ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/62090 নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
তালাক শব্দ। এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা
হয়েছে হাদীসে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ
ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ
الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .
কাসীর ইবন উবায়দ .......... ইবন উমার (রাঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট নিকৃষ্টতম হালাল বস্তু
হল তালাক। (আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।)
,
শরীয়তের বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয়না।
قال
العلامۃ الحموی: فحلفہ باطل ای فلا شییٔ علیہ قیل اما الطلاق والعتاق فانہما لا یقعان
بالشک ۔
(غمز عیون البصائر علی الاشباہ ۱:۱۹۸
القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ তালাক এবং গোলাম আযাদ,এ দুটি বিষয়
সন্দেহের ভিত্তিতে পতিত হয়না।
বিস্তারিত জানুনঃ-
https://ifatwa.info/29982/
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনার উক্ত কথার দ্বারা কোনো তালাক হবে না। তবে আপনার স্বামী কী বলেছে বা কী শব্দ বলেছে? তার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে। অন্যথায় মাসআলা দেওয়া সম্ভব নয়।
আর
যদি ‘তোমাকে ছেড়ে দিলাম’ এ জাতীয় বাক্য একবার বলেও থাকে তাহলে এর দ্বারা এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়েছিলো।
এক্ষেত্রে ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার আগেই আপনার সাথে স্বামী-স্ত্রী
সুলভ দৈহিক আচরণ করার দ্বারা ফিরে এসেছে। সুতরাং যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে আপনাদের
বৈবাহিক জীবন ঠিক আছে। তাই পেরেশানীর কোনো কারণ নাই।