জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
يُوصِيكُمُ اللّهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنثَيَيْنِ فَإِن كُنَّ نِسَاء فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِن كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ وَلأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ وَلَدٌ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلأُمِّهِ الثُّلُثُ فَإِن كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلأُمِّهِ السُّدُسُ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ آبَآؤُكُمْ وَأَبناؤُكُمْ لاَ تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعاً فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيما حَكِيمًا
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ। (সূরা নিসা-১১)
,
শরীয়তের বিধান হলো মাইয়্যিতের কাফন দাফনের পর তার সমূদয় সম্পত্তি হতে আগে তার ঋন পরিশোধ করতে হবে।
তারপর সম্পদ অবশিষ্ট থাকলে সেক্ষেত্রে তিন ভাগের এক ভাগ সম্পদ দিয়ে তার অসিয়ত পূরন করবে,তারপর তার সম্পদ ওয়ারিশদের মাঝে শরীয়তের নীতিমালা অনুসারে বন্টন করে দিবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিতে ছুরতে আপনার বাবার সমূদয় সম্পদ শরীয়তের নীতিমালা অনুসারে সকল ওয়ারিশদের মাঝে বন্টন করে দেয়া আবশ্যক।
এক্ষেত্রে সে বন্টন কৃত সম্পদ হতে আপনার ভাই যতটুকু অংশ পাবে,তার মধ্যে শুধু তার হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকবে,বিক্রয়ের সুযোগ থাকবে।
বন্টনের আগে কোনো জায়গা বিক্রয় করার কোনো অধিকার তার নাই।
সম্পূর্ণ হারাম।
আপনার ভাই আপনাদের উপর মারাত্মক জুলুম করেছেন।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে করনীয় হলো,আপনার বাবার সমূদয় সম্পদ শরীয়তের নীতিমালা অনুসারে সকল ওয়ারিশদের মাঝে বন্টন করে দিয়ে দেখতে হবে যে আপনার ভাই যে বাড়ির জায়গা বিক্রয় করেছে,এরপরেও সে সম্পদ পায় কিনা,যদি না পায়,সেক্ষেত্রে তাকে আর সম্পদ দিতে হবেনা।
(এমতাবস্থায় তাকে আর জায়গা থেকে ভাগ না দেয়ার দরুন আপনাদের কোনো গুনাহ হবেনা।)
আর যদি সে জায়গা বিক্রয় করে দেয়ার পরেও শরীয়তের নীতিমালা অনুসারে আরো কিছু সম্পদ পাওয়া হকদার হয়,সেক্ষেত্রে সে আর যতটুকু সম্পদ পাবে,তাহা তাকে দিতে হবে,অন্যথায় আপনারা গুনাহগার হবেন।