আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)

আসসালামু আলাইকুম, 

কেউ বলেছেন যে নাপাক অবস্থায় (মানে সহবাসের পর, স্বপ্নদোষের পর, মাস্টারবেশন ইত্যাদি কারনে নাপাক হলে) গোসল না করে চুল, মোচ, নখ, বগলের লোম, গুপ্তাঙ্গের লোম ইত্যাদি নাকি কাটা নিষেধ।
কথাটা কতটুকু সত্য?

আমার প্রশ্ন হচ্ছে 
প্রশ্ন-১ঃ নাপাক অবস্থায় গোসল না করে চুল, মোচ, নখ, বগলের লোম, গুপ্তাঙ্গের লোম ইত্যাদি জায়েজ কি না?

প্রশ্ন-২ঃ নবী (সঃ) কি কখনও নাপাক অবস্থায় গোসল না করে চুল, মোচ, নখ, বগলের লোম, গুপ্তাঙ্গের লোম ইত্যাদি কেটেছেন কি না?
কেটে থাকলে রেফারেন্সসহ দিলে উপকৃত হব।
 

1 Answer

0 votes
by (572,970 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলামে নাভির নিচের লোম, বগলের নিচের পশম, নখ ইত্যাদি পরিষ্কারের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ ৪০ দিন সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। 

এর অতিরিক্ত সময় নখ ও শরীরের অতিরিক্ত লোম পরিষ্কার না করা মাকরূহ তাহরীমি বা গোনাহর কাজ।

এ মর্মে হাদীস শরীফে এসেছে, 
সাহাবী হযরত আনাস রাযি. বলেন,

وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ، وَنَتْفِ الإِبِطِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ، أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْماً

অর্থাৎ, গোঁফ ছোট রাখা , নখ কাঁটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নিচের লোম চেঁছে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যেন, আমরা তা করতে চল্লিশ দিনের অধিক দেরী না করি। (মুসলিম ২৫৮)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
নাপাক অবস্থায় গোসল না করে চুল, মোচ, নখ, বগলের লোম, গুপ্তাঙ্গের লোম ইত্যাদি কাটা জায়েজ।
শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে এক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

চুল, মোচ, নখ, বগলের লোম, গুপ্তাঙ্গের লোম ইত্যাদি কাটার সাথে নাপাক থাকার কোনো সম্পর্ক নেই।ফরজ গোসল আবশ্যক অবস্থায় থাকার সাথেও কোনো সম্পর্ক নেই।

ইসলামে নাভির নিচের লোম, বগলের নিচের পশম, নখ ইত্যাদি পরিষ্কারের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ ৪০ দিন সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। 

৪০ দিন পার হয়ে গেলে ব্যাক্তি গুনাহগার হবে 

(০২)
এ সংক্রান্ত রেফারেন্স খুজে পাইনি।

তবে এ সংক্রান্ত সংক্রান্ত রেফারেন্স না পাওয়া গেলে সেটি নাজায়েজ হয়ে যাবে,বিষয়টি এমন নহে।

শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে কাজটি জায়েজ নাকি নাজায়েজ,এটিই হলো মূল বিষয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...