আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আমাদের গ্রামের দিকে মহিলারা  গাছের  মেহেদী পাতা বেঁটে নখে দেয়।  কিন্তু ভালো রং আসেনা তাই মেহেদী পাতা নখে লাগানোর আগে, দুই টাকা পাতা যে রংগুলো পাওয়া যায় মুদি দোকানে। ওইটা পানি দিয়ে গুলে নখে দেয়, এরপর কিছুক্ষণ পর ওটা তুলে ফেলে তখন দেখা যায় টকটকে লাল রং এসেছে নখে। এরপর ওই রং এর উপর তারা নখে গাছের মেহেদী পাতা বাঁটা  লাগায়। তখন দেখা যায় একটা সুন্দর কালার আসে।

এখন আমার প্রশ্ন হলো এভাবে রং ব্যবহার করে তারপর মেহেদী লাগালে কি অযু হবে?

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)

জবাব,


بسم الله الرحمن الرحيم

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ দেখলেন জনৈক ব্যক্তি অজু করেছে কিন্তু পায়ে তার নখ বরাবর একটি স্থান রয়ে গিয়েছে। তিনি তাকে বললেন,

ارْجِعْ فَأَحْسِنْ وُضُوءَكَ

তুমি ফিরে গিয়ে সুন্দরভাবে অজু করে আস। (মুসলিম ৩৯১)

অযু বিশুদ্ধ হবার জন্য কনুই পর্যন্ত হাত এবং টাখনু পর্যন্ত পা এবং পূর্ণ মূখমণ্ডলে পানি প্রবাহিত করা আবশ্যক। যদি এ অঙ্গসমূহের সামান্যতম স্থানেও পানি না পৌঁছে তাহলে অযু হবে না।

এক্ষেত্রে রঙ যদি এমন পুরু হয় যে, এর নিচে পানি পৌঁছে না, তাহলে উক্ত রঙ যে স্থানে লাগবে তা দূরিভূত করা ছাড়া অজু সম্পন্ন হবে না।

আর আমাদের তাহকীক মতে রঙ মিস্ত্রিরা যে রঙ ব্যবহার করে তা গাঢ় রঙ। যার নিচে পানি  পৌছে না। তাই অযুর সময় রঙ ভালো করে উঠিয়ে তারপর অযু করতে হবে। নতুবা অযু হবে না।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

যদি রং এমন হয় যা ব্যবহারে আবরণ পড়ে যায়, যার কারণে অজুর অঙ্গে পানি পৌঁছায় না তাহলে তার অজু হবে না। রঙের প্রলেপ -এমনকি তা একেবারে সামান্য হলেও- দূর করে তবেই অজু করতে হবে। তবে আমাদের জানামতে আপনি যেই রংয়ের কথা বলেছেন, তা অজুর অঙ্গে পানি পৌছতে প্রতিবন্ধক হয় না। বিধায়, অজু সহিহ হবে ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...