বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ফরয রোযা রাখার পর ইচ্ছাকৃত ভঙ্গ করলে পরবর্তীতে কা'যার সাথে সাথে কাফফারা ও আদায় করতে হয়।
রোযার কাফফারা
(ক)একজন গোলাম আযাদ করা,(খ)সম্ভব না হলে লাগাতার ৬০টি রোযা রাখা,(গ)সেটিও সম্ভব না হলে ৬০জন মিসকিনের প্রত্যেককে একটি ফিতরা সমপরিমাণ মাল দিয়ে দেওয়া।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একটি রোযার কাফফারা শেষ পর্যন্ত ৬০ টা রোযা বা ৬০জন মিসকিনের প্রত্যেককে একটি ফিতরা পরিমাণ মাল দিয়ে আদায় করতে হবে।সুতরাং এ হিসেবে একটি রোযার কাফফারার জন্য ৬০টা ফিতরা আদায় করতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1752
৬০ জন মিসকিনকেই দিতে হবে। অথবা একজন মিসকিনকে ৬০ দিন দিতে হবে।৬০ মিসকিনের টাকা কোনো ফান্ড বা নলকুপ স্থাপনের জন্য দিলে কাফফারা আদায় হবে না। বরং মিসকিনের হাতেই দিতে হবে। এতো মিসকিন একসাথে না পেলে কোনো এতিমখানায় বা কওমি মাদরাসায় যোগাযোগ করতে পারবেন।
(২) বিছানার চাদরে বীর্য লাগার পর যদি শুকিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ঐ বিছানায় জায়নামায বিছিয়ে নামায পড়া যাবে এবং কুরআন তিলাওয়াতও করা যাবে।
(৩) কোনো সালোয়ারে সাদাস্রাব লাগলে ঐ সেলোয়ারকে তিনবার ধৌত করতে হবে।
(৪) সৎ বাবার সাথেও পর্দা করতে হবে। তবে ফিতনার আশংকা না থাকলে পর্দার বিধানে কিছুটা শীতিলতা চলে আসবে। কেননা সৎ বাবাও এক প্রকারের মাহরাম।