আসসালামু আলাইকুম,মুহতারাম!
ঘটনা ১: ২০১৮/২০১৯ সালে একজন ইন্ডিয়ান ক্লায়েন্ট আমাকে আর্টিকেল লেখার কাজ দেয়। এর বিনিময়ে তিনি আমাকে কাজের পূর্বেই সম্ভব ২০০ বা ৪০০ রুপি গিফট কার্ডের মাধ্যমে আমাকে দেয়।
আমার সঠিক মনে নেই। আমি তখন বুঝতাম না...আমি ঐ টপিকে গুগলে সার্চ করে একটা আর্টিকেল পাই এবং ওটায় কপি করে উনাকে দেয়।
উনি সেটা ধরে ফেলেন এবং বলেন এটা দিয়ে আসলে হবে না। তারপরে কি ঘটেছিল আমার মনে নেই। তবে উনার সাথে আমার যোগাযোগের ব্যবস্থা ছিল তবে উনি কখনো টাকা চাই নাই আর আমিও দিতে পারি নাই কারণ ওটা দেওয়ার কোন ব্যবস্থা ছিল না। টাকা ফেরতের বিষয়ে কেউ কোন আলোচনাই করিনি বলে মনে পরে।
পরবর্তীতে উনি সম্ভব ওটা বাদ দিয়ে অন্য কিছুতে হেল্প চেয়েছিল কিনা মনে নাই!
এরপরে উনি কখনোই আর যোগাযোগ করেন নাই। যদিও আমার সেই টেলিগ্ৰাম একাউন্ট এখনো আছে।
তবে আমার কাছে উনার কোন কন্ট্রাক্ট ডিটেইল নাই।
(এক) যদিও কাজটা ঠিক ভাবে করা হয় নি এবং সেই বিষয়ে সে বলেছিল এবং আমিও স্বীকার করেছিলাম।কিন্তু সে টাকা ব্যাকও চাইনি। ফলে আমারো দেয়া হয়নি। এই বিষয়ে দুজনের মধ্যে কোন ঝামেলা হয়নি।সে টাকা চাইলে কোন একটা ব্যবস্থা করার চেষ্টা? করতাম।
এক্ষেত্রে,আমি কি কোন ভাবে দ্বায়ী থাকবো?
আর সেই টাকার (২০০ বা ৪০০ রুপি) ভাগ সম্ভব আমি এবং আমার পার্টনারও নিয়েছিল। কিন্তু খরচ সম্ভব ঐ করেছিল আমি ২০ রুপি খরচ করছি বোধ হয়।আমার আসলে এই বিষয়ে ডিটেইল মনে নাই।
ঘটনা ২: আমার বাংলাদেশী ক্লায়েন্টকে আ্যপ বানিয়ে দিয়েছিলাম। সেই প্লে স্টোরে পাবলিশ করার জন্যে যেই গুগল প্লে কনসোল একাউন্ট প্রয়োজন ছিল। সে আমাকে দায়িত্ব দেয় একজন খুঁজে দিতে যে একাউন্ট করে দিবে।আমি এইরকম একজন খুঁজে বের করি কিন্তু সে টাকা মেরে দেয়। পরবর্তীতে আমার ক্লায়েন্টকে জানালে সে আমার প্রতি অভিযোগ রাখেনি তবে আমি ম্যানেজ করে তার আ্যপটা প্লে স্টোরে ফ্রিতে পাবলিশ করার ব্যবস্থা করে দি। এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল।
কিন্তু কিছুদিন পরে আ্যপ এড সংক্রান্ত কোন সমস্যা হয় সেটা উনার এড একাউন্টের জন্যে। উনি অভিযোগ জানান তবে পরবর্তীতে সেটা সমাধান হয়েছিল বোধহয়। কারণ আমার দায়িত্ব আমি পালন করেছিলাম। পরবর্তীতে যার একাউন্ট দিয়ে আ্যপ পাবলিশ করেছিলাম তার একাউন্ট ব্যান হয়ে যায় এবং ঐ আ্যপ ও ডিলিট হয়ে যায়। যেহেতু ঐ আ্যপ দিয়ে উনার কিছু হচ্ছিল না উনার একাউন্টের বা উনার তরফ থেকে কোন সমস্যার কারণে সেক্ষেত্রে উনি আর অভিযোগ জানাননি।
ঘটনা ৩: ঘটনা ২ এর বেশ কিছুদিন পরে ঐ ক্লায়েন্ট যোগাযোগ করেন এবং আমাকে একটা ই-কমার্স আ্যপ বানিয়ে দিতে বলেন। আমার তখন সেই রকম সক্ষমতা ছিল না তবুও শিখে করে দিব ভেবে কাজ নিলাম ১০০০০ টাকায বিনিময়ে। এরপরে উনি কাজের আগে ২০০০ টাকা এডভান্স করে দেন। আমরা কাজ শুরু করি।
