আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
১।ইসলাম ছাড়া অন্যন্য ধর্মের সকল কিছু কে মনে মনে একা একা বা মুসলমানদের সামনে  যে কোনো  গালি দিলে, যেকোনো অপমান সুচক বাক্য ব্যাবহার করলে, যেকোনো উপায়ে ঘৃণা,অসম্মান করলে করলে ইমানে সমস্যা হবে না কারও কাছে মাফ চাইতে হবে না এ আকিদা সঠিক কিনা?
২।সয়তান যখন কুমন্ত্রণা বা ওসওয়াসা দেয় তখন আমি মনে মনে বা উচ্চারণ করে বলি চুপ থাক বে। আবার মনে মনে মন্দিরের কথা চলে আসছিলো আমি মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে  বলি মনে আসার কারনে  হুম আর মন্দির কে  পায়ের দিকে থাক। উপরের প্রশ্নের মত বা সয়তান কে পায়ের দিকে থাক এভাবে ঘৃণা করা যাবে কি না?
৩।একবার মসজিদের কথা মনে এসে পায়ের দিকে চলে যায় আমি মনে মনে  মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে বলি মসজিদ উপরে থাকবে  মন্দির কে উদ্দেশ্য করে বলি এটা পায়ের দিকে থাক, এবেডা পায়ের দিকে থাক, এই,,, পায়ের দিকে থাক আমার ইমানে সমস্যা হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ইসলাম ছাড়া অন্যন্য ধর্মের সকল কিছুকে মনে মনে একা একা বা মুসলমানদের সামনে যে কোনো গালি দিলে, যেকোনো অপমান সুচক বাক্য ব্যাবহার করলে, যেকোনো উপায়ে ঘৃণা,অসম্মান করলে করলে, ইমানে সমস্যা হবে না, কারও কাছে মাফ চাইতে হবে না। তবে অযথা কেননা অন্য ধর্মকে গালীর চিন্তা করবেন। তারা সঠিক পথে নেই, এটা বিশ্বাসে রাখাই যথেষ্ট। 

(২) মন্দির ইত্যাদিকে মনে মনে ঘৃণা করা যাবে।

(৩) ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...