আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
295 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (10 points)

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

কোন মাযহাব বা কোন আলিমের কথা অনুযায়ী যে আমল বর্তমানে করে চলেছি তা যদি কতিপয় ব্যক্তি অথবা আলিম দ্বারা প্রশ্নবিদ্ধ হয় যে উক্ত আমল বিদাআত অথবা নাজায়েজ তাহলে এ ব্যপারে যাচাই করা কতটুকু আবশ্যক? যেহেতু আমার ব্যক্তিগত ইলম কম সুতরাং আমার জন্য সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো অনেক কঠিন। সেক্ষেত্রে আমি যদি কোন তলব না করি এবং আমার আমল চালিয়ে যাই তাহলে আমি গুনাহগার হবো কি?

 

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যে মাযহাব বা আলিমের কথা অনুযায়ী আপনি আ’মল করে যাচ্ছেন,সেই আ’মল প্রশ্নবিদ্ধ হলে এবং এর স্বপক্ষে কোনো সহীহ দলীল-প্রমাণ না থাকলে, তখন যা সহীহ হবে, সেটার উপরই আপনি আ’মল করে যাবেন,যদি আপনি সহীহ গলদ বুঝতে সক্ষম হন।

সাধারণত লোকেরা সহীহ এবং ভুল ও অশুদ্ধ সম্পর্কে তেমন জানে না।তাই তাদের জন্য যেকোনো একটি মাযহাবকে অনুসরণ করা ওয়াজিব।

বড় চারটি মাযহাবের যেকোনো একটি মাযহাবকে অনুসরণ করা প্রত্যেক মানুষের উপর ওয়াজিব।তখন আর সহীহ বা ভূল যাচাই বাচাই করা নিজের উপর আসবে না। বরং মুজতাহিদ যা বলে গেছেন বা লিখে গেছেন,সেটার উপরই আ'মল করা হবে।উলামায়ে কেরামের ইজমা রয়েছে যে,মুজতাহিদ ভুল করলেও আল্লাহর কাছে সওয়াব পাবেন।এবং উনার অনুসারীদের কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
চার মাযহাবের মধ্যে যে কোনো একটি সম্পূর্ণরূপে মানা ওয়াজিব।

মুজতাহিদ ফিল মাযহাব তথা যিনি নিজে নিজে সরাসরি কুরআন-হাদীস থেকে শরীয়ত বুঝার ক্ষমতা রাখেন।
অর্থাৎ যিনি নিম্নোক্ত পাঁচটি বিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শী থাকবেন।(১) তাফসীর(২)হাদীস ও হাদীসের রাবী(৩)আরবী ভাষা(৪)সালাফে সালেহীনদের বর্ণনাকৃত মাসাঈল ও তাদের মন্তব্য সমূহ।(৫)এবং কুরআন-হাদীস থেকে কিয়াস করে হুকুম বের করা যোগ্যতা।
উপরোক্ত বিষয়ে পারদর্শী কোনো ব্যক্তির জন্য তাকলীদে শাখসীর কোনো প্রয়োজন নেই।উনার কাছে নিজ ইমামের বিপরিত কোনো একটি দিক কুরআন-সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী প্রমাণিত হলে, উনি সেটার উপরই আ'মল করবেন। এমনকি তখন উনার জন্য নিজ ইমামের অনুসরণ বৈধ হবে না।(মাযহাব কি ও কেন দ্রষ্টব্য)

এছাড়া অন্য সবার জন্য নিজ ইমামের প্রত্যেকটি মতামতকে মান্য করা ওয়াজিব।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দ্বীনে ইসলাম তথা শরীয়ত হলো,কুরআন এবং হাদীসের সমষ্টির নাম।প্রতমত কুরআন এবং হাদীস আরবী। দ্বিতীয়ত আরবী বাগধারা অনেক কঠিন ও একই বাক্য বহুঅর্থের বাহক হওয়ার দরুণ কুরআন এবং হাদীসের সুস্পষ্ট ব্যখ্যা প্রয়োজন।তাছাড়া নাসিখ মানসূখ পরিচয় লাভ করাও একটা জটিল বিষয়।ইত্যাদি ইত্যাদি।সুতরাং এ সব অস্পষ্টতাকে স্পষ্টকরে যে ব্যখ্যা প্রদান করা হয়,মূলত সেটার নামই হল মাযহাব।যেহেতু অস্পষ্টতাকে দূর করে স্পষ্ট ব্যখ্যা করতে যেয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছে,তাই ভিন্ন ভিন্ন মাযহাবের সৃষ্টি হয়েছে।

মাযহাব ও তাকলীদ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1936


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (10 points)
جَزَاكَ اللَّهُ خَيْراً

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...