بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/108732/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছ যে,
ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন
তিন প্রকার।
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে
বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।
২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো
হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর
দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার
কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়।
এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়।
৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ
মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم قَالَ " الرُّؤْيَا الْحَسَنَةُ مِنَ الرَّجُلِ
الصَّالِحِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ ".
আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা
(রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ নেককার লোকের ভাল স্বপ্ন নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ। (বুখারী শরীফ ৬৫১২)
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى ـ هُوَ ابْنُ
سَعِيدٍ ـ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الرُّؤْيَا مِنَ اللَّهِ، وَالْحُلْمُ
مِنَ الشَّيْطَانِ ".
আহমাদ ইবনু ইউনুস (রহঃ)
... আবূ কাতাদা (রাঃ) সূত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেছেনঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে আর অশুভ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে
থাকে। (৬৫১৩)
حَدَّثَنَا
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ،
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ
سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ
رُؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ
عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ،
فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ
يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".
আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ
(রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
কে বলতে শুনেছেন, যখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে
পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর উপর আল্লাহর
প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে,
তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর আশ্রয়
চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি সাধন করবে না।
(বুখারী শরীফ ৬৫১৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
১. স্বপ্নে মাছ দেখার অর্থ হল, নিয়ামত
পাওয়া। অর্থাৎ যিনি স্বপ্নে দেখেছেন, তিনি নিয়ামত পাবেন। সুতরাং
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নের দরুন আপনি নিয়ামাত প্রাপ্তা হবেন, ইনশাআল্লাহ।
আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/72890/
২. প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নগুলোর মধ্যে আপাত দৃষ্টিতে
খারাপ কোন বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সুতরাং বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। তবে স্বপ্নগুলোর
মধ্যে যদি কোন কল্যাণ থাকে তা প্রাপ্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন এবং কোন অকল্যাণ
থাকলে তা থেকে আল্লাহ তায়ালার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবেন ইনশাআল্লাহ। সেই সাথে আপনার নেক আমল বাড়িয়ে দিতে হবে, দ্বীনদার নারীদের সাথে উঠাবসা করতে হবে,
পবিত্র হালতে থাকতে হবে, অহংকার থেকে বেঁচে থাকতে
হবে। বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত, যিকির আযকার, ফরজসহ নফল নামাজ পড়তে হবে। সাধ্যানুযায়ী দান ছদাকাহ করতে হবে। আরো জানুন
:- https://ifatwa.info/100414/?show=100414#q100414