আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in পবিত্রতা (Purity) by (5 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম। আমার অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা। স্বাভাবিক অভ্যাস ৭দিন।দীর্ঘ ৪মাস পরে হায়েজ হলেও ঠিক মতো হয়নি বরং ইস্তেহাযার সমস্যা হয়।পরে ঔষধ খাওয়ার ১মাস পর হায়েজ হয়, কিন্তু ১২ দিন পর্যন্ত হয়,এর পর সাদা স্রাব দেখলেও মাঝেমধ্যেই সাদার সাথে হালকা খয়েরী রঙের মতো দেখা যায়। কখনো একটু বেশি। ২২তম দিনে (আজকে) ঔষধ মতে আরও ৩/৪ দিন পর নতুন হায়েজ আসার কথা। কিন্তু ২২ তম রাতে ই মনে হচ্ছে একটু ব্লাড দেখা গিয়েছে। এখন এটা কি ইস্তেহাযা ধরে সালাত আদায় করবো? না নামাজ বাদ দিয়ে পরে কাযা আদায় করবো?আর ৩/৪ পর যদি ব্লিডিং এর পরিমাণ বেশি থাকে তখন ও কি ঐটা ইস্তেহাযা ই ধরে নিবো? কার সম্পূর্ণ ১৫ দিন সুস্থ ছিলাম না। যেহেতু এর মধ্যেই সাদার সাথে হালকা খয়েরী রঙ দেখেছি । তবে পুরো সময় জুড়ে দেখেছি এমন নয়।২/৩ দিনে একবার আবার কখনো এর বেশি কম সময়ে।অনিয়মিত মাসিকের জন্য এই সমস্যাতে ভুগতে হয়, নামাজ আদায় নিয়ে সন্দেহ হয়। হায়েজ হলে নামাজ আদায় করলে গুনাহ হবে আবার হায়েজ যদি না হয় নামাজ বাদ দেয়া যাবে না। কোরআন পড়া ও রোজা রাখা নিয়ে ও‌ সন্দিহান।১৫ দিন সুস্থ থাকা লাগবে জানি তাও ভয় ও সন্দেহ হয়, আমার হিসেবে বা দেখায় যদি ভুল থেকে যায়। সর্বশেষ দোয়ার দরখাস্ত, আল্লাহ যেন এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেন।

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।   

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
,
★ উভয় হায়েজের মাঝে কমপক্ষে পনেরো দিন পবিত্রতা ধরতে হবে।
হায়েজ শেষ হওয়ার পরদিন থেকে পনেরো দিন গণনা করা হবে।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটাকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরতে হবে।
নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।

পনেরো দিন থেকে বেশি পবিত্রতা হলে তো হায়েজের দিন গুলো চিনতে কোনো  সমস্যাই নেই।
,
আরো জানুনঃ   

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে ১০ম দিনে আপনার হায়েজ শেষ হয়েছে।

তাই আপনি ১১ তম দিন হতে পবিত্রতার ১৫ দিন গণণা করবেন।
অর্থাৎ ২৫ তম দিন পর্যন্ত ব্লিডিং হলে সেটাকে হায়েজ ধরা যাবেনা।
সেটা ইস্তেহাজা। 

এমতাবস্থায় নামাজ চালিয়ে যেতে হবে।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ২২ তম দিলে যে রক্তস্রাব আসছে,এটি ইস্তেহাজা।
,
এটি হায়েজ নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 105 views
...