বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সালাফ অাস-সালেহীন অর্থ, পূর্ববর্তী নেককার ব্যক্তিগণ।
সালাফ আস-সালেহীন শব্দের ব্যাপক অর্থ ও প্রয়োগক্ষেত্র হতে পারে।তবে পরিভাষায় বা প্রসিদ্ধি হিসেবে শুধুমাত্র তাদেরকেই সালাফী বলা হয়,যারা হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী হয়ে তাকলীদে গায়রে সাখসী করে থাকেন।
তাকলীদের দু'টি শাখা রয়েছে যথাঃ-
(১)তাকলীদে শাখসী বা ব্যক্তি তাকলীদ।অর্থাৎ শরীয়তের প্রত্যেকটি মাস'আলায় নির্দিষ্ট কোনো একজনকে তাকলীদ করা।
(২)তাকলীদে গায়রে শাখসী বা স্বাধীন তাকলীদ, অর্থাৎ যেকোনো মাস'আলায় যেকোনো একজনকে তাকলীদ করা।সহজ কথা নিজের ইচ্ছানুযায়ী একেক মাস'আলায় একেকজনের তাকলীদ করা।
মুতাওয়াতির পর্যায়ের বর্ণনার মাধ্যমে প্রমাণিত রয়েছে যে, কারো কোনো মাস'আলা জানা না থাকলে না,তিনি বিজ্ঞজনের তাকলীদ করবেন।তাকলীদ করা ফরয।এটা হলো মতলকে তাকলীদ তথা সাধারণ তাকলীদের বিধান।সমস্ত উলামায়ে কেরাম এমনকি আহলে হাদীসের মুহাক্বিক ইমামগনও মতলকে তাকলীদ তথা সাধারণ তাকলীদকে স্বীকার করে থাকেন।অধিকাংশ আহলে হাদীস সাধারণ তাকলীদের ফরযিয়্যাতেরও প্রবক্তা।
সুতরাং অজ্ঞদের জন্য বিজ্ঞজনের তাকলীদ করা যে ফরয,এতে কারো দ্বিমত নেই,মতবিরোধ নেই।
তাকলীদের পদ্ধতি নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
তাকলীদে শাখসী করা হবে না গায়রে শাখসী করা হকে।
আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত তাকলীদে শাখসী গ্রহণযোগ্য মনে করেন।এবং এ ব্যাপারে তারা ওয়াজিবের বিধান প্রয়োগ করেন।ফরযের বিধান এজন্য আরোপ করেন না।
কেননা সাধারণ তাকলীদের দু'টি শাখা রয়েছে।(ক)তাকলীদে শাখসী(খ)তাকলীদে গায়রে শাখসী।যেহেতু সর্বসম্মতভাবে মতলকে তাকলীদ ফরয।এবং তার দু'টি শাখা রয়েছে।তাই কোনো একটাকে মেনে নিলেই ফরয বিধান যে তাকলীদ রয়েছে,সেটা পালন হয়ে যাবে। চায় শাখসীকে পালন করা হোক বা গায়রে শাখসীকে পালন করা হোক।সুতরাং তাকলীদে গায়রে শাখসী করা দ্বারা ঠিক সেভাবেই ফরয দায়িত্ব আদায় হবে,যেভাবে তাকলীদে শাখসী দ্বারা ফরয দায়িত্ব আদায় হয়।
তাকলীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-১৯৩৬
প্রচলিত সালাফে সালেহীনদের অনুসরণ করে, ফিকহে হানাফির অনুসরণ করা যাবে না।কেননা এ দুইয়ের মধ্যে অনেক মাস'আলায় বিতর্ক্য ও মতপার্থক্য রঢেছে।তবে হ্যা হানাফি সালাফে সালেহীন তথা হানাফি পূর্ববর্তী নেককারদের অনুসরণ করে হানাফি ফিকহের অনুসরণ করা যাবে।