আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in পবিত্রতা (Purity) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।

উস্তাদ আমি হায়েয নিয়ে খুব সমস্যায় আছি।আমার হায়েয কয়েক মাস চলে, বন্ধ হয়না।আমি ১০ দিন হিসেব করে করে নামায আদায় করি।কারণ হায়েয তো সর্বোচ্চ ১০ দিন ধরা যায় এর পরে সেটা ইস্তেহাজা ধরা হয় এজন্য ।এখন এই ১০ দিনের ভিতরে আমার রক্তস্রাব কতক্ষণ চললে কিছুক্ষণ পর দেখা যায় একদম সুস্থ হয়ে গেছি।একদম সাদা সাদাস্রাব দেখা দেয়।কিন্তু এর কিছুক্ষণ পর আবার সাদাস্রাবের সাথে সুতার মতো চিকন করে হাল্কা রক্ত দেখা যায়।এভাবে কয়েক মিনিট থাকে।তারপর আবার আগের মতো পুরোপুরি একদম সাদা সাদাস্রাব দেখা যায়।এবং বেশির ভাগ সুস্থই থাকি।অনেক ঘন্টা পর কিংবা একদম টানা একদিন পর খুব হাল্কা রক্তস্রাব দেখা যায়।এবং সেটা ভালো ভাবে পরিষ্কার করে ফেললে সহজে আর দেখা যায় না।আবার অনেক দেরি করে বা এক দিন পর কয়েক সেকেন্ডের জন্য একটু দেখা যায়। আমাকে এই ১০ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়েছি ভেবে কয়েকবারই ফরজ গোসল করা লাগে।গোসল শেষে নামায পড়ার কয়েক ঘন্টা পর আবারও সাদাস্রাবের সাথে সুতার মতো চিকন করে হাল্কা রক্তস্রাব দেখি।এখন আমার হায়েযের আজ ৬ দিন চলছে।কিন্তু আমি নিজেকে পুরোপুরি সুস্থ দেখার পরও আর
 ফরয গোসল করছিনা।কারন গতকাল রাতে আমি ফরয গোসল করে নামায আদায় করেছি আজ সকালে দেখি আবার হাল্কা রক্ত।এরপর দেখি একদম টোটাল সুস্থ।এজন্য আমি আর গোসল করছিনা।কারন আবারও রক্ত দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।কারণ এমনটাই হয়।এখন আপাধত পুরোপুরি সুস্থ দেখার পরও আমি আর গোসল করে নামায পরছিনা। কারণ এভাবে গোসল করতে গেলে শীতের মধ্যে আমি কয়বার গোসল করবো?এখন আমি যে সুস্থ দেখার পরও দ্বিতীয়বার গোসল করে নামায পড়ছি না এর জন্য কি আমার নামায কাজা দেওয়ার গুনাহ হবে?আমি যদি এখন গোসল করি কাল রক্ত আবারও দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি তাই।

আরেকটা প্রশ্ন, এমন হলে আমার করণীয় কী?এই অবস্থায় আমি কি প্রত্যেক বারই ফরয গোসল করে নামায আদায় করবো? নাকি যতই নিজেকে সুস্থ দেখি এর কয়েক ঘন্টা পর যেহেতু কয়েক সেকেন্ডের জন্য আবারও হালকা রক্ত দেখা যায় এর জন্য টানা ১০ দিন ১০ রাত অপেক্ষা করে এর পর ফরয গোসল করে নামায আদায় করতাম?? কোনটা করবো উস্তাদ??

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ

আরো জানুনঃ   

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
১০ দিনের মধ্যে হায়েজ বন্ধ হয়ে গেলেও আপনি যেহেতু নিশ্চিত যে আবারো এই ১০ দিনের মধ্যে হায়েজ আসবেই,আর আসছেও তাই,আর এভাবেই কয়েক মাস অনবরত হায়েজ চলছেই,সুতরাং আপনি ১০ দিন হায়েজ ধরবেন। 

১০ দিন পূর্ণ হলে তারপর ফরজ গোসল করে নামাজ আদায় শুরু করবেন।

তারপরেও ব্লিডিং চললে সেক্ষেত্রে হায়েজের ১১ তম দিন থেকে ১৫ দিন ইস্তেহাজা ধরবেন।
এই দিন গুলোতে নামাজ আদায় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...