থেকে যাচ্ছে না

আর আমার সবচেয়ে বেশি বড় ভয় কুফুরি কথা বা অন্য ধর্মের কুফুরি কর্মকাণ্ড দেখলে বা শুনলে এই ভয়গুলো বেশি বেরে যায় আমি অনেক সর্তক থাকি কুফুরি টাইপের কোনো শব্দ মুখ দিয়ে উচ্চারণ করবো না লেখবো না বা আমার কাজের সাথে যুক্ত করবো না। কারো সাথে কথা বলা শেষ হলে কালেমা শাহাদাত পরি এই সন্ধেহে যে আমি আমার অজান্তে এমন কোনো শব্দ ‍ মুখ দিয়ে উচ্চারণ করতে পারি তাই সবসময় কালিমা শাহাদাত পরে চলাফেরা করি মানে আমি প্রচুর পরিমাণ সতর্ক কুফুরি জিনিস থেকে ইমান ক্ষতিকারক বিষয় থেকে।

 কিন্তু যখনিই দেখলাম যে আমার কাজের সাথে কুফুরি শব্দ যুক্ত হয়ে গেছে তখনই কাফের ভাবা পেরেশানি প্রচুর বেরে গেছে




এখন মনের সন্ধেহ দুর করার জন্য কালেমা শাহাদাত পরেছি তারপরও মাথার থেকে কাফের ভাবা পেরেশানি যাচ্ছে না। আর ইসলামিক কোনো কিছু দেথতে চাইলে বা করতে চাইলে নিজেকে কাফের ভাবা পেরেশানি অতিরিক্ত বেরে যায়, আগে নামাজ পরতাম ৪ অক্ত পরা হতো সেটা আস্তে আস্তে ১ অক্ত হয়ে গেছে আর এখন পরতে গেলেই প্রচুর পরিমান কাফের ভাবা পেরেশানি বেরে যায়
মুল্যতো এগুলাই কি ওয়াস ওয়াসা বা ওসিডি বলে?
আমি জানি আমার এই হারাম কাজ টা ছেড়ে দেওয়া উচিৎ বাট এই মুহূর্তে এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে পরেছি যে ছেড়ে দিলে বিপদে পরবো কারন ফ্যামিলি অনেক দেনাগ্রস্থ বাট আমি এটাও চেষ্টা করতেছি অনলাইনে হালাল অর্থ উপার্জন এর সিস্টেম, যেটা সাকসেস হলে এই কাজ ইনশাআল্লাহ ছেড়ে দিবো।

বাট আমার মেইন প্রশ্ন হচ্ছে আমি কি ওসিডি জনিতো সমস্যা বা মানসিক সমস্যা মধ্যে পরছি বলে এমন হচ্ছে?  +

1 Answer

0 votes
ago by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন। https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...