আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্। 

বিয়ের অনুষ্ঠানে 

পাত্র পাত্রী চান না যে টেবিল নিয়ে বসে দান উঠানো।

পরিবারকে বুঝাতে অক্ষম। 

এখন অনুষ্ঠানে দান গুলো,টাকা পয়সা গুলো কি ব্যবহার করা জায়েজ আছে?

জায়েজ না হলে করনীয় কি?

 

বিয়ের সময় ছেলে পক্ষ মেয়ে পক্ষ থেকে কিছু নিতে চায়নি।

মেয়ের পক্ষ থেকে ছেলের বাড়িতে কিছু ফার্নিচার দিতে চায়,প্রথমে তারা নিতে চায় নি,,কিন্তু ফার্নিচার গুলো আগেই বানানো ছিলো,এজন্য নাও করেনি ওভাবে।

কিন্তু মেয়ে পক্ষ সামাজিকতা রক্ষার জন্য ফার্নিচার  দিয়েছে। 

 

এক্ষেত্রে তাদের কি এগুলো নেয়া জায়েজ হয়েছে? 

 

উস্তায দানের টাকা ছেলে নিতে পারবে কি না,,এটার উত্তর টা দিলে মুনাসিব হতো

শ্বশুর শ্বাশুড়ি দানের জিনিস, দানের টাকা দিয়ে সংসারের জিনিস কিনে দিলে তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (632,910 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। জবাবঃ- আলহামদুলিল্লাহ! অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯) এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত, عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "  নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন! পাত্রীর বাবার কাছ থেকে বা অতিথিদের কাছ থেকে কৌশলে কোনো কিছু নেওয়া এগুলো যৌতুকের অন্তর্ভুক্ত। হ্যা, কেউ স্বেচ্ছায় কিছু দিলে, সেটা তখন নাজায়েয হবে না। পাত্রীর বাবাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, তারা কি এগুলো তাদের অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতিত দিচ্ছে, যদি তারা অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতিত দেয়, তাহলে পাত্র পক্ষের জন্য সেগুলো গ্রহণ করা জায়েয হবে না। তবে যদি পাত্রীর বাবা নিজ সন্তুষ্টিতে স্বেচ্ছায় প্রণোদিত হয়ে পাত্রর নিকট কিছু প্রেরণ করেন, তাহলে সেটা গ্রহণ করার রুখসত থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...