কিন্তু সমস্যা হলো উনারা কিভাবে কি করবেন তার কোন ডিটেইল প্লান আমাদের দিয়েছিল না। কিছুদিন কাজ করার পর উনি কিছু ফিচারের কথা বলেন যা ঐ টাকায় বানানো সম্ভব না কাজেই আমি মূল্য বাড়াতে বলি এবং ১৪০০০ করতে বলি।উনি উনার ইনভেস্টেরের সাথে কথা বলে জানাবেন বলে (সম্ভবত) কিন্তু তারপরে কি হয় আমার সঠিক মনে নাই। তবে এটা হয়েছিল বোধহয়, উনার পক্ষে বাজেট আর বাড়ানো সম্ভব না এবং কাজ করতে পারছে না জানিয়েছিলেন কিন্তু উনি এডভান্সের টাকা ব্যাক চান নাই কারণ আমরা কাজ শুরু করে কিছুটা আগায় ছিলাম এবং তা উনাকে দেখিয়েও ছিলাম।
উনি যা চাচ্ছিলেন তা ইন শা আল্লাহ আমরা বানিয়ে দিতে পারতাম পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও কিন্তু বাজেটের কারণে উনিই আগায় নাই এবং উনি বাজেট বাড়ানোর জন্য আমাকে কোন অভিযোগ ও করেননি।
(দুই) উপরোক্ত বিবেচনায় আমি কি কোন ভাবে দ্বায়ী থাকবো?
থাকার তো কথা না। কারণ উনি কোন অভিযোগ করে নাই এবং টাকা কখনো চায় ও নাই! আর কিছু হলেও কিছু করা সম্ভব না কারণ উনার কোন যোগাযোগের নাম্বার আমার কাছে নাই এবং আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে খুজেছি পাইনি!
ঘটনা ৪: ইন্ডিয়ান এক লোকের সাথে আমি কাজের বিনিময়ে ২৭০০ রুপির গুগল প্লে গিফট কার্ড নিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা বাংলা টাকায় কনভার্ট করার কোন উপায় ছিলনা। একটা উপায় ছিল প্লে স্টোর থেকে কিছু কেনা।
তাই আমার যেসব বন্ধুরা তখন ফ্রি ফায়ার,পাবজি খেলত। তাদের গেমের জিনিস কেনার জন্যে আমি ঐ গিফট কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করে দিতাম এবং বিনিময়ে তারা আমাকে ঐ রুপির সমপরিমাণ বাংলা টাকা দিত। এছাড়া কোন উপায়ও ছিলা না ঐ কাজের টাকা ক্যাশ করা।আর ঐ কাজটা সম্ভবত ছিল, অনলাইন গেম টুর্নামেন্টের(যেমন pubg, ফ্রী ফায়ার)।
আর আমি নিশ্চিত না... উনি সম্ভবত অ্যাপ বানানোর দায়িত্ব দিয়েছিল... তবে আমরা অনলাইনে ফ্রিতে বানানো অ্যাপ পেয়েছিলাম মানে আ্যপ আগে থেকেই বানানোই ছিল। আমরা শুধু আ্যপের সার্ভার, ডাটাবেজ কানেকশন আর নাম লোগো চেঞ্জ করে দিয়েছিলাম। উনাকে সব দেখিয়েছিলাম উনার কোন আপত্তি ছিল না
টুর্নামেন্ট বলতে যেমন হয় আরকি সবাই একটা ফি দিয়ে খেলবে যে জিতবে সে একটা টাকা পাবে আর ঐ প্লাটফর্মে একটা টাকা পাবে। তখন আসলে এত কিছু বুঝতাম না আর আমাদের কাজ ছিল অতটুকু সার্ভিস দেয়া! ওই অ্যাপের টুর্নামেন্টের টাকার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই ! সহজে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা!
