ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ঝালমুড়ি বা অন্য খাবরের সাথে কাঁচা পেয়াজ/রসুন খাওয়ার পর যদি মুখে দুর্গন্ধ থাকে তাহলে এই দুর্গন্ধকে যে কোনো উপায়ে দুর করার চেষ্টা করতে হবে,যদি দূর হয়ে যায় তাহলে জামাতেই নামায পড়তে হবে।কিন্তু যদি শতচেষ্টা করার পরও উক্ত দুর্গন্ধ দূর না হয়,তাহলে এক্ষেত্রে মুসাল্লি ও ফেরেস্তাদের কষ্ট হবে বিধায় তখন জামাতে সবার সাথে নামায পড়া যাবে না।নিজ বাসাতেই পড়তে হবে।
যেমন হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ﻣَﻦْ ﺃَﻛَﻞَ ﻣِﻦْ ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَﺓِ - ﻳَﻌْﻨِﻲ ﺍﻟﺜُّﻮﻡَ - ، ﻓَﻠَﺎ ﻳَﻘْﺮَﺑَﻦَّ ﻣَﺴْﺠِﺪَﻧَﺎ
নবীজী সাঃ বলেনঃ যে ব্যক্তি রসুন খাবে সে যেন আমাদের মসজিদের নিকটবর্তী না হয়।
(অন্য এক বর্ণনায় এসেছে এতে ফেরেস্তাদের কষ্ট হয়)
বুখারী-৮৫৩।
ফাতাওয়ায়ে উসমানী-২/৫৩৮তে এরকম মর্মার্থই বর্ণনা করা হয়েছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থতার কারণে মুখে দুর্গন্ধ হলে জামাত তরক করার রুখসত থকবে।তবে রোজা রাখার কারণে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হলে জামাত তরক করা যাবে না।