বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ،. قَالَتِ النِّسَاءُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غَلَبَنَا عَلَيْكَ الرِّجَالُ، فَاجْعَلْ لَنَا يَوْمًا مِنْ نَفْسِكَ. فَوَعَدَهُنَّ يَوْمًا لَقِيَهُنَّ فِيهِ، فَوَعَظَهُنَّ وَأَمَرَهُنَّ، فَكَانَ فِيمَا قَالَ لَهُنَّ " مَا مِنْكُنَّ امْرَأَةٌ تُقَدِّمُ ثَلاَثَةً مِنْ وَلَدِهَا إِلاَّ كَانَ لَهَا حِجَابًا مِنَ النَّارِ ". فَقَالَتِ امْرَأَةٌ وَاثْنَيْنِ فَقَالَ " وَاثْنَيْنِ "
তিনি বলেনঃ মহিলারা একবার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলল, পুরুষেরা আপনার কাছে আমাদের চাইতে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। তাই আপনি নিজে আমাদের জন্য একটি দিন ধার্য করে দিন। তিনি তাদের বিশেষ একটি দিনের ওয়াদা করলেন; সে দিন তিনি তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এবং তাদের ওয়ায-নসীহত করলেন ও নির্দেশ দিলেন। তিনি তাদের যা যা বলেছিলেন, তার মধ্যে একথাও ছিল যে, তোমাদের মধ্যে যে স্ত্রীলোক তিনটি সন্তান আগেই পাঠাবে,* তারা তার জন্য জাহান্নামের পর্দাস্বরূপ হয়ে থাকবে। তখন এক স্ত্রীলোক বলল, আর দু’টি পাঠালে? তিনি বললেনঃ দু’টি পাঠালেও। (সহীহ বোখারী-১০২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দ্বীনি মজলিসে উপস্থিত হতে যদি কোনো প্রকার শরীয়া বহির্ভূত বিষয়ের সম্মুখীন হতে না হয়, তাহলে তখন সেই মজলিসে উপস্থিত হওয়ার রুখসত উলামায়ে কেরামগণ দিয়ে থাকেন। কোনো ভাবেই পর্দার খেলাফ হতে পারবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/107790
উক্ত দ্বীনি মজলিসে যেয়ে কেনা-বেচা না জায়েয হবে না। বিশেষকরে এমন মহিলা যাদের মাহরাম নেই বা মাহরাম বর্তমানে নিকটে নেই, তারা উক্ত মজলিসে স্টল বুক করে পণ বিক্রি করতে পারবেন। তবে মহরাম উপস্তিত থাকলে তখন নারীদের জন্য উক্ত কাজে জড়িত না হওয়াই উত্তম হবে।