আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)

আসসালামু আলাইকুম। আমার এক মামীর পরিবার ছিলো খুবই দরিদ্র।মামীরা ৯ ভাই-বোন ছিলেন। কিন্তু নবম সন্তান ছিলো কন্যা সন্তান এবং তাকে দত্তক নেয় এক নিঃসন্তান দম্পতি। সেই কন্যা সন্তানটি বড় হওয়ার পর তার আসল বাবা-মায়ের পরিচয় জানতে পারে।এখন সে তার আসল বাবা-মায়ের সাথে যোগাযোগ রাখে,কিন্তু তাকে যারা দত্তক যে নিয়েছিলো তাদের প্রচুর অবহেলা করে। তার দত্তককৃত বাবা মারা গিয়েছেন, মা বেচে আছেন।সেই মাকে নিয়ে তার অবহেলার শেষ নেই। দত্তককৃত দম্পতির অন্য কোনো সন্তান নেই,তাই সেই দত্তককৃত কন্যাকে অবহেলা করার প্রশ্নই আসে না,তার মা তাকে প্রচুর ভালোবাসেন। এখন সে কন্যাসন্তানটি বলে বেড়ায় তার আসল মা-না বলে তাকে অনেক জ্বালায় এই সেই। কন্যা সন্তানটির আসল মা-বাবা,ভাই-বোনও তাকে এ ব্যাপারে উসকিয়ে দেয়। 

অথচ কন্যা সন্তানটি ছোট থেকেই অনেক অসুস্থ ছিলো,এজন্য প্রচুর কষ্ট করেছেন তার দত্তককৃত মা-বাবা। আসল বাবা-মা এসবে ইনভলব ছিলো না। মেয়ে বড় হয়ে যাওয়ার পর তাদের কথা জানতে পেরে তারপর তাদের সাথে যোগাযোগ করে। বিয়ে হওয়ার পরও এখনো মেয়েটি তার দত্তককৃত মায়ের কাছেই থাকে।তার খরচাপাতি সেই মা-ই চালায়। কিন্তু এসবে মেয়েটির কোনো হেলদোল নেই। সে তো নিজে তার দত্তককৃত মায়ের উপর অসন্তুষ্ট, তার উপর তার আসল পরিবার তাকে উসকানি মূলক কথাবার্তা বলে। 

এমতাবস্থায় আসলে কারা বেশি প্রায়োরিটি পাওয়ার কথা ছিলো? আসল মা-বাবা নাকি দত্তককৃত মা-বাবা? মেয়েটির এমন আচরণে দত্তককৃত মা তার উপর অসন্তুষ্ট। তার আসল পরিবারের কি আসলেই উচিত যে সন্তানকে দত্তক দিয়ে দেওয়া হয়েছে অলরেডি তাকে তার পরিবারের ব্যাপারে উসকিয়ে দেয়া?তার পরিবারের ব্যাপারে কথা বলা? এখানে কোন পরিবারের অধিকার বেশি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা বনি ইসরাঈল-২৩)

চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1707

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1722


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মেয়েটি ব্যালেন্স রেখে চলবে। জন্মদাতা মা বাবার সাথে যেমন উত্তম আচরণ করবে, ঠিকতেমনি দত্তক মাতাপিতার সাথেও ভালো ব্যবহার ও সুন্দর আচরণ করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...