(তিন) আমি যে পদ্ধতিতে টাকা ক্যাশ করেছি এতে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা? আর ইনকাম হালাল ছিল কিনা?
যদি উক্ত ইনকাম সম্পর্কিত কোন সমস্যা হয়ে যায়, আমার পক্ষে টাকা দান করা সম্ভব না কারন আমার কাছে পর্যাপ্ত টাকা নেই... তবে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ অনেক আগে থেকেই এ ধরনের সন্দেহ বাচক কোন কাজ আমি কখনো করবো না ইন শা আল্লাহ! আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থী!
যদি উপরোক্ত যেকোনো টাকা দিতে হয় দান/দিতে হয় সেক্ষেত্রে কিভাবে দিব?
কেননা প্রতিটা ঘটনার প্রতিটা অর্থের ৫০% টাকার ভাগ আমার পার্টনার নিয়েছে এবং সিদ্ধান্ত ও আমরা একসাথে নিয়েছি।
আর উপরোক্ত ঘটনার কোন ব্যক্তি কিন্তু কোন অভিযোগ জানাই নেই এবং কারো টাকা মারাও হয়নি। প্রথম ইন্ডিয়ান ঘটনার ক্ষেত্রে আমি দান করে দিতে পারি। কিন্তু দ্বিতীয় জনের ঘটনার ক্ষেত্রে, দান করে দেওয়া কথা তো আসে না কেননা সংক্ষেপে ঘটনাটা এরকম,
পণ্যের সাধারণ বৈশিষ্ট্য তারা দিয়েছে... সে অনুযায়ী কাজের বাজেট দুজনের সম্মতিতে নির্ধারণ হয়েছে... নির্ধারিত বাজেটের পাঁচ ভাগের এক ভাগ এডভান্স করেছে এবং আমরা কাজ শুরু করেছি... কাজ করার একপর্যায়ে পণ্যের বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটেছে এবং আমরা বাজেট বাড়াতে বলেছি তখন ক্রেতার সাথে নতুন বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে ক্রেতার সক্ষমতা ছিল না বিধায় সে কোন দাবি-দাওয়া না করে কাজ আর আগায়নি! আর যেহেতু আমরা কাজ শুরু করে কিছুটা করেছিলাম তাই তারা এডভান্সের টাকা দাবিও করে নাই...!
অনুগ্রহ করে আমাকে জবাব জানাবেন! আমি বর্তমানে কোন কাজ করি না...ইন্টারমিডিয়েটের স্টুডেন্ট! আমার অতীত জীবনে বেশ কিছু এরকম ভুল ছিল যা সংশোধনের জন্য আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে এবং এখন আমার ক্যাশ টাকা বলা যায় শূন্যের কোঠায়! ব্যক্তিগত কিছু টাকা ছিল যা আমি ধার দিয়ে রেখেছি এবং কবে পাবো জানিনা! আর উপরোক্ত বিষয়ে কারো টাকা আমি মারি নাই! আর উপরোক্ত প্রত্যেকটা ঘটনার প্রাপ্ত অর্থের ৫০% আমি নিয়েছি এবং বাকি ৫০% আমার পার্টনার নিয়েছে!
কাজেই অর্থ প্রদান করে কোন কিছু করা বলা আমার জন্য তা কষ্টকর বলার থেকে অসম্ভব বলাই শ্রেয়! জাযাকাল্লাহু খাইরান!