আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। পাত্রের মহিলাদের দেওয়ার কথা বলে আমাকে ওয়াদা দিয়ে ১/১.৫ বছর আগের তোলা ছবি সবার ফোনে ওই আত্মীয় মহিলাটা শেয়ার দেয়। আমার মা ও ওয়াদা দিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে ছবি নিয়েছিলেন। বুরকা ছিল তবে নিকাব ছাড়া। সেজন্য ও অনেক গালি শুনতে হয়েছিল।
কয়দিন আগে নাকি সেই ছবি মামা নিয়ে আরো কাকে দিয়েছে। এরপর আরো ঘটককেও দিয়েছে। আমি সেটা আজকে জানতে পারি। খুব কান্না আসছে, সলাতে ছিলাম। মা মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন এটা, আমাকে না জানিয়ে চুরের মতো ছবি দিয়েছে। অথচ দিন কয়েক আগেও তিনি অন্য আত্মীয়দের আমার নামে বদনাম করছিলেন আমি ছবি দেই না, কথা শুনি না। অথচ ঘটক আনলেও জোর জবরদস্তি অনবরত করেন। ছবির এই কথা শুনার পর আমি কেঁদে দিয়েছি, আর কষ্টে মুখ দিয়ে আমার মাকে সহ যারা ছবি দিয়েছে তাদের উদ্দেশে বলেছি ' ওয়াদার খেলাপকারী , আল্লাহর লানত বর্ষিত হউক। ' আমার তো গুনাহ হবে? ঘুরে ফিরে আমারই গুনাহ হচ্ছে বারবার। কি করা উচিৎ এমন পরিস্থিতিতে। ওই কথার জন্য অনুতপ্ত। তাওবাহ কি যথেষ্ট? চাই না লানত বর্ষিত হউক কারো উপর।

সাহায্যকারী মা, বোন, মামার সাথে আচরণ কেমন হবে? খুবই রাগ লাগে, বোন আর মামার জন্য আমার মায়ের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে। মামা ইচ্ছামত আমাকে গালি দেয়, ছোট ভাইবোনদের সামনে বদনাম করে, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে ' পর্দার জন্য, সহশিক্ষা ছাড়ার জন্য। '

1 Answer

0 votes
by (574,620 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান হলো বিবাহের পূর্বে পাত্রিকে দেখা জায়েজ আছে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ     

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ ﷺ فَقَالَ : إِنِّىْ 
تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنَ الْأَنْصَارِ قَالَ : «فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّ فِى اعْيُنِ الْأَنْصَارِ شَيْئًا».

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল যে, আমি জনৈকা আনসারী নারীকে বিয়ে করার ইচ্ছা করেছি (আপনার কী অভিমত?)। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (বিয়ের পূর্বে) তাকে দেখে নাও। কেননা, আনসারী নারীদের চক্ষুতে কিছু দোষ থাকে।
(মুসলিম ১৪২৪, নাসায়ী ৩২৪৬, আহমাদ ৭৮৪২, সহীহাহ্ ৯৫ মিশকাত ৩০৯৮।)

عَنْ جَابِرٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمُ الْمَرْأَةَ فَإِنِ اسْتَطَاعَ أَنْ يَنْظُرَ إِلٰى مَا يَدْعُوهُ إِلٰى نِكَاحِهَا فَلْيفْعَلْ»

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন কোনো নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেবে, আর যদি তার পক্ষে এমন কোনো অঙ্গ দেখা সম্ভব হয় যা বিবাহের পক্ষে যথেষ্ট, তখন তা যেন দেখে নেয়। 

(আবূ দাঊদ ২০৮২, সহীহাহ্ ৯৯, আহমাদ ১৪৫৮৬, ইরওয়া ১৭৯১, সহীহ আল জামি‘ ৫০৬।)

★ইসলামে পাত্র-পাত্রীর সরাসরি দেখার অনুমতি দেয়া হয়েছে,ছবির মাধ্যমে নয় ।
কারণ- একেতো বিনা প্রয়োজনে ছবি তোলা, ব্যবহার ও
আদান-প্রদান শরীয়তে নিষিদ্ধ ।
তাছাড়া ছবিতে বাস্তব অবস্থা পুরোপুরি যাচাই সম্ভব নয় ।
অধিকন্তু পাত্রের নিকট ছবি পাঠানোর দ্বারা বারবার তার জন্য বেগানা নারীকে দেখার সুযোগ করে দেয়া হয়।
যেটি নাজায়েজ। 
 
অথচ বিবাহের উদ্দেশ্যে পাত্র পাত্রীকে বারবার
দেখার বৈধতা নেই ।
তাছাড়াও এ ছবি পাত্র ব্যতীত অন্যকোন পুরুষও দেখতে পারে ।
অথচ শরীয়তের দৃষ্টিতে তা জায়িয নয় । এ সকল কারণে ছবির মাধ্যমে পাত্রী দেখা বা
পাত্রীর ছবি পাত্রের নিকট পাঠানো ইসলামের
দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ।
{সূত্রঃ রদ্দুল মুখতার, ৬ : ৩৭০}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে খালেস দিলে আপনি তওবা করবেন। এবং আপনি যাদেরকে ছবি দিয়েছেন,তাদেরকে বলবেন যে তারা সহ যাদের কাছে উক্ত ছবি আছে, সকলেই যেনো সেই ছবি ডিলিট করে দেয়।

সাধ্য মতো আপনার চেষ্টার পরেও কেহ ডিলিট না করলে সেক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পাকরাও করবেননা,আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ক্ষমা করবেন,ইনশাআল্লাহ। 

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...