আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার হায়েযের সর্বোচ্চ সীমা ৭দিন। ৭দিন শেষ হওয়ার পর  ফরয গোসলের পূর্বে স্বামীর সাথে সহবাস করে ফেললে কি গুনাহ হবে? আর এর জন্য কি কাফফারা আদায় করতে হবে? আর কাফফারা কিভাবে আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েয থেকে পবিত্রতা হওয়ার মধ্যে ব্যখ্যা রয়েছে।
যদি হায়েয ১০ দিনের মাথায় গিয়ে বন্ধ হয়, তাহলে গোসলের পূর্বে স্বামী সহবাস অনায়াসেই জায়েয হবে। যদিও উত্তম হল, গোসলের পরেই সহবাস করা। কিন্তু যদি ১০ দিনের পূর্বেই হায়েয বন্ধ হয়, যেমন ছয় বা সাত দিনে, এবং উক্ত মহিলার ছয় বা সাত দিনের আদত বা অভ্যাস থাকে, তাহলে রক্তস্রাব বন্ধ হওয়ার সাথে সাথেই সহবাস করা উচিত নয় বরং গোসলের পরই সহবাসে লিপ্ত হওয়া উচিত। তবে যদি আদত বা অভ্যাসের দিনের পূর্বেই হায়েয বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তখন গোসলের পূর্বে সহবাস করা জায়েয হবে না।কেননা আবার রক্তস্রাব জারি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়।
لما في الفتاوی الشامیة:
''(ويحل وطؤها إذا انقطع حيضها لاكثره) بلا غسل وجوبابل ندبا.(وإن) انقطع لدون أقله تتوضأ وتصلي في آخر الوقت، وإن (لاقله) فإن لدون عادتها لم يحل، أي الوطء وإن اغتسلت؛ لأن العود في العادة غالب بحر، وتغتسل وتصلي وتصوم احتياطا، وإن لعادتها، فإن كتابية حل في الحال وإلا (لا) يحل (حتى تغتسل) أو تتيمم بشرطه(أو يمضي عليها زمن يسع الغسل) ولبس الثياب."(1/294،ط:دارالفکر)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 329 views
...