ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সাহল ইবনু মু‘আয আল-জুহানী (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ زَبَّانَ بْنِ فَائِدٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ وَعَمِلَ بِمَا فِيهِ أُلْبِسَ وَالِدَاهُ تَاجًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ضَوْؤُهُ أَحْسَنُ مِنْ ضَوْءِ الشَّمْسِ فِي بُيُوتِ الدُّنْيَا لَوْ كَانَتْ فِيكُمْ فَمَا ظَنُّكُمْ بِالَّذِي عَمِلَ بِهَذَا " .
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে এবং তদনুযায়ী আমল করে, ক্বিয়ামতের দিন তার পিতা-মাতাকে এমন মুকুট পরানো হবে যার আলো সূর্যের আলোর চাইতেও উজ্জ্বল হবে। ধরে নাও, যদি সূর্য তোমাদের ঘরে বিদ্যমান থাকে (তাহলে তার আলো কিরূপ হবে?)। তাহলে যে ব্যক্তি কুরআন অনুযায়ী আমল করে তার ব্যাপারটি কেমন হবে, তোমরা ধারণা করো তো! [১৪৫৩]
عن بريدة الأسلمي رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال – عن صاحب القرآن - : ( وَيُوضَعُ عَلَى رَأْسِهِ تَاجُ الْوَقَارِ ، وَيُكْسَى وَالِدَاهُ حُلَّتَيْنِ لَا يُقَوَّمُ لَهُمَا أَهْلُ الدُّنْيَا ، فَيَقُولَانِ : بِمَ كُسِينَا هَذِهِ ؟ فَيُقَالُ : بِأَخْذِ وَلَدِكُمَا الْقُرْآنَ ، ثُمَّ يُقَالُ لَهُ : اقْرَأْ وَاصْعَدْ فِي دَرَجَةِ الْجَنَّةِ وَغُرَفِهَا ، فَهُوَ فِي صُعُودٍ ، مَا دَامَ يَقْرَأُ هَذًّا كَانَ أَوْ تَرْتِيلًا )
(মসনদে আহমদ-২২৯৫০)
উক্ত হাদীসের প্রকাশ্য নস তথা ইবারত দ্বারা দিবালোকের ন্যায় একথা স্পষ্ট যে,বর্ণিত এ সওয়াব শুধুমাত্র মা বাবই পাবেন।এ ছাড়া অন্য কেউ এ সওয়াব পাবেন না।এমনকি সৎ মা বা সৎ বাবা কেউ-ই পাবেন না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সৎ মা বা সৎ বাবা যদি কারো সাথে উত্তম ব্যবহার করে,তাহলে তারা সওয়াব পাবে।এবং তারা সদাসর্বদা সৎ সন্তানদের কাছ থেকে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার হকদার।তবে যে সমস্ত হাদীসে মা বাবাকে সওয়াব দেওয়া হবে,বলা হয়েছে,সে সমস্ত হাদীসের বিবরণ থেকে এ কথা স্পষ্ট যে,এ সওয়াব শুধুমাত্র নিজ মাতাপিতাই পাবেন।এছাড়া অন্য কেউ পাবেন